পার্বতীপুরে ১৪ বছরের কিশোরীকে ধর্ষনের অভিযোগ

মামুনুর রশিদ: || ২০২৪-০৮-১১ ০৮:৪৮:০২

image

দিনাজপুরের পার্বতীপুরে  ১৪ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে  আজিবার রহমান(৩২) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীর পরিবারের দাবি, প্রতারনা করে  একাধিকবার ধর্ষন করা হলে   গর্ভবতী  হয়ে এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন ভুক্তভোগী কিশোরী।  এই ঘটনার পর কিশোরীর পিতা দেলোয়ার হোসাইন  অভিযুক্তের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা  দায়ের করেন।

পরিবার আরও দাবি করেন, ঘটনাস্থল উপজেলার হাবড়া ইউনিয়নের ভবানীপুর বাজার। প্রতারক যুবক আজিবার রহমান গত ২৩ সালের ২১ এপ্রিল রাত সাড়ে ৭টায় জনৈক শান্তা বেগমের সহায়তায় মেয়েটিকে ফুসলিয়ে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষন করে। আর এই ধর্ষনের দৃশ্য গোপনে মোবাইল ফোনে ধারন করে সহায়তাকারী শান্তা বেগম। এরপর ধর্ষনের ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে আজিবার রহমান মেয়েটিকে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে গিয়ে একাধিকবার দৈহিক মেলামেশা করে। এক পর্যায়ে মেয়েটি অন্তঃসত্তা হয়ে পড়ে। পিতা মাতার শাসন ও লোক লজ্জার ভয়ে এতদিন মেয়েটি কাউকেই তার অন্তঃসত্বা হওয়ার কথা জানাতে পারেনি। মেয়েটি তিন মাসের গর্ভবতী হলে জানাজানি হয়। গত ১৫ জুন মেয়েটি একটি কন্যা সন্তান জন্ম দেয়।

দেলোয়ার হোসাইনের অভিযোগ, থানায় মামলা দায়েরের এক মাস অতিবাহিত হলেও পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। বরং তার (ভিকটিমের পিতা) পরিবারের উপর নেমে এসেছে লাঞ্চনা ও বঞ্চনার কষাঘাত। মামলার আসামীরা কুৎসা রটিয়ে ও এলাকার বখাটে যুবকদের লেলিয়ে দিয়ে তার একমাত্র জীবিকা নির্বাহের অবলম্বন চায়ের দোকান উচ্ছেদ করিয়েছে। মামলা তুলে নিতে প্রান নাশের হুমকিসহ সরকারী খাস জায়গায় বসবাসের একমাত্র আবাসস্থল থেকেও উচ্ছেদ করতে অপতৎপরতা চালানো হচ্ছে বলে  জানান তিনি।
 

আদালতে ম্যাজিষ্টেট এর নিকট দেয়া জবানবন্দি ও সাংবাদিকদের নিকট সাক্ষাৎকারে মেয়েটি জানায়, তার বাবা   আজিবার রহমানকে একাধিকবার আটক করলে শুকদেবপুর গ্রামের জনৈক প্রভাবশালী ব্যবসায়ী ওমর মোল্লা প্রভাব খাটিয়ে ধর্ষক আজিবার রহমানকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। ওমর মোল্লা বিচারের নামে কয়েক মাস সময় ক্ষেপন করে। 

এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা দেলোয়ার হোসাইন পার্বতীপুর মডেল থানায় ধর্ষন ও ধর্ষনে সহায়তা করার অভিযোগ এনে আজিবার রহমান, ওমর মোল্লা ও শান্তা বেগমের বিরুদ্ধে গত ২৬ জুন মামলা (মামলা নং- ৩৪, তারিখ- ২৬/০৬/২০২৪) দায়ের করেন। এই মামলায় পুলিশ এখনও কাউকেও গ্রেফতার করতে পারেনি। 

মামলার বাদী, ভবানীপুর বাজারের তারেক ও রেজাউল জানান, মামলায় ওমর মোল্লাকে আসামী করা হলে ভবানীপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইন্চার্জ এস আই আবুল বাশার তাদের সাথে অশালীন আচরন করেন এবং ওমর মোল্লাকে আসামী না করার জন্য মামলার আরজি সংশোধন করে আনতে চাপ প্রয়োগ করেন। এছাড়াও ভিকটিমকে (ধর্ষিত মেয়ে) আদালতে ম্যাজিষ্ট্রেটের নিকট জবানবন্দি প্রদানের জন্য দ্রুত সময়ের মধ্যেই নিয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও তা না করে অনেকদিন পর ম্যাজিষ্ট্রেটের নিকট নিয়ে যাওয়া হয়। মেয়েটি ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট তিন আসামীর বিরুদ্ধেই তাদের অপরাধের বর্ননা দেন। মামলার বাদী ও স্থানীয়রা মামলার সুষ্ঠ তদন্তের জন্য তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তনসহ সিআইডি কর্তৃপক্ষের নিকট দায়িত্ব হস্তান্তর করারও দাবি জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে প্রভাবশালী ওমর মোল্লা ও অন্যান্য আসামীদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তাদেরকে সাক্ষাৎ না পাওয়ায় কোন ভাষ্য নেয়া সম্ভব হয়নি। এস আই আবুল বাশার এর মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলে তিনি রিসিভ না করায় তারও ভাষ্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

Editor & Publisher: S. M. Mesbah Uddin
Published by the Editor from House-45,
Road-3, Section-12, Pallabi, Mirpur
Dhaka-1216, Bangladesh
Call: +01713180024 & 0167 538 3357

News & Commercial Office :
Phone: 096 9612 7234 & 096 1175 5298
e-mail: financialpostbd@gmail.com
HAC & Marketing (Advertisement)
Call: 01616 521 297
e-mail: tdfpad@gmail.com