লালমনিরহাট ও তার আশপাশের জেলা গুলোতে গত ৪ দিন ধরে ঘন কুয়াশা ও হিমেল বাতাসে জনজীবন স্থবীর হয়ে পড়েছে। ঘন কুয়াশায় দেখা মিলছে না সুর্যের। উত্তরের এ জেলা হিমালয় পর্বতের খুব কাছাকাছি হওয়ায় তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। সন্ধ্যায় পর পরেই যেন বৃষ্টি মত কুয়াশা পড়তে শুরু করে। দুপুর হলেও সেই কুয়াশার সাথে বইছে হিমেল হাওয়া। নিতান্ত প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া অনেকে বাড়ির বাহিরে বের হচ্ছেন না। বেশি বিপাকে পড়েছে ছিন্নমূলসহ চরাঞ্চলের মানুষ ও গবাদি পশু। ফলে ছিন্নমূল অসহায় দরিদ্র লোকজন সীমাহীন কষ্ট ও দুর্দশায় দিনাতিপাত করছেন।
প্রচণ্ড ঠান্ডায় কৃষক, শ্রমজীবী মানুষ ঘর হতে বাইরে যেতে পারছেন না। অনেকে টাকার অভাবে কিনতে পারছেন না শীতবস্ত্র। গরম কাপড়ের অভাবে আগুনের তাপ দিয়ে শীত নিবারণ করছে অনেকেই। শীতার্তরা তাকিয়ে আছেন সরকারি-বেসরকারি সাহায্য সহযোগিতার দিকে।
এদিকে শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে লালমনিরহাটে বাড়ছে শীতজনিত রোগ। আর এসব রোগের মধ্যে ডায়রিয়া আক্রান্তের সংখ্যাই বেশি। শহর এলাকার চেয়ে তিস্তার পাড়ে প্রচুর শীত। লালমনিরহাট সদর হাসপাতালসহ পাঁচটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বেড়েছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। নিউমোনিয়া, সর্দি, কাশি, ডায়েরিয়াসহ বিভিন্ন রোগ নিয়ে ভর্তি হচ্ছে মানুষ। এদের মধ্যে শিশুরোগীর সংখ্যা বেশি।
সরেজমিনে তিস্তা ও ধরলা নদীর চরাঞ্চলে গিয়ে দেখা গেছে, ঠান্ডায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মানুষের জীবন। চরম বিপাকে রয়েছেন শ্রমজীবী, ছিন্নমূল ও তিস্তা-ধরলা নদী পাড়ের হাজার হাজার হতদরিদ্র মানুষ। প্রচণ্ড শীতে চরম বিপাকে পড়েছে শিশু ও বয়স্করা। কনকনে ঠান্ডায় শ্রমজীবী ও ছিন্নমূল মানুষের পাশাপাশি সীমাহীন কষ্টে রয়েছেন চরাঞ্চলের হাজার হাজার হত দরিদ্র মানুষ। ঠান্ডা নিবারনে শীতবস্ত্র নেই তাদের। ঠান্ডায় থরথর করে কাঁপছেন তারা। সকালে আগুনে শরীর গরম করে অনেকে কাজে বের হচ্ছেন।
লালমনিরহাটে আবহাওয়া অফিস না থাকায় পাশের উপজেলা কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, সোমবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
শীতের তীব্রতা বাড়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। সন্ধ্যার পর জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। শীতে নাকাল হয়ে পড়েছে বিভিন্ন বয়সের মানুষ। তীব্র শীতে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া কর্মজীবীরা ।শীতবস্ত্রের অভাবে দরিদ্র-ছিন্নমূল মানুষরা দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। শীতে বোরো বীজতলা, ভুট্টা, আলু, সবজিখেতসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন অনেকে।
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার জমিরবাড়ী চরের এলাকার আব্দুর জব্বার জানান, শীত আসলে তাদের দুঃখ বেড়ে যায়। গরম সহ্য হলেও শীত এড়ানো কঠিন। এখন শীত জেঁকে বসেছে। ঠান্ডার কারণে সকালে ঘর থেকে বের হওয়া যাচ্ছে না।
লালমনিরহাট সিভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু রায় বলেন, শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন অনেকে। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি রোগীদের সেবা দিতে বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে। জেলা ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শীতজনিত নিউমোনিয়া আক্রান্ত বেশি শিশু ভর্তি হচ্ছেন। লালমনিরহাট স্বাস্থ্য বিভাগ শীতজনিত রোগীদের সেবা দিতে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
Editor & Publisher: S. M. Mesbah Uddin
Published by the Editor from House-45,
Road-3, Section-12, Pallabi, Mirpur
Dhaka-1216, Bangladesh
Call: +01713180024 & 0167 538 3357
News & Commercial Office :
Phone: 096 9612 7234 & 096 1175 5298
e-mail: financialpostbd@gmail.com
HAC & Marketing (Advertisement)
Call: 01616 521 297
e-mail: tdfpad@gmail.com