৫৫ টাকার নিচে পেঁয়াজ বিক্রি করা সম্ভব না: বাণিজ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: || ২০২০-১১-০১ ০৯:১০:৪০

image

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, সরকারের সহযোগিতায় পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। তবে ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজ কোনোভাবেই ৫৫ টাকার নিচে নামিয়ে আনা সম্ভব নয়।

রোববার (১ নভেম্বর) রাজধানীর পুরান পল্টনে অর্থনীতি বিটের সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড-২০২০ প্রদানকালে তিনি একথা বলেন।

এ সময় ইআরএফ সভাপতি সাইফ ইসলাম দিলালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম, দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ কে ফয়সাল বিন সিরাজ, রয়টার্সের সাবেক বাংলাদেশ ব্যুরো চিফ সিরাজুল ইসলাম কাদির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, গত বছর পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছিল। ওই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এবার আগে থেকেই আমরা প্রস্তুত ছিলাম। সংকট সৃষ্টি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সরকারের সহযোগিতায় পেঁয়াজ আমদানি শুরু করা হয়। তিন দিন আগে থেকেই পেঁয়াজ আসা শুরু হয়েছে। ব্যবসায়ীদের লাভ, আমদানিকারকদের কমিশনসহ সব খরচ যোগ করে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ভোক্তা পর্যায়ে কোনোভাবেই ৫৫ টাকার নিচে নামিয়ে আনা সম্ভব নয়।

তিনি আরও বলেন, আমাদের চাহিদার তুলনায় ৮ থেকে ৯ লাখ মেট্রিকটন পেঁয়াজের ঘাটতি হয়। প্রতি বছর সেপ্টেম্বরে এ ঘাটতি দেখা দেয়। যার ৯০ শতাংশ চাহিদা পূরণ করে প্রতিবেশী দেশ ভারত। কিন্তু এখন তাদের দেশে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। আজকে কলকাতার বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে বাংলাদেশি ১০৫ থেকে ১১০ টাকায়। আলু বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪৭ রুপি অর্থাৎ বাংলাদেশি ৫৫ টাকায়। তার মানে আলু পেঁয়াজের দাম আমাদের দেশেও বেড়েছে তাদের দেশেও বেড়েছে।

মন্ত্রী বলেন, দেশের বাজারে ভারতের পেঁয়াজের নির্ভরতা বেড়েছে। এখন তাদের সংকট ও দাম বেড়ে যাওয়ায় রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে। ভারত আগে থেকে আমাদের কিছু বলেনি, হঠাৎ বন্ধ করে দিয়েছে। গতবার থেকে আমরা শিক্ষা নিয়েছি এবার সঠিক সময়ে সিদ্ধান্ত নেয়ায় তেমন অস্থিরতা হয়নি।

তিনি আরও বলেন, তৈরি পোশাক খাতের সঙ্গে আমি জড়িত, এক সময় বিজিএমইএর সভাপতি ছিলাম। এই খাতটি সম্পর্কে আমি জানি। সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ নেয়ায় মহামারির মধ্যেও এ খাতটি এখন ঘুরে দাঁড়িয়ে আগের অবস্থানে চলে এসেছে।

ইআরএফ বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড-২০২০ এ প্রিন্ট মিডিয়ায় ৯ ক্যাটাগরিতে নয়জন এবং টেলিভিশনের ছয় ক্যাটাগরিতে ছয়জনসহ মোট ১৫ জন প্রতিবেদককে পুরস্কার দেয়া হয়েছে। বিজয়ীদের ক্রেস্ট, সম্মাননাসহ নগদ ৫০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়।

Editor & Publisher: S. M. Mesbah Uddin
Published by the Editor from House-45,
Road-3, Section-12, Pallabi, Mirpur
Dhaka-1216, Bangladesh
Call: +01713180024 & 0167 538 3357

News & Commercial Office :
Phone: 096 9612 7234 & 096 1175 5298
e-mail: financialpostbd@gmail.com
HAC & Marketing (Advertisement)
Call: 01616 521 297
e-mail: tdfpad@gmail.com