সিরাজগঞ্জে বাড়ছে যমুনার পানি, তলিয়ে যাচ্ছে নিম্নাঞ্চল
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ ||
২০২৪-০৬-২২ ১২:৪৮:৫১
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিরাজগঞ্জে দ্রুতগতিতে বাড়ছে যমুনা নদীর পানি। পানি বাড়ার কারণে চরাঞ্চলে ফসিল জমি তলিয়ে যাচ্ছে। এতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকেরা।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ৩০ জুন পর্যন্ত যমুনা নদীর পানি বাড়বে। এ কারণে যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ হার্ডপয়েন্ট এলাকায় বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। ৩০ জুনের পর থেকে পানি কমতে শুরু করবে। তবে এই মুহূর্তে বন্যা হওয়ার আশঙ্কা কম।
গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল বুধবার সকাল ৬টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত) যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ হার্ডপয়েন্ট এলাকায় ৩৭ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ১ দশমিক ১৩ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। এখানে বিপৎসীমা ধরা হয় ১২ দশমিক ৯০ মিটার।
একই সময় কাজীপুর মেঘাই ঘাট পয়েন্টে পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৪৫ মিটার। ২৪ ঘণ্টায় ৩৬ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ১ দশমিক ৩৫ মিটার নিচ প্রবাহিত হয়। এখানে বিপৎসীমা ধরা হয় ১৪ দশমিক ৮০ মিটার।
দ্রুত গতিতে পানি বাড়ায় যমুনার অভ্যন্তরে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। তলিয়ে যাচ্ছে চরাঞ্চলের ফসলি জমি। এতে বন্যা আতঙ্ক বিরাজ করছে চরাঞ্চলের মানুষের মাঝে।
কাজীপুর উপজেলার নিশ্চিন্তপুর এলাকার কৃষক বাবুল শেখ বলেন, ‘বন্যার পানি দেখলেই ভয় করে। চরের নিচা জমিতে পানি উঠতে শুরু করছে। দুই বিঘা জমিতে তিলের আবাদ করছি। যেভাবে নদীর পানি বাড়তেছে তাতে ফসল ঘরে তুলতে পারব কি না জানি না। এছাড়া পাট নিয়াও দুশ্চিন্তায় পড়তে হইছে।’
শাহজাদপুর উপজেলার কৈজুড়ি ইউনিয়নের পাচিল গ্রামের কৃষক ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘চরের জমিতে চাষবাদ করে সারা বছর চলতে হয় আমাগোরে। প্রত্যেক বচ্ছর বন্যায় আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এক বিঘা জমিতে তিলের আবাদ করছি। ভাবছিলাম লাভ হইবো। এখন দেহি পানি বাড়ছে। এভাবেই পানি বাড়লে ৪-৫ দিনের মধ্যে জমি তলাইয়া যাইব।’
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি অফিসার আনোয়ার সাদাত বলেন, ‘এই মুহূর্তে চরের জমিতে তিল ও পাট রয়েছে। যমুনা নদীতে পানি বাড়ছে। আমরা সব সময় খবর রাখছি। কৃষক যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে।’
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী রনজিত কুমার সরকার বলেন, ৩০ জুন পর্যন্ত যমুনা নদীর পানি বাড়বে। এ কারণে যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ হার্ডপয়েন্ট এলাকায় বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। ৩০ জুনের পর থেকে পানি কমতে শুরু করবে। তবে এই মুহূর্তে বন্যা হওয়ার শঙ্কা নেই। তারপরও পানি উন্নয়ন বোর্ড বন্যা মোকাবিলায় সব প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
Editor & Publisher: S. M. Mesbah Uddin
Published by the Editor from House-45,
Road-3, Section-12, Pallabi, Mirpur
Dhaka-1216, Bangladesh
Call: +01713180024 & 0167 538 3357