গত বছর আলুর দাম পাওয়ায় এ বছরও ভালো দাম ও বেশি লাভের আশায় দিনাজপুর সদর, খানসামা, ফুলবাড়ী, কাহারোল, বীরগঞ্জসহ বিভিন্ন উপজেলার মাঠে অনেক কৃষক আগাম জাতের আলু চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন। আলু চাষীরা চাষ করা জমিতে লাইন করে আগাম জাতের আলু রোপণ করেছেন।
সোমবার ( ২০ নভেম্বর) দিনাজপুরের কাহারোলের কান্তজিও এলাকায় দল বেধে চাষীরা আগাম জাতের আলু বোপন করতে দেখা গেছে । এখন পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আগাম জাতের ধান কেটে গ্রানুলা, স্টোরিজ, সেভেন জাতের আলুসহ মাঠের পর মাঠ বিভিন্ন জাতের আলু চাষ করছেন।
ফসলের মাঠে দেখা গেছে, দ্বিগুণ লাভের আশায় মাঠে মাঠে চলছে জমি প্রস্তুত ও আলু রোপণ। অনেকে জমি তৈরি, আগাছা পরিষ্কার ও বীজ সংগ্রহ করছেন। সরকারি, বেসরকারি ও কৃষক পর্যায় তিন পর্যায়েই বেড়েছে আলু বীজের দাম।
এ বছর রাজনৈতিক অস্থিতি এ ছাড়া সার, কীটনাশক, হালচাষ ও শ্রমিকের মজুরি বেশি হওয়ায় আলু উৎপাদনে খরচ বাড়বে বলে জানান কৃষক। আলু চাষিরা নিজেরাই প্রতি বছর বীজ সংর¶ণ করে রাখেন। অনেকে আবার বাজার থেকে বীজ কিনে রোপণ করেন। তুলনামূলক উঁচু জমিগুলোতে আলু চাষ শুর“ হয়েছে। অতিরিক্ত মুনাফার আশায় অনেকে তাদের জমিতে আলু চাষ শুর“ করেছেন।
কৃষি বিভাগের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছেন। কৃষকরা জানান, গত বছর আগাম আলু উত্তোলন করে ৩০-৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি। তারপরও যখন প্রকৃত চাষিদের হাত থেকে ব্যবসায়ীদের কাছে সেই আলুর দাম দ্বিগুণ হয়। এ জন্য এবারও বেশি জমিতে ৫৫ থেকে ৬০ দিনে উত্তোলনযোগ্য সেভেন জাতের আলু রোপণ করছি।
কান্তজিও এলাকার আলু চাষি আবু হারিফ বলেন, আমাদের এলাকার মাটি উঁচু এবং বালু মিশ্রিত হওয়ায় বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত না হলে আগাম আলু চাষে তেমন কোনো ভয় থাকে না। ফলনও ভালো হয়। উৎপাদিত আলু রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে চড়া দামে বিক্রি করে লাভবান হওয়া যায়। অন্যান্য ফসলের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ব্যাপক অবদান রাখে আগাম আলু চাষ। যার আলু যত আগে উঠবে সেই কৃষক তত ভালো দাম পাবেন। তাই সবাই লাভের আশায় আগাম জাতের আলু চাষে মাঠে কাজ করছি।
কৃষি বিভাগ জানায়, উঁচু মাটি আগাম আলু চাষের জন্য খুব উপযোগী। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মাঠের পর মাঠ আগাম আলু চাষে কাজ করছেন কৃষক। আগাম জাতের আলু চাষে কৃষকদের সব প্রকার সহযোগিতা ও পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে কৃষি বিভাগ।
খানসামা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ইয়াসমিন আক্তার জানান, এলাকাটি মুলত উচু এলাকা হওয়ায় আলু চাষের জন্য বেশি উপযুগী। উপজেলায় চলতি বছর ২ হাজার ২৬০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই ৩৫ হেক্টর জমিতে আগাম আলু চাষ করা হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে ১ হাজার হেক্টর জমিতে আলু রোপণের সম্ভাবনা রয়েছে।
দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. নুরুজ্জামান জানান, দিনাজপুর জেলায় আলু চাষের জন্য ২০ হাজার ৫৯০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। এর মধ্যে আগাম জাতের আলু চাষ হবে ১১ হাজার হেক্টর জমিতে। এ পর্যন্ত ৬০০ হেক্টর জমিতে আগাম জাতের আলু বীজ রোপণ হয়ে গেছে।
Editor & Publisher: S. M. Mesbah Uddin
Published by the Editor from House-45,
Road-3, Section-12, Pallabi, Mirpur
Dhaka-1216, Bangladesh
Call: +01713180024 & 0167 538 3357
News & Commercial Office :
Phone: 096 9612 7234 & 096 1175 5298
e-mail: financialpostbd@gmail.com
HAC & Marketing (Advertisement)
Call: 01616 521 297
e-mail: tdfpad@gmail.com