ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৫ বাংলাদেশি

নিজস্ব প্রতিবেদক: || ২০২০-০৯-০২ ১০:২৪:৩২

image

ভারতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ ও লকডাউনে আটকে পড়ার অপরাধে বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ শেষে ২৫ বাংলাদেশিকে বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে ফেরত দিয়েছে ভারতীয় চ্যাংরাবান্ধা ইমিগ্রেশন পুলিশ।

বুধবার (২ সেপ্টেম্বর ) বিকেল ৩ টায় বুড়িমারী স্থলবন্দর জিরোপয়েন্টে বিজিবি-বিএসএফ এর উপস্থিতিতে বাংলাদেশ হিলি ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়। ভারতের জেলে আটক ২৫ বাংলাদেশি (কুড়িগ্রামের চিলমারীর বাসিন্দা) গত শনিবার (২৯ আগস্ট) মুক্তির আদেশ দিয়েছে দেশটির আদালত। মুক্তির আদেশের পর ৪দিন পর দেশের মাটিতে পা রাখল ২৫ বাংলাদেশি। ভারতের ধুবড়ি আদালতের আদেশের প্রেক্ষিতে সোমবার ( ৩১ আগস্ট) তারা দেশের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার কথা থাকলেও সকল প্রক্রিয়া শেষ করে বুড়িমারি চ্যাংরাবান্ধা চেকপোস্ট দিয়ে ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া শেষে বুধবার দুপুরে তারা দেশে প্রবেশ করেন।

এর আগে গত ৩ মে দেশে ফেরার সময় বৈধ উপায়ে ভারতে যাওয়া ২৬ বাংলাদেশিকে আটক করে ভারতের ধুবড়ি পুলশি। এরমধ্যে একজন ভারতের জেলে মারা যান। বৈধ উপায় ভারতে গিয়ে করোনা কালে আইনের বেড়াজালে আটক ২৫ বাংলাদেশি প্রায় ৪ মাস ভারতের কারাগারে আটক থাকার পর শনিবার ভারতের ধুবড়ি আদালত তাদের মুক্তির আদেশ দেন।

ভারতের হাইর্কোটের আইনজীবী অসীম দাস গুপ্ত এবং ধুবড়ি আদালতের আইনজীবী রাজস্বী দাস গুপ্ত আটক বাংলাদেশিদের পক্ষে আইনি লড়াই করেছেন।

বুড়িমারী ইমিগ্রেশন (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, ভারতে আটক ২৫ বাংলাদেশির বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলায়। সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ ও ভিসার মেয়াদ শেষ হলে তারা ভারতী পুলিশের কাছে আটক হন।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের শুরুতেই কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজলোর রমনা ব্যাপারীপাড়া এলাকার বেশ কয়েকজন বৈধ উপায়ে ভারতে যান।

অ্যাডভোকেট এসএম আব্রাহাম লিংকন আরও জানান, বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধে ভারত সরকারের প্রসিকিউশন মামলাটি কলঅফ করার সম্মতি দেয়। এরই প্রেক্ষিতে সকল পক্ষের আইনজীবীদের শুনানির পর ধুবড়ি আদালতের বিচারক জেলহাজতে আটক ২৫ জন বাংলাদেশিকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি এবং মামলাটি নথিজাত করার আদেশ দেন। এরমধ্য দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রত্যাহার হলো।

এর মধ্যে লকডাউনে আটক হন ২৬ জন। ভারতে দ্বিতীয় দফা লকডাউন আগে চেংরাবান্ধা চেকপোষ্ট খুলে দেওয়ার কথা শুনে রওনা দেন দেশের ফেরার জন্য। কিন্তু ৩ মে আসামের ধুবড়ি জেলার চাপোবৎ থানা-পুলিশ তাদের আটক করে জেল হাজতে পাঠায়। এরমধ্যে গত ১ জুলাই কারা হেফাজতে বকুল মিয়া নামে একজন মারা গেলে কয়েকদিন পর তার মরাদেহ দেশে স্বজনদের কাছে কাছে হস্তান্তর করা হয়।

Editor & Publisher: S. M. Mesbah Uddin
Published by the Editor from House-45,
Road-3, Section-12, Pallabi, Mirpur
Dhaka-1216, Bangladesh
Call: +01713180024 & 0167 538 3357

News & Commercial Office :
Phone: 096 9612 7234 & 096 1175 5298
e-mail: financialpostbd@gmail.com
HAC & Marketing (Advertisement)
Call: 01616 521 297
e-mail: tdfpad@gmail.com