স্বরূপকাঠিতে সীলকোটের কাজ শেষ হওয়ার ৭দিনের মধ্যে রাস্তার উপর তিন থেকে চার ইঞ্চি গজিয়েছে ঘাস। স্বরূপকাঠি উপজেলার ৪নং আটঘর কুড়িয়ানা ইউনিয়ন হইতে বানারীপাড়া সড়কের ৩৫ লাখ টাকা ব্যয়ে সদ্য নির্মিত ২ কিলোমিটার সড়কে সীলকোট এর কাজ শেষ করার মাত্র ৭দিনেই ঘাস জন্মেছে। স্থানীয়রা বলেন, এরকম বাজে কাজ এর পূর্বে কখনো কেউ করে নাই। উপজেলা প্রকৌশলি বলেন,পুরানো কার্পেটিংএ ঘাস ছিলো তাই কিছু যায় ঘাস উঠেছে। ঐ কাজের ঠিকাদার বলেন, এই টাকা দিয়ে এই কাজ করা সম্ভব নয়।
স্বরূপকাঠি উপজেলার কুড়িয়ানা হইতে বানারীপাড়া সংযোগ সড়কের ১৮০০ মিটার সীলকোট এর কাজ পিরোজপুরের মিলন ইঞ্জিয়ারিং কনস্ট্রাকশন কাজটি শুরু করেন। প্রথম দিকে কাজ শুরু করে বন্ধ করে দিয়েছিলেন। পুনরায় কাজ শুরু করে, মাত্র ৭দিন হয় কাজটি শেষ হয়েছে। কিন্তু এরি মধ্যে রাস্তার উপর দুই থেকে তিন চার ইঞ্চি ঘাস জন্মেছে। স্থানীয়রা বলেন, রাস্তার কাজ খুবই বাজে হয়েছে আমারা অনেক বার বলেছি কাজটা একটু ভালো করেন কিন্তু তারা দায় সাড়া ভাবে করে গেছেন। এখনই রাস্তার পিচ উঠে যাচ্ছে, বৃষ্টিরদিনে একটানা দুই চার দিন বৃষ্টি হলে ঘাস আরো জন্মাবে এবং গাড়ির চাকার সাথে পিচ উঠে যাবে।
এলাকাবাসী বাঁধা দিয়েও কোন সুরাহা হয়নি। পূর্বের রাস্তা ঠিক মতো পরিস্কার না করেই তার উপর সীলকোটের কাজ দ্রুত শেষ করেছেন। কিন্তু কয়েকদিনের মধ্যেই সীলকোট ভেদ করে ঘাস জন্মেছে। তাছাড়া পুরানো রাস্তার উপর কার্পেটিং সমান না করায় বিভিন্ন স্থানে উচু নিচু লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ৩৫ লাখ টাকা ব্যায়ে ১৮০০মিটার দৈর্ঘ্য এবং ১২ ফুট চওড়া কাজটি পায় জনৈক পিরোজপুর মিলন নামে এক ঠিকাদার।
ঐ এলাকার শংকর ঘোষ, শ্যামল মণ্ডল আজাহারুল ইসলামসহ স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, সপ্তাহ খানেক আগে ঠিকাদার রাস্তার পীচের কাজ শেষ করে গেছে। এরই মধ্যে পীচ ফুড়ে ঘাস উঠেছে।এই রাস্তা বেশিদিন টিকবেনা।
ঐ কাজের ঠিকাদার মিলন হোসেন বলেন, পূর্বের রাস্তার উপর প্রচুর ঘাস ছিলো যে কারনে রাস্তার পাশে কিছু স্থানে ঘাস জন্মেছে।এই কাজ আমি ছাড়া অন্য কেউ করলেও একই রকম হইতো,আমি নিজে সাইটে গিয়েছিলাম তবে কাজ কাজ ভালো হয়েছে। কিন্তু ঐ কাজে এক থেকে দেড় লাখ টাকা আমার লচ হবে। এই সামান্য টাকা দিয়ে এই কাজ করা কোন ভাবেই সম্ভব না।
উপজেলা প্রকৌশলী মো.রাইসুল ইসলাম জানান, আমি খোঁজ নিয়েছি তারা বলছে কার্পেটিং এর সাথে ঘাসের বীজ থাকলে সেটি সীলকোট ভেদ করে ঘাস জন্মাতে পারে। সড়কের কাজ সিডিউল অনুযায়ী ঠিকাদারকে শেষ করতে হবে। কোন অনিয়ম মেনে নেয়া হবে না।
Editor & Publisher: S. M. Mesbah Uddin
Published by the Editor from House-45,
Road-3, Section-12, Pallabi, Mirpur
Dhaka-1216, Bangladesh
Call: +01713180024 & 0167 538 3357
News & Commercial Office :
Phone: 096 9612 7234 & 096 1175 5298
e-mail: financialpostbd@gmail.com
HAC & Marketing (Advertisement)
Call: 01616 521 297
e-mail: tdfpad@gmail.com