ভোলার লালমোহন পৌরসভার কর্মকর্তা কর্মচারীদের ২ থেকে ৭০ মাসের বকেয়া বেতন ভাতা পাওযার দাবীতে লালমোহন পৌরসভার কর্মকর্তা কর্মচারীদের উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি । রবিবার সকাল ১১ টায় লালমোহন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমের স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন। পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা সিরাজুদ্দৌলা নবাব জানান তাদের পৌরসভায় ৬১ জন কর্মকর্তা রয়েছে। তাদের মাঝে ২/১ জনের বেতন ভাতা বিশেষ কারনে চলমান থাকলেও অত্র পৌরসভার কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতননভাতা ২- ৭০ মাস বকেয়া রয়েছে।এতে তাদের খেয়ে না খেয়ে মাবেতর জীবন যাপন করছে। অথছ লালমোহন পৌরসভার কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আয় থাকলেও পৌরসভার মেয়র হাজী এমদাদুল ইসলাম তুহিন এর স্বেরাচারীতা, অর্থনৈতিক অপব্যাবহারের কারনে কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতননভাতা বকেয়া রয়েছে। তারা জানান গত ১৫ মে ২০২৪ এবং ২৬ জুন ২০২৪ দুটি স্মারকের মাধ্যমে অত্র পৌরসভার বেতন ভাতার তথ্যাদি মন্ত্রনালয়ে প্রেঢ়নের নির্দেশনা থাকলেও মেয়র এমদাদুল ইসলাম তুহিন অদ্যবদী তা প্রেঢ়ণ করে নাই। বাজার পরিদর্শক আফসার হাওরাদার জানান ছাত্র জনতার অভূথ্যানের মাধ্যমে সরকার পতনের পর থেকে আজ পর্যন্ত মেয়র এমদাদুল ইসলাম তুহিন পৌরসভায় অনুপস্থিত। যার কারনে সকল দাপ্তরিক কাজ ও জনসেবা কার্যর্ক্রম ব্যাহত হচ্ছে। তাই পৌরসভার সকল কর্মকর্তা একত্রিত হয়ে পৌরসভার কার্যক্রম সচল,তাদের বকেয়া বেতন ভাতাদি প্রদানের স্বার্থে নিমোক্ত দাবী পেশ করে লালমোহন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তৌহিদুল ইসলাম এর মাধ্যমে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।দাবী সমুহ হল (১) পৌরসভার কার্যক্রম, জনসেবা সচলের লক্ষ্যে লালমোহন পৌর প্রশাসক নিয়োগ করা।(২) পৌরসভার সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন ভাতা বৈষম্যের দুরিকরনের মাধ্যমে হাল নাগাদ বকেয়া বেতন ভাতা অনতিবিলম্বে পরিশোধের প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহনের দাবী জানান। লালমোহন পৌরসভার মেয়র এমদাদুল ইসলাম তুহিন জানান সরকার পরিবর্তনের পর থেকে আমি নিয়মিত অফিস কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছি। তিনি আরো জানান লালমোহন সহ সকলেই জানেন সাবেক সংসদ সদস্য এমপি নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন লালমোহন পৌরসভার উপসহকারী প্রকৌশলী নিজামুদ্দিন ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা সিরাজউদ্দৌলা সহ কতিপয় কর্মকর্তা কর্মচারীর মদদে কোন নিয়ম-নীতি তোয়াক্কা না করে সকল টেন্ডার প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে, হাট বাজার সহ সকল রাজস্বখাতের টাকা এমপি শাওন হাতিয়ে নিতেন। গত কয়েক মাস আগেও সাড়ে ছয় কোটি টাকা টেন্ডার করিয়ে দিবে বলে রাজস্ব খাতে সকল টাকা এমপি শাওন নিয়ে যায়। তাতে করে কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন নিয়মিত করা যায় নাই। এছাড়াও সাবেক মেয়র কবির পাটওয়াীর সময়ও কিছু বেতন বকেয়া ছিল। পৌরসভার ট্যাক্স আদায় কম হয় এবং সরকারি অফিসে ট্যাক্স বকেয়া, পৌরসভায় আয়ের থেকে বেশি হওযার কারনে কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন ভাতা বকেয়া পরেছে। এ ব্যাপারে লালমোহন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তৌহিদুল ইসলাম জানান লালমোহন পৌরসভা কর্মকর্তা কর্মচারীর পক্ষ থেকে একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে আমার নিকট যা আমি যথারীতি মন্ত্রণালয় পাঠিয়ে দিয়েছি। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন উপ সহকারী প্রকৌশলী কামাল হোসেন,উপ সহকারী প্রকৌশলী মোঃ নিজাম উদ্দিন, উপ সহকারী মোঃমেহেদী হাসান,প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ সিরাজুদ্দৌলা,কর আদায়কারী এস এম ফারুকুল ইসলাম, সহকারী কর আদায়কারী মোঃ আকবর হোসেন, বাজার পরিদর্শক মোঃ আফসার হাওলাদার,উচ্চমান সহকারী নাজিম উদ্দীন প্রমুখ।