সংকটে-সমরে দেশমাতৃকাকে বাঁচাতে এক অতন্দ্র প্রহরী ছিলেন সাবেক ডেপুটি স্পিকার কর্নেল অবসরপ্রাপ্ত শওকত আলী। সত্যের পক্ষ নেয়ায় বারবারই সমস্যার ঘেরাটোপে বন্দি হয়েছেন। কিন্তু, হার মানেননি। নিষ্ঠা আর একাগ্রতায় প্রতিকূলতাকে পেছনে ফেলেন এই বীর মুক্তিযোদ্ধা।
মহান মুক্তিযুদ্ধের সম্মুখ সারির যোদ্ধাই শুধু নন, ছিলেন আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার অন্যতম আসামীও। কর্নেল (অব) শওকত আলী। ছিলেন জাতীয় সংসদের ছয়বারের এমপি।
২০০৮ সালের ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে নবম সংসদে দায়িত্ব পান ডেপুটি স্পিকার হিসেবে।
১৯৩৭ সালের ২৭ জানুয়ারি শরীয়তপুরের নড়িয়ার দীঘিরপাড়ে জন্ম গ্রহণ করেন। মাধ্যমিকের গন্ডি পেরিয়ে সোহরাওয়ার্দী কলেজ থেকে আইকম ও বিকম পাশ করেন তিনি।
১৯৫৯ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অর্ডিন্যান্স কোর এ কমিশন লাভ করেন তিনি। ষাটের দশকে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের যে বিপ্লবী পরিষদ গঠণ করা হয় তার সক্রিয় সদস্য ছিলেন শওকত আলী। এরপর আটক হন ক্যান্টনমেন্ট থেকে। আসামী করা হয় আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার। এরপর ১৯৬৯ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনী থেকে অবসর দেয়া হয় তাকে।
১৯৭১ রনাঙ্গনে যুদ্ধের দামামা। দেশরক্ষায় সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন মুক্তিযুদ্ধের। মুক্তিযুদ্ধের পর যোগ দেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে। ৭৫ বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পর সেনাবাহিনী থেকে অবসর দেয়া হয় তাকে।
১৯৭৯ সালে প্রথমবারের মতো শরীয়তপুর-২ আসন থেকে নির্বাচিত হন জাতীয় সংসদ সদস্য।
কর্নেল শওকত আলী শরীয়তপুরের নড়িয়া সরকারি ডিগ্রি কলেজসহ অনেক শিক্ষা, সামাজিক প্রতিষ্ঠানসহ গড়ে তোলেন অসংখ্য স্কুল কলেজ।