কক্সবাজারে শিশু শ্রমিককে বলাৎকারের পর ভিডিও ধারণ করলো রেস্তোরাঁ মালিক
কক্সবাজার প্রতিনিধি ||
২০২৪-০৫-১৫ ১০:১৫:২৯
কক্সবাজারের কলাতলীর হোটেল-মোটেল জোনের এক রেস্তোরাঁয় ব্যবসায়িক পার্টনারদের সহযোগিতায় শিশু শ্রমিককে বলাৎকার করলো রেস্তোরাঁ মালিক। বলাৎকার করেই ক্ষান্ত হয়নি। সেই দৃশ্যের ভিডিও ধারণ করেছে তার সহযোগীরা।
পৈশাচিক এই ঘটনাটি ঘটেছে গত ৯ মে। আর প্রকাশ্যে এলো ১৫ মে। যখন শিশুটি এই ঘটনার প্রতিকার কারখানা পরিদর্শকের উপ-পরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ জানায়।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলার মুছনি রেজিস্টার্ড রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা ১২ বছর বয়সী শিশু রহিম ( প্রকৃত নাম নয়)। প্রায় ৪ মাস আগে কলাতলী সুগন্ধা পয়েন্ট সংলগ্ন মোহাম্মদী গেস্ট হাউসের পেছনে রাজ মণি রেস্তোরাঁয় গ্লাস বয়ের চাকরি নেয়। এরপর থেকেই শিশুটিকে যৌন হয়রানি করতে থাকে রেস্তোরাঁ মালিক রফিকুল ইসলাম সহ তার ব্যবসায়িক অংশীদাররা।
গত ৯ মে রাত ১১ টার দিকে রেস্তোরাঁ মালিক রফিক শিশুটিকে ভেতরের কক্ষে নিয়ে যায়। এ সময় তার সঙ্গে ব্যবসায়িক অংশীদার নুরুজ্জামান প্রকাশ কুরুছ নুরুজ্জামান, সেলিম প্রকাশ সেলিম বিল্ডার এবং বাবুর্চি ফারুকও ছিলো। এক পর্যায়ে মালিক রফিক শিশুটিকে যৌন নির্যাতন করলে তার সহযোগীরা সেই দৃশ্যের ভিডিও ধারণ করে উল্লাসে মেতে উঠে। ওই সময় রেস্তোরাঁর কর্মচারীরা বিষয়টি বুঝতে পারলেও মালিকের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে সাহস করেনি। তবে কয়েকজন শ্রমিক শিশুটির বড় ভাই মোবাইলে ঘটনার কথা জানায়। এরপর তার ভাই এসে শিশুটিকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করেন।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে রেস্তোরাঁ মালিক অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম স্বীকার করেন, শিশু এবং রোহিঙ্গা জেনেও তাকে সে চাকরি দিয়েছিলো। বলাৎকারের কথা অস্বীকার করে উল্টো সে দাবি করে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। ভিডিও এর প্রসঙ্গ তুলতেই রফিক এই প্রতিবেদকের অফিসের ঠিকানা জানতে চান। আর বলেন, সব কিছু মোবাইলে বলা যাবে না। আমি আপনার সঙ্গে দেখা করে বিস্তারিত বলবো।
কক্সবাজার জেলা হোটেল শ্রমিক লীগের সভাপতি রুহুল কাদের মানিক বলেন, কলাতলীর রেস্তোরাঁগুলো শিশু শ্রমিকরা নিয়মিত যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। কিন্তু কেউ সাহস করে সেই কথা প্রকাশ করতে চায় না। অভিযুক্ত রফিকের বিরুদ্ধে শিশুদের সাথে বিকৃত যৌনাচারে লিপ্ত হওয়ার কথা অনেক শুনেছি। এখন যেহেতু বিষয়টি প্রকাশ্যে এলো। তাই তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া প্রয়োজন। যাতে কেউ কারো অভাবের সুযোগ নিয়ে এই ধরনের ঘৃন্য কাজ করতে সাহস না করে।
Editor & Publisher: S. M. Mesbah Uddin
Published by the Editor from House-45,
Road-3, Section-12, Pallabi, Mirpur
Dhaka-1216, Bangladesh
Call: +01713180024 & 0167 538 3357