ভোলায় জরায়ু মুখ ক্যান্সার প্রতিরোধ টিকা প্রয়োগের পর অর্ধশত ছাত্রী আহত

ভোলা জেলা সংবাদদাতা: || ২০২৪-১০-২৯ ০৮:৫৩:০৯

image

ভোলার বোরহানউদ্দিনের জ্ঞানদা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সরকারিভাবে জরায়ু মুখ ক্যান্সার প্রতিরোধ টিকা প্রয়োগের পর প্রায় অর্ধশত ছাত্রী গুরুতর আহত হয়ে পড়েছেন। তাদেরকে উদ্ধার করে বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছেন।

 

মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) বেলা ১১ টার দিকে জ্ঞানদা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।


ঘটনার পর ভোলা জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. আজাদ জাহান ও সিভিল সার্জন ডাঃ মনিরুল ইসলাম  আহত ছাত্রীদেরকে দেখতে বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন।


জানা গেছে, জরায়ু মুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে মঙ্গলবার সকালে ওই স্কুলের প্রায় ১৬২ জন ছাত্রীকে বিনামূল্যে এইচপিভি টিকা দেয়া হয়। ছাত্রীদের শরীরে টিকা প্রয়োগ করার কয়েক মিনিটের মধ্যে ২/৩ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ  হয়ে পড়েন। এরপর শিক্ষক ও পরিবারের লোকজন তাদের উদ্ধার করে বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এ ঘটনার পরপর একের পর এক শিক্ষার্থীগন অসুস্থ হয়ে পড়েন।


আহত শিক্ষার্থীদের মধ্যে কারো হাত-পা জ্বালাপোড়া করে, কেউ বমি করে, কারো মাথা ব্যথা করছে, কেউ মাথা ঘুরে পড়ে যাচ্ছে এমন সমস্যা দেখা দেয়। আহত শিক্ষার্থীরা ৫ম, ৬ষ্ট, ৭ম এবং ৯ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।সিভিল সার্জন ডাঃ মনিরুল ইসলাম বলেন এটা মনস্তাত্ত্বিক রোগ, একজন ভয় পেলে তার দেখা দেখি অন্যরাও আতংকিত হয়ে পরে এতে ভয়ের কিছু নেই।


ভোলা জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. আজাদ জাহান বলেন,আমি খবর পেয়ে সাথে সাথে চলে আসি।


তিনি বলেন, জ্ঞানদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সকাল ৮টা থেকে ১৬২ জন শিক্ষার্থীকে এইচপিভি টিকা দেয়া হয়। এরমধ্যে বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে হঠাৎ করে এক ছাত্রী মাথা ঘুরে মাটিতে পড়ে যায়। এরপরে একের পর এক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েন। বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুপুর ২টা পর্যন্ত ৬২ জন শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা হয়েছে। এরমধ্যে কয়েকজনকে ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

 


এটি মাস সাইকোলজিক্যাল ইলনেস রোগ। এতে ভয়ের কোনো কারণ নেই। ইতিমধ্যে অনেক শিক্ষার্থী সুস্থ হয়ে  বাড়িতে ফিরে গেছে। ঘটনার পর আপাতত ওই স্কুলে টিকাদান কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে।আমরা ৫ সদ্যস্যের কমিটি গঠন করেছি তারা ৩ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিবে।


উল্লেখ, ভোলায় ১ লাখ ২১ হাজার ৫৮০ জন কিশোরীকে প্রথমবারের মতো বিনামূল্যে এইচপিভি টিকা প্রদান করা হবে। এ কর্মসূচিতে সহযোগিতা করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বাংলাদেশে নারীদের স্তন ক্যান্সারের পরে ২য় সর্বোচ্চ জরায়ুমুখ ক্যান্সার।


বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে  ২৪ অক্টোবর থেকে ১৬ নভেম্বর পযর্ন্ত প্রাথমিকভাবে ‘৫ম থেকে ৯ম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ছাত্রী’ এবং ‘১০ থেকে ১৪’ বছর বয়সী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত মোট ১ লাখ ২১ হাজার ৫৮০ কিশোরীকে বিনামূল্যে এইচপিভি টিকা প্রদান করা হবে।


এর মধ্যে ভোলার ৭ উপজেলায় ৫২৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১ লাখ ১৬ হাজার ৬১৬ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। ১৮ কর্ম দিবসের টিকাদান কার্যক্রম পরিচালিত হবে। তার মধ্যে প্রথম ১০ দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও স্থায়ী কেন্দ্র সমূহে এবং পরবর্তী আট কর্ম দিবসের নিয়মিত ইপিআই স্থায়ী এবং অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রে কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে। এই ক্যাম্পেইন থেকে টিকা পেতে ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করতে হবে। এছাড়াও নিবন্ধনে ব্যর্থ শিক্ষার্থীরা জন্মনিবন্ধনের সনদ নিয়ে টিকা কেন্দ্রে গিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে টিকা নিতে পারবে।

Editor & Publisher: S. M. Mesbah Uddin
Published by the Editor from House-45,
Road-3, Section-12, Pallabi, Mirpur
Dhaka-1216, Bangladesh
Call: +01713180024 & 0167 538 3357

News & Commercial Office :
Phone: 096 9612 7234 & 096 1175 5298
e-mail: financialpostbd@gmail.com
HAC & Marketing (Advertisement)
Call: 01616 521 297
e-mail: tdfpad@gmail.com