সারাদেশে নৌ-দুর্ঘটনায় তিন মাসে নিহত ১৪৯

নিজস্ব প্রতিবেদক: || ২০২০-১০-১০ ২২:০৭:৪৯

image

সারাদেশে গত ৩ মাসে ৯৫টি নৌ-দুর্ঘটনা ঘটেছে। যাত্রী ও পণ্যবাহী নৌযানের এসব দুর্ঘটনায় ১৪৯ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়াও আহত হয়েছেন ২৬ জন। নিহতদের তালিকায় নারী ও শিশুর সংখ্যা যথাক্রমে ২২ ও ৪৪। এছাড়া এসময় নিখোঁজ হয়েছেন অন্তত ৫৮ জন।

আজ শনিবার (১০ অক্টোবর) বেসরকারি সংগঠন ‘গ্রিন ক্লাব অব বাংলাদেশের (জিসিবি)’ দপ্তর সম্পাদক শেখ সিরাজ আহমেদের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। জিসিবি ও ‘নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি’র যৌথ জরিপে এ পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে। যেখানে চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারাদেশের বিভিন্ন নৌপথে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনার হিসেব করা হয়।

সংগঠন দুটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২৪টি জাতীয় ও ১০টি আঞ্চলিক দৈনিক এবং ৯টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য-উপাত্ত সংগৃহীত হয়েছে।

জিসিবি ও জাতীয় কমিটির যৌথ জরিপের পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে বলা হয়, আগস্টে সবচেয়ে বেশি ৪৮টি দুর্ঘটনায় ৮৬ জন নিহত হয়েছেন; যার মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা যথাক্রমে ১০ ও ৩১। এছাড়া ছয়জন আহত ও ২৩ জন নিখোঁজ হয়েছেন। এই মাসের ৫ তারিখ নেত্রকোনার মদন উপজেলার উচিৎপুর হাওরাঞ্চলে যাত্রীবোঝাই ট্রলার ডু্বে মাদরাসা শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ অন্তত ১৮ জন নিহত হন।

জুলাইয়ে ৩৭টি দুর্ঘটনায় ৬ নারী ও ৫ শিশুসহ ৪১ জন নিহত এবং ১০ জন আহত হন। এছাড়া নিখোঁজ হন ১৭ জন। সেপ্টেম্বরে দুর্ঘটনা ঘটেছে ১০টি। এতে ৬ নারী ও ৮ শিশুসহ ২২ জন নিহত এবং ১০ জন আহত হন। নিখোঁজ হন ১৮ জন।

জিসিবির সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে বলেন, বছরজুড়ে সারাদেশেই বিচ্ছিন্নভাবে যাত্রী ও পণ্যবাহী নৌযান দুর্ঘটনা ঘটছে। যদিও লঞ্চ দুর্ঘটনা সহনীয় মাত্রায় নেমে এসেছে। এতে লঞ্চের মতো একসঙ্গে অনেক যাত্রী মারা না গেলেও প্রায় প্রতিটি ঘটনায়ই এক বা একাধিক প্রাণহানি ঘটছে।

নিজেদের পর্যবেক্ষণের বরাত দিয়ে আশীষ কুমার দে আরও বলেন, নৌচলাচল ব্যবস্থার ওপর সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলোর প্রয়োজনীয় নজরদারির অভাব, কঠোর তদারকির ক্ষেত্রে ওইসব সংস্থার জনবল সংকটসহ নানা সীমাবদ্ধতা, বিপুলসংখ্যক অবৈধ নৌযান চলাচল, দক্ষ মাস্টার ও ড্রাইভারের স্বল্পতা, দুর্বল আইন ও বিধিমালা এবং বিভিন্ন সময়ে দুর্ঘটনার জন্য দায়ীদের উপযুক্ত শাস্তি না হওয়ার কারণেই নৌদুর্ঘটনা সহনীয় মাত্রায় নামিয়ে আনা যাচ্ছে না।

জাতীয় কমিটির সভাপতি হাজী মো. শহীদ মিয়া বলেন, নৌ-সেক্টরের উন্নয়নের ব্যাপারে বর্তমান সরকার বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী, নৌ-প্রতিমন্ত্রী ও সাবেক নৌমন্ত্রী যথেষ্ট আন্তরিক হলেও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর কর্মকাণ্ড অনেক ক্ষেত্রে প্রশ্নবিদ্ধ। যেমন- নৌপরিবহন অধিদপ্তরের পরীক্ষায় নানা অনিয়মের কারণে দক্ষ চালক (মাস্টার ও ড্রাইভার) তৈরি হচ্ছে না। নৌযানের ফিটনেস পরীক্ষা ও বে-ক্রসিংয়ের অনুমতি প্রদানও সঠিকভাবে হচ্ছে না। এছাড়া বিআইডব্লিউটিএ’র নৌযানের রুট পারমিট ও টাইমটেবিল দেয়ার ক্ষেত্রে নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। এসব কারণে নৌনিরাপত্তা নিশ্চিত হচ্ছে না।
কেএফ/পি

Editor & Publisher: S. M. Mesbah Uddin
Published by the Editor from House-45,
Road-3, Section-12, Pallabi, Mirpur
Dhaka-1216, Bangladesh
Call: +01713180024 & 0167 538 3357

News & Commercial Office :
Phone: 096 9612 7234 & 096 1175 5298
e-mail: [email protected]
HAC & Marketing (Advertisement)
Call: 01616 521 297
e-mail: [email protected]