পুঁজিবাজারে কালোটাকা বিনিয়োগের সুযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক: || ২০২০-০৬-১১ ২০:১২:০০

image

পুঁজিবাজার ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে শর্তসাপেক্ষে পুঁজিবাজারে কালোটাকা বিনিয়োগের সুযোগ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। শর্তানুয়ায়ী কালোটাকা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করলে সেই অর্থ তিন বছরের মধ্যে প্রত্যাহার করা যাবে না।

অর্থমন্ত্রী বলেন, পুঁজিবাজারকে গতিশীল করার জন্য তিন বছর লক-ইনসহ কিছু শর্তসাপেক্ষে আগামী অর্থবছরে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতারা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করে বিনিয়োগের ওপর ১০ শতাংশ কর প্রদান করলে, আয়কর কর্তৃপক্ষসহ কেউ এ বিষয়ে কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করতে পারবে না।

প্রস্তাবিত বাজেট বত্তৃদ্ধতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, কোনো কোনো করদাতার রিটার্ন দাখিলে অজ্ঞতার কারণে তাদের কিছু অর্জিত সম্পদ প্রদর্শনে ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকতে পারে। এ অবস্থায় করদাতাদের আয়কর রিটার্নের ত্রুটি সংশোধনের সুযোগ প্রদান এবং অর্থনীতির মূল স্রোতে অর্থ প্রবাহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে আয়কর অধ্যাদেশে দুটি ধারা সংযোজনের প্রস্তাব করছি।

তিনি বলেন, দেশের প্রচলিত আইনে যাই থাকুক না কেনো, আগামী ১ জুলাই থেকে ২০২১ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ব্যক্তিশ্রেণির করদাতারা আয়কর রিটার্নে অপ্রদর্শিত জমি, বিল্ডিং, ফ্ল্যাট ও অ্যাপার্টমেন্টের প্রতি বর্গমিটারের ওপর নির্দিষ্ট হারে এবং নগদ অর্থ, ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, সঞ্চয়পত্র, শেয়ার, বন্ড বা অন্য কোনো সিকিউরিটিজের ওপর ১০ শতাংশ কর প্রদান করে আয়কর রিটার্নে প্রদর্শন করলে, আয়কর কর্তৃপক্ষসহ কেউ এ বিষয়ে কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করতে পারবে না।

এদিকে করোনাভাইরাসে সৃষ্ট মহামারিতে পুঁজিবাজারে তারল্য সংকট দূর করতে বন্ড মার্কেট শক্তিশালী করার জন্য ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে উৎসে কর সমন্বয় করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেছেন, দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নে একটি শক্তিশালী বন্ড মার্কেট বিকাশের জন্য আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। এর আলোকে বন্ড লেনদেন মূল্যের ওপর উৎসে কর কর্তনের পরিবর্তে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন কর্তৃক লেনদেনে নির্ধারিত কমিশনের ওপর উৎসে কর কর্তনের প্রস্তাব করছি। এছাড়া বন্ডের সুদ ও বাট্টার ওপর উৎসে কর কর্তনের বিধান বাতিল করে সুদ ও বাট্টা পরিশোধকালে উৎসে কর কর্তনের প্রস্তাব করছি। এতে পুঁজিবাজারে বন্ডের লেনদেন বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি বক্তৃতায় উল্লেখ করেছেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকার পুঁজিবাজারকে গতিশীল করার জন্য ছয়টি স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে পুঁজিবাজারে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ বাড়ানো। মার্চেন্ট ব্যাংকার ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের সহজ শর্তে ঋণ সুবিধা পর্যালোচনা ও আইসিবি’র বিনিয়োগ বাড়ানো। এছাড়া পুঁজিবাজারের উন্নয়ন করার জন্য মানসম্মত আইপিও বহুজাতিক ও সরকারি কোম্পানি তালিকাভুক্ত করা। তিনি বলেন, পুঁজিবাজারে তারল্য সংকট কাটানোর জন্য সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংক বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী হয়েছে।

এছাড়া এবারের বাজেটে লভ্যাংশ আয়ের ওপর দ্বৈত কর প্রত্যাহার করা হয়েছে। অর্থমন্ত্রী তার বক্তৃতায় বলেন, পুঁজিবাজারের প্রতি উৎসাহিত করার জন্য কিছু কর সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। যেমন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির জন্য ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত লভ্যাংশ আয় করমুক্ত করা হয়েছে। অন্যদিকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের লভ্যাংশের ওপর দ্বৈত কর পরিহার করা হয়েছে। অন্যদিকে কোনো কোম্পানির মুনাফার কমপক্ষে ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

Editor & Publisher: S. M. Mesbah Uddin
Published by the Editor from House-45,
Road-3, Section-12, Pallabi, Mirpur
Dhaka-1216, Bangladesh
Call: +01713180024 & 0167 538 3357

News & Commercial Office :
Phone: 096 9612 7234 & 096 1175 5298
e-mail: financialpostbd@gmail.com
HAC & Marketing (Advertisement)
Call: 01616 521 297
e-mail: tdfpad@gmail.com