সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের ছেলে সাফি মুদ্দাসির খান জ্যোতিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ঢাকার আশুলিয়া থানার একটি মামলায় শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা জেলা পুলিশ। নিশ্চিত করেছেন ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) আহম্মদ মুঈদ।
এসপি বলেন, ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানায় দায়ের করা একটি মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের ছেলে সাফি মুদ্দাসির খান জ্যোতিকে শুক্রবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নিতে আদালতে পাঠানো হবে।
জানা গেছে, সাফি মুদ্দাসিরকে মেসার্স তিতাস বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান নামে একটি কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বানিয়ে রাখেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এই প্রতিষ্ঠানের নামেই চলত বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি। টেকনাফের মিঠাপানির ছড়া ১নং প্লটে ৫ দশমিক ৫০৬৪ একর জমি কেনা হয়। তাছাড়া লেঙ্গুরবিল মৌজায় একই কোম্পানির নামে লম্বরি ২নং পর্টে কোম্পানির নামে কেনা জমির মূল্য প্রায় সাড়ে ৫ কোটি টাকা।
দুর্নীতিগ্রস্ত আসাদুজ্জামান খান কামাল ও তার ছেলে সাফি মুদ্দাসিরের লুটপাট হাসিনা সরকারের আমলে চরম পর্যায়ে পৌঁছায়। যার বড় উদাহরণ নির্বাচন কমিশনের অমুছনীয় কালি কেনার দুর্নীতির সঙ্গে তার নাম থাকা। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শুধু অমুছনীয় কালি কিনতেই ১ কোটি ২৪ লাখ টাকা ব্যয় করে সাফি মুদ্দাসির সিন্ডিকেট। এছাড়া আরও ৬ কোটি টাকার অমুছনীয় কালি কেনে নির্বাচন কমিশন। যার টেন্ডার বাগিয়ে নেয় সাফি ও নির্বাচন কমিশনের সচিব জাহাঙ্গীর আলমের আত্মীয়ের যৌথ সিন্ডিকেট।
জানা যায়, রাজধানীর পুরো ধানমন্ডি এলাকায় ছিল তার একচ্ছত্র আধিপত্য। ধানমন্ডি এলাকা বিভিন্ন রেস্টুরেন্টের জন্য বিখ্যাত। আর এসব রেস্টুরেন্ট দেওয়ার জন্য সাফি মুদ্দাসিরকে দিতে হতো ১ থেকে ২ কোটি টাকা। টাকা দিলে কোনো রকম যাচা-বাছাই ছাড়াই মিলত লাইসেন্স। আর লাইসেন্স করতে বাবার প্রভাব খাটাতেন তিনি। শুধু তাই নয় এসব রেস্টুরেন্ট থেকে যেসব চাঁদা নেওয়া হতো তাও একহাতে সামলাতেন সাফি মুদ্দাসির।
অভিযোগ রয়েছে, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নামে শুধু রাজধানীর কারওয়ান বাজার থেকেই প্রতিদিন দেড় কোটি টাকার চাঁদা তোলা হতো। ফুটপাতে ব্যবসা, বাজার, মাদক ব্যবসায়ী ও আবাসিক হোটেল থেকে উঠানো হতো এসব চাঁদা। এ টাকা মন্ত্রীর হাতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল মন্ত্রীর এপিএস মনির হোসেনসহ আরও দুইজনকে। এই টাকার মোটা অংশ পেতেন আসাদুজ্জামান খান কামাল। পাশাপাশি এই টাকার একটা ভাগ পেতেন তার ছেলেও।
Editor & Publisher: S. M. Mesbah Uddin
Published by the Editor from House-45,
Road-3, Section-12, Pallabi, Mirpur
Dhaka-1216, Bangladesh
Call: +01713180024 & 0167 538 3357
News & Commercial Office :
Phone: 096 9612 7234 & 096 1175 5298
e-mail: [email protected]
HAC & Marketing (Advertisement)
Call: 01616 521 297
e-mail: [email protected]