পঞ্চগড়ে ভারী বর্ষণে ভেঙে গেছে সড়ক, বন্ধ যান চলাচল

পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি: || ২০২৪-০৭-০২ ০৯:৫২:০৩

image

পঞ্চগড়ে অতি ভারী বর্ষণে সদরের বলেয়াপাড়া-দেওয়ানহাট-জগদল আঞ্চলিক সড়কের একটি রিং কার্লভার্টের পাশে ভেঙ্গে যানবাহন চলাচল  বন্ধ হয়ে গিয়েছে। উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসনের উদ্যোগে জনসাধারণের চলাচলের জন্য সাময়িকভাবে একটি কাঠের সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছে ।

    
জানা যায় সপ্তাহধরে রাতভর লাগাতার বর্ষণে জেলার বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এছাড়া গত রোববার ভোরে পঞ্চগড় সদর উপজেলার সদর ইউনিয়নের বলেয়াপাড়া-দেওয়ানহাট-জগদল আঞ্চলিক সড়কের বলেয়াপাড়ায় ভেঙ্গে গেছে। রাস্তা ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে কয়েক কিলোমিটার ঘুরে যানবাহনগুলোকে জেলা শহরে আসতে হচ্ছে। তবে মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ায় বিভিন্ন স্থানের জলাবদ্ধ কিছু কিছু এলাকায় পানি কমতে শুরু করেছে। 

সদর ইউনিয়নের স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম জানান, বলেয়াপাড়া হয়ে দেওয়ানহাট-জগদল যাওয়ার পাকা সড়কটি প্রতিদিন প্রচুর যানবাহন চলাচল করে। বর্ষা মৌসূমে অতিবৃষ্টিতে বলেয়াপাড়া গ্রামের একটি কালভার্টের পাশের মাটি সরে গিয়ে সড়কটি ভেঙ্গে যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে। ইউপি সদস্য আরও জানান, পঞ্চগড়-হাড়িভাসা সড়কের বানিয়ার মিল সংলগ্ন ভাঙ্গামালি ব্রীজের ভাটি অংশে স্থায়ীভাবে স্থাপনা নির্মাণ করায় সেখানে দিয়ে পানি প্রবাহ সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। এ কারণে সেই পানির চাপ বলেয়াপাড়া দিয়ে বেড়েছে ।

 এর আগে গত বছর বর্ষা মৌসূমেও এই ব্রীজের মূখ বন্ধ থাকায় পৌর এলাকার হঠাৎপাড়া ও সদর ইউনিয়নের বলেয়াপাড়ায় স্থায়ী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছিল। তখন সাবেক সংসদ সদস্য মজাহারুল হক প্রধান, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম, সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদুল হক ও পৌর মেয়র জাকিয়া খাতুন উপদ্রত এলাকা পরিদর্শন করে একটি দেয়াল ভেঙ্গে পানি সরে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন। সেই সাথে দ্রুত পানি সরে যাওয়ার জন্য বলেয়াপাড়ায় সড়কের ওপর রিং কালভার্ট ভেঙ্গে সেখানে বক্স কালভার্ট এবং পঞ্চগড়-হাড়িভাসা সড়কের পাশ দিয়ে বড় ড্রেন নির্মাণ করে পানি পার্শ্ববর্তী তালমা নদীতে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু এলজিইডি যে এলাকা দিয়ে পানি চাপ বেশি সেখানে রিং কালভার্ট ভেঙ্গে বক্স কালভার্ট না করে সেখানে থেকে অনেকটা দূরে একটি বক্স কালভার্ট নির্মাণ করে এটির কোন প্রয়োজনই ছিল না। আর সড়কের ধার দিয়ে ড্রেন নির্মাণ করে পানি তালমা নদীতে ফেলার কোন উদ্যোগ এখন পর্যন্ত নেয়া হয়নি। আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এলজিইডি’র উপজেলা প্রকৌশলীকে বিষয়টি জানিয়েছি। 

এ ব্যাপারে কথা বললে এলজিইডির সদর উপজেলা প্রকৌশলী রমজান আলী জানান, খবর পেয়ে আমি সেখানে গিয়েছিলাম। আপাতত বর্ষা মৌসুমে সেখানে কাঠ বা বাঁশ দিয়ে সাঁকো নির্মাণ করে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখার জন্য ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। চলতি অর্থবছরে ব্রিজ ও রিং কালর্ভাট নির্মাণের প্রকল্প তালিকায় সরকারি বরাদ্দ পেলে স্থায়ীভাবে সমাধান করা হবে। 
  
পঞ্চগড় সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শাহনেওয়াজ প্রধান শুভ  বলেন, আমি সরেজমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আশপাশে অপরিকল্পিতভাবে কিছু বাড়িঘর ও অবকাঠামো নির্মাণ করায় পানি নিস্কাশনের ড্রেন সহ বিভিন্ন স্থানের রিং কালভার্টগুলো বন্ধ হয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টির পাশাপাশি পূর্বজালাসির পানি এবং বলেয়াপাড়ার পানি একই দিকে প্রবাহিত হওয়ার কারণে সড়কটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। সাময়িকভাবে জনসাধারণ ও হালকা যানবাহন চলাচলের জন্য সেখানে বাঁশ ও কাঠের সাঁকো নির্মাণের জন্য ইউপি চেয়ারম্যানকে কিছু বরাদ্দ প্রদান করেছি। এছাড়া ব্রিজ নির্মাণের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সঙ্গে কথা বলে পঞ্চগড় এলজিইডি প্রকৌশলীসহ উপজেলা প্রকৌশলীকে জানিয়েছি। আশা করছি চলতি অর্থ বছরে সেখানে একটি ব্রিজ নির্মাণ করে সড়কটি স্থায়ী সমাধান করা হবে। 

Editor & Publisher: S. M. Mesbah Uddin
Published by the Editor from House-45,
Road-3, Section-12, Pallabi, Mirpur
Dhaka-1216, Bangladesh
Call: +01713180024 & 0167 538 3357

News & Commercial Office :
Phone: 096 9612 7234 & 096 1175 5298
e-mail: financialpostbd@gmail.com
HAC & Marketing (Advertisement)
Call: 01616 521 297
e-mail: tdfpad@gmail.com