আম্মান সিদ্দিকী ও দ্বীন ইসলামের রিমান্ড মঞ্জুর
- রবিউল বাশার খান, কুমিল্লা:
-
২০২৪-০৩-১৮ ১০:৫২:২০
- Print
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের ছাত্রী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় একই বিভাগের ছাত্র আম্মান সিদ্দিকী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম কে পুলিশ রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুরে কুমিল্লার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক আবু বকর সিদ্দিকী এ আদেশ দেন।
নিহত শিক্ষার্থী অবন্তিকার মা কুমিল্লা পুলিশ লাইন্স স্কুলের খন্ডকালীন শিক্ষক তাহমিনা শবনমের দায়ের করা মামলায় অবন্তিকার সহপাঠী রায়হান সিদ্দিকী আম্মান ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে আসামি করার পর শনিবার রাতেই ঢাকা মহানগর পুলিশ ওই দুই আসামিকে আটক করে। রোববার সকালে কুমিল্লা থেকে পুলিশের একটি টিম
ওই দুই আসামিকে কুমিল্লায় আনার জন্য ঢাকায় যায়। অবন্তিকা আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলায় গ্রেফতার দুই আসামিকে কুমিল্লা কোতোয়ালি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে ঢাকা মহানগর পুলিশ। রোববার রাতেই তাদের কুমিল্লায় আনা হয়।
অবন্তিকার সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী ও জবির সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে সোমবার ১১:৪৫ ঘটিকায় আদালতে পুলিশ পরিদর্শক মুজিবুর রহমানের কক্ষে পুলিশ প্রহরায় রাখা হয়।
দুপুর ১২টার পর তাদের আদালতে তোলা হয়। অবন্তিকার মায়ের দায়ের করা মামলার আইনজীবীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে মামলার আসামি সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে এক দিনের এবং অবন্তিকার সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী কে দুই দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন বিচারক।
কুমিল্লা সরকারি কলেজের সাবেক শিক্ষক প্রয়াত অধ্যাপক জামাল উদ্দিনের মেয়ে ফাইরুজ শুক্রবার রাত ১০টার দিকে কুমিল্লা নগরীর বাগিচাগাঁও ‘পিসি পার্ক স্মরণিকা’ নামের ১০ তলা ভবনের দ্বিতীয় তলার বাসায় গলায় রশি বেঁধে ফ্যানে ঝুলে আত্মহত্যা করেন।
মৃত্যুর ১০ মিনিট আগে নিজের ফেসবুক আইডিতে ফাইরুজ অবন্তিকা তার মৃত্যুর জন্য সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক দ্বীন ইসলামকে দায়ী করেন। আম্মান সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে তিনি হয়রানি এবং হুমকি দেওয়াসহ নানা অভিযোগ তুলেন। সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের বিরুদ্ধে অফিসে ডেকে নিয়ে হয়রানি ও মানহানির অভিযোগ তুলেন। তা ছাড়া ‘সেক্সুয়ালি অ্যাবিউজিভ কমেন্ট’ করার অভিযোগও তুলেছেন সুইসাইড নোটে।