পটুয়াখালীতে দরিদ্র কৃষকের ধান কেটে নিলেন বিএনপি নেতারা

এইচ এম মোজাহিদুল ইসলাম নান্নু: || ২০২৪-১২-২৭ ০৬:২১:০৬

image

পটুয়াখালী সদর উপ‌জেলার চর জৈনকাঠী এলাকায় এক দরিদ্র কৃষকের রোপন করা ধান কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপি নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে। জমির মালিকানা নিয়ে আদালতে চলমান একটি মামলার মাঝে এই ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ভূমি অফিসের কয়েকজন কর্মকর্তার সহায়তায়, স্থানীয় বিএনপি নেতা মো. নাসির হাওলাদার দুই বছরের জন্য ওই জমি লিজ নিয়ে কৃষকের ধান কেটে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেছেন কৃষক মো. সেকান্দার আলী।

বৃহস্পতিবার  (২৬ ডিসেম্বর) সকালে পটুয়াখালী প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, তাঁর পরিবার দীর্ঘ প্রজন্ম ধরে ৫৯ শতাংশ জমি ভোগদখল করে আসছে। তবে জমির মালিকানা নিয়ে একটি মামলা চলমান থাকা অবস্থায় ২৩ ডিসেম্বর সোমবার, বিএনপির ৬ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি মো. ফয়েজ ভূইয়ার নেতৃত্বে ১৫/২০ জন লোক ওই জমির কাঁচা ধান কেটে নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় সেকান্দার আলী পটুয়াখালী সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ, ধান কাটার কাজ থেকে বিরত থাকতে বললেও অভিযুক্তরা তা অমান্য করে ধান বিক্রি করে দেন।

সেকান্দার আলী আরও অভিযোগ করেন, জমি নিয়ে মামলা করায়, বিএনপির নেতাকর্মীরা তার পরিবারের সদস্যদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করছে। গত কয়েকদিনে তাঁর মা সুফিয়া বেগম এবং ভাইয়ের স্ত্রী মোসেদা বেগমকেও শারীরিকভাবে নিগ্রহ করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

তিনি জানান, পূর্ব জৈনকাঠী মৌজার এসএ ৮৬১ ও আরএস ১২৮৮ খতিয়ানভুক্ত জমি ইমাম উদ্দিনের ওয়ারিশদের নামে রেকর্ড হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু ভুলবশত এটি রাজেশ্বর গংদের নামে রেকর্ড করা হয়। তার বাবা ২০১২ সালে এই বিষয়ে আদালতে মামলা করেন, যা এখনও বিচারাধীন।

সেকান্দার আলী প্রশাসন এবং গণমাধ্যমের সহযোগিতা কামনা করে বলেন, "আমাদের বসতবাড়ি ছেড়ে কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই। আপনাদের সহযোগিতা ছাড়া আমরা অসহায়।" তিনি অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানান।

এছাড়া তিনি বলেন, "এলাকা ছেড়ে না গেলে মিথ্যা মামলায় জড়ানোর হুমকি দেওয়া হচ্ছে।" সংবাদ সম্মেলনের শেষে তিনি গণমাধ্যমের সহযোগিতা কামনা করে বলেন, “আমাদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে"

 এ বিষয় জৈনকাঠী ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড  বিএনপি সভাপতি এ.বি.এম ফয়েজ ভূইয়া বলেন, নাসির হোসেন পিন্টু সরকারের কাছ থেকে ওই জমি  লিজ নিয়েছেন। এতে সে ধান কেটে নিয়েছে। নাসিম হোসেন ওই জমিতে ধান রোপণ করেছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, নাসির ধান রোপণ করে নাই। বর্তমানে ধান মোস্তফা সরদারের কাছে জমা রাখা হয়েছে । 

Editor & Publisher: S. M. Mesbah Uddin
Published by the Editor from House-45,
Road-3, Section-12, Pallabi, Mirpur
Dhaka-1216, Bangladesh
Call: +01713180024 & 0167 538 3357

News & Commercial Office :
Phone: 096 9612 7234 & 096 1175 5298
e-mail: financialpostbd@gmail.com
HAC & Marketing (Advertisement)
Call: 01616 521 297
e-mail: tdfpad@gmail.com