কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার অতিক্রম প্রায়!

এম এস সাগর, কুড়িগ্রাম: || ২০২৪-০৬-১৯ ০৬:৪৮:৩০

image

উত্তরের জনপদ কুড়িগ্রামে টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে দুধকুমার, ব্রহ্মপুত্র, গঙ্গাধর, ধরলা ও তিস্তা নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে এসব নদ-নদী তীরবর্তী চর-দ্বীপ ও নি¤œাঞ্চলগুলো। তলিয়ে গেছে কিছু ঘরবাড়ি ও বিভিন্ন সবজির ক্ষেত।

বুধবার (১৯ জুন) পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, তিস্তা নদীর পানি কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ২০সেন্টিমিটার ও দুধকুমার নদীর পানি পাটেশ্বরী পয়েন্টে বিপৎসীমা ৫সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধির ফলে এসব নদীর তীরবর্তী নিচু অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

অপরদিকে দুধকুমার, গঙ্গাধর ও ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে নাগেশ্বরী পৌরসভার মনিরচর, ফান্দেরচরসহ কচাকাটা, কেদার, বল্লভেরখাস, কালীগঞ্জ, বেরুবাড়ী, নারায়ণপুর, নুনখাওয়া ইউনিয়নের চরাঞ্চলের অনেক পরিবার ইতোমধ্যেই পানিবন্দী হয়ে পড়ছেন। এদিকে ধরলার নদীর পানিও সেতু পয়েন্টে বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া ব্রহ্মপুত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে বৃদ্ধি পাচ্ছে। নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নাগেশ্বরী, ভুরুঙ্গামারী, ফুলবাড়ী ও রাজারহাট, উলিপুর, চিলমারী, রৌমারী ও রাজিরপুর উপজেলার প্রায় ২৫টি পয়েন্টে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন।  অপরদিকে গত সোমবার রাত থেকে কুড়িগ্রামে বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে।  এদিকে চরাঞ্চলে পানি ওঠার ফলে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে এসব চরাঞ্চলের বাসিন্দারা। পানিতে তলিয়ে গেছে এসব চরের শাক-সবজি ও পাটের আবাদ। দুধকুমার নদীর অববাহিকার ভ‚রুঙ্গামারী উপজেলার ছিটপাইকেরছড়া ও পাইকডাঙ্গা, চর বলদিয়া, চর শতিপুরি, বেশকিছু চরাঞ্চল তলিয়ে গেছে। প্রায় ৫শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এসব এলাকার পাট, শাকসবজির আবাদ পানিতে তলিয়ে গেছে।

কেদার ইউনিয়নের সুবলপাড় চর (বিষ্ণুপুর) গ্রামের মজনু মিয়া ও রুবেল জানান, গত সোমবার থেকে টানা ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে চর বিষ্ণুপুরের শতাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়ছেন এবং অনেক সবজি ক্ষেত নষ্ট হচ্ছে।

ভূরুঙ্গামারী উপজেলার পাইকেরছড়া ইউনিয়নের মেম্বার জাহাঙ্গীর আলম হ্যাপি জানান, গত তিনদিন থেকে ইউনিয়নের পাইকডাঙ্গা ও ছিট পাইকেরছড়া গ্রামের শতাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে আছে।

বল্লভেরখাস ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর চরের কৃষক ইসমাইল হোসেন ও লুৎফর রহমান বলেন, গঙ্গাধর নদীর পানি বাড়ার কারণে আমাদের সবজি ক্ষেত তলিয়ে গেছে এবং সবজি গাছ মরে যাবে।

নাগেশ্বরী উপজেলার বল্লভেরখাষ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক জানান, তার ইউনিয়নের ফান্দের চর একলায় পানি উঠেছে। এখানে প্রায় ১শ পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, গত ১২ঘণ্টায় জেলায় ১১৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যা আর দু-একদিন থেমে থেমে অব্যাহত থাকতে পারে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে আগামী ২৪ঘণ্টায় কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি, পাটেশ্বরী পয়েন্টে দুধকুমার নদের পানি ও তালুকশিমুল বাড়ী পয়েন্ট ধরলার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।

Editor & Publisher: S. M. Mesbah Uddin
Published by the Editor from House-45,
Road-3, Section-12, Pallabi, Mirpur
Dhaka-1216, Bangladesh
Call: +01713180024 & 0167 538 3357

News & Commercial Office :
Phone: 096 9612 7234 & 096 1175 5298
e-mail: financialpostbd@gmail.com
HAC & Marketing (Advertisement)
Call: 01616 521 297
e-mail: tdfpad@gmail.com