শীতে কাঁপছে উত্তরের জনপদ

লালমনিরহাট প্রতিনিধি : || ২০২৪-১২-০৭ ০৬:৫৭:৩৭

image

লালমনিরহাটে ঘনকুয়াশার সাথে ঠান্ডা বাতাস বইছে। কুয়াশার চাদরে ঢেকেছে এ জনপদ। সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত কনকনে শীতে কাবু হয়ে পড়ছে এ অঞ্চলের গ্রামীণ জনজীবন। চরম বিপাকে পরছেন খেটে-খাওয়া ও নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ। এছাড়া ঘন কুয়াশায় দুর্ঘটনা এড়াতে যানবাহনগুলোকে হেড লাইট জ্বালিয়ে চলতে হচ্ছে সড়ক পথে। হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে শিশু ও বয়ষ্ক রোগীর সংখ্যা।


শনিবার ভোর থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত লালমনিরহাটে ঘন কুয়াশা ছিল। কুয়াশার কারণে লালমনিরহাট- বুড়িমারী মহাসড়কে যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। মনে হয় পৌষ মাস এসে পড়েছে। পৌষ মাসের মতোই কনকনে ঠাণ্ডা। শীত উপেক্ষা করেই দরিদ্র শ্রেণির মানুষগুলো ছুটছেন কাজের উদ্দেশ্যে। শীতে বেড়েছে জ্বও, সর্দি, কাশি, হাপানিসহ বিভিন্ন শীতজনিত রোগব্যাধি। জেলার আধুনিক সদর হাসপাতাল ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শিশু ও বয়স্করা সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

স্থানীয়রা জানান, সন্ধ্যার পর শীতের প্রকোপ একটু বেশি থাকছে। সেই সঙ্গে হিমেল হাওয়ায় শীতের তীব্রতা বাড়িয়ে দিচ্ছে কয়েকগুণ। সন্ধ্যার পর থেকেই গরম কাপড় পরে চলাফেরা করছে মানুষ। রাত থেকে ভোর পর্যন্ত কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকছে চারপাশ। সকাল হলেই কেটে যাচ্ছে শীত।

এদিকে, শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে। সকালে সদর উপজেলার সামনে কথা হয় রিকশাচালক মজিবুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, সারা দিন যখন গরম থাকে তখন যাত্রী পাওয়া যায়। রিকশাও ভালোভাবে চালানো যায়। কিন্তু সন্ধ্যার পর কিংবা সকালে যাত্রী তেমন পাওয়া যায় না। শীতের কারণে রিকশা ঠিকভাবে চালানো যায় না। ফলে আয় উপার্জন কমে গেছে।’

কাকিনা এলাকার অটোরিকশা চালক এনামুল হক বলেন, সকালে কুয়াশার কারণে হেড লাইট জ্বালিয়ে রাস্তায় সাবধানে চলাচল করতে হচ্ছে। কুয়াশার কারণে বেশি দূর দেখা যায় না। দিন যতই যাচ্ছে ঠান্ডার মাত্রা বাড়ছে।

কালীগঞ্জের মুন্সির বাজার এলাকার বাসিন্দা রেজাউল করিম জানান, কনকনে ঠান্ডায় কাঁপছে চরাঞ্চলের মানুষ। অনেকেই শীত নিবারণ করছে খড়কুটো জ্বালিয়ে। জীবিকার তাগিদে শীত উপেক্ষা করেই খেতমজুররা ধান কাটছে।

রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণগারে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা নিম্নগামী। ডিসেম্বর মাসে জেলা জুড়ে দুই-তিনটা শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

Editor & Publisher: S. M. Mesbah Uddin
Published by the Editor from House-45,
Road-3, Section-12, Pallabi, Mirpur
Dhaka-1216, Bangladesh
Call: +01713180024 & 0167 538 3357

News & Commercial Office :
Phone: 096 9612 7234 & 096 1175 5298
e-mail: financialpostbd@gmail.com
HAC & Marketing (Advertisement)
Call: 01616 521 297
e-mail: tdfpad@gmail.com