বর্ষার পানি শুষ্ক মৌসুমের জন্য ধরে রাখতে তিস্তা নদীতে ড্রেজিং করবে সরকার, যাতে আর্থিক সহায়তা দেবে চীন। এজন্য ১০ হাজার কোটি টাকা দেবে দেশটির সরকার। বিষয়টি নিশ্চিত করে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক জানিয়েছেন, এ বছরের মধ্যেই তিস্তায় ড্রেজিংয়ের কাজ শুরু হবে। এ ব্যাপারে ভারতের কোনো বিরূপ মনোভাব নেই বলেও জানান তিনি।
বর্ষায় তিস্তার পানিতে ডুবে থাকে আশপাশের এলাকা। সে কারণে ফসল উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শীত মৌসুমেও একই সমস্যা দেখা দেয়, যদিও কারণ থাকে ভিন্ন। তখন তিস্তা শুকিয়ে খাঁ খাঁ করায় পানির অভাবে চাষাবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সমস্যার সমাধান করতে ভারতের সাথে দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনা চলছে বাংলাদেশের।
শীত-গ্রীষ্ম এই দুই মৌসুমেই ১৪৭ বিলিয়ন কিউবেক পানির দরকার হয় তিস্তায়। অথচ এসময় পানি থাকে মাত্র ৮৮ বিলিয়ন কিউবেক। কিন্তু বর্ষায় তিস্তায় পানি থাকে ১ হাজার ১২৪ বিলিয়ন কিউবেক। যা প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশি।
বর্ষার এই বাড়তি পানি ধরে রেখে শুষ্ক মৌসুমে ব্যবহার করার জন্য তিস্তার বাংলাদেশ অংশে ড্রেজিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আর এ কাজে চীন ১০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে।
আগামী বর্ষা মৌসুম আসার আগেই ড্রেজিং শুরু করতে চায় বাংলাদেশ। তাই এ বছরেই কাজ শুরু হবে বলে জানালেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক।
তিস্তা নদীর বাংলাদেশ অংশে রয়েছে ১১৩ কিলোমিটার। ভারতের সাথে এই নদীর পানি নিয়ে সমঝোতার জন্য দু’দেশের মধ্যে আলোচনা চলমান বলেও জানালেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী।
Editor & Publisher: S. M. Mesbah Uddin
Published by the Editor from House-45,
Road-3, Section-12, Pallabi, Mirpur
Dhaka-1216, Bangladesh
Call: +01713180024 & 0167 538 3357
News & Commercial Office :
Phone: 096 9612 7234 & 096 1175 5298
e-mail: [email protected]
HAC & Marketing (Advertisement)
Call: 01616 521 297
e-mail: [email protected]