বনবিভাগের গাফিলতি, নলছিটিতে নষ্ট হচ্ছে প্রায় অর্ধকোটি টাকার গাছ

মো.শাহাদাত হোসেন মনু, ঝালকাঠি: || ২০২৪-০৩-১৯ ১৪:০০:০৪

image
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার খাজুরতলা থেকে শিমুলতলা-জুরকাঠি-দরগাবাড়ি সড়ক প্রশস্থকরণে দুই পাশের সারি সারি গাছ এক্সকেভেটর দিয়ে উপড়ে ফেলেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। রাস্তার দুই ধারে পড়ে থাকা গাছগুলো গাছগুলো বিক্রি না হওয়ায় রোদ বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার সরকারি সম্পদ। জানাগেছে, রাস্তা নির্মাণে ২০২৩ সালের মার্চের ৬ তারিখ গাছ অপসারণের জন্য বিভাগীয় বনকর্মকর্তা আব্দুল আউয়ালের বরাবর চিঠি দেন নলছিটি উপজেলা প্রকৌশলী। বনবিভাগ ৪১৪ টা ছোট বড় বিভিন্ন প্রজাতির গাছ মার্কিং করেন। যথাসময়ে গাছগুলো না সরানোয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এক্সকেভেটর দিয়ে গাছগুলো উপড়ে রাস্তার পাশে ফেলে রাখে। বর্তমানে সেগুলো রাস্তার পাশের ফসলি জমি এবং খালে পড়ে নষ্ট হচ্ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, বনবিভাগের গাফিলতির কারণে এভাবেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে সরকারি কোটি টাকার শতশত গাছ। তাদের মতে গাছগুলো উদ্ধার করে সরকারি হেফাজতে নেয়া হলে রক্ষা পেত সরকারি কোটি টাকার সম্পদ। বনবিভাগের অবহেলার কারণে এমনটা হচ্ছে বলে মনে করেন স্থানীয়রা। গাছগুলো মার্কিং করে যাওয়ার পর বন বিভাগের কোন খোঁজ খবর না থাকায় সড়ক প্রশস্তকরণে ঠিকাদারের কাজের মেয়াদ শুরু হওয়ায় উপায়ন্তর না পেয়ে রাস্তার ঠিকাদার এক্সকেভেটর দিয়ে গাছগুলো উপড়ে ফেলে কাজ শুরু করেছেন। আর সেই সুযোগে অধিকাংশ গাছ লুটপাট হয়ে যাচ্ছে। নলছিটি উপজেলা বনকর্মকর্তা মো.সহিদ উদ্দিন জানানন, এলজিইডি থেকে আমাদের একটি চিঠি দিয়েছে। চিঠি দেওয়ার ১ থেকে দেড় মাসের মধ্যে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করেছে। কিন্তু গাছ মার্কিং করে হিসাব করে বিভাগীয় বনকর্মকর্তা বরাবর রিপোর্ট দেওয়া লাগবে। এরপর টেন্ডার হয়ে গাছগুলো অপসারণ করা হবে। কিন্তু সেই সময় আমাদের না দিয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করেছে। এ বিষয়ে আমি আমার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অবগত করেছি। কারণ গাছ টেন্ডার দেওয়ার ক্ষমতা আমার নাই। আমি বারবার তাদের চিঠি দিয়েছি। গাছগুলো সংগগ্রহ করতে অনেক খরচের ব্যাপার। আমাদের যদি সরকারি বাজেট দেন তাহলে গাছগুলো সংগ্রহ করতে পারবো। এ বিষয়ে নলছিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, উপজেলা বন কর্মকর্তাকে দ্রæত সমাধানের জন্য বলা হয়েছে। এর আগে যে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) ছিলেন ওনি নাই। নতুন যিনি এসেছেন তার মাধ্যমে সমাধান হতে পারে।

Editor & Publisher: S. M. Mesbah Uddin
Published by the Editor from House-45,
Road-3, Section-12, Pallabi, Mirpur
Dhaka-1216, Bangladesh
Call: +01713180024 & 0167 538 3357

News & Commercial Office :
Phone: 096 9612 7234 & 096 1175 5298
e-mail: financialpostbd@gmail.com
HAC & Marketing (Advertisement)
Call: 01616 521 297
e-mail: tdfpad@gmail.com