নাগেশ্বরীতে তেলিয়ানীর পাড় জান্নাতুন ফাতেহা দাখিল মাদ্রাসার মঞ্জুরী না থাকাসহ স্থানীয়দের অভিযোগ উপেক্ষা করে (৪নভেম্বর) শনিবার সকালে নিরাপত্তা কর্মী ও আয়া পদে ৬জন প্রার্থী নিয়ে সাজানো নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি সাজানো পরীক্ষা স্থগিত করণের।
অভিযোগ ও সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার তেলিয়ানীর পাড় জান্নাতুন ফাতেহা দাখিল মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার বাহের আলী ও সভাপতি আব্দুল হাই অতি গোপনে পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নাগেশ্বরী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কামরুল ইসলামের যোগসাজশে প্রতিষ্ঠানে (৪নভেম্বর) শনিবার সকালে নিরাপত্তা কর্মী পদে ৩জন এ কে এম আহসানুল হক প্রধান, এ কে এম আহমাদুল, চাঁন মিয়া ও আয়া পদে ৩জন হাফিজা খাতুন, রেহেনা পারভীন, আনজুমান আরা খাতুন মোট ৬জন প্রার্থীর মধ্যে প্রক্সি প্রার্থী ৪জন দিয়ে নিয়োগ পরীক্ষা নেন ডিজির প্রতিনিধি ও মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক হানিফ উদ্দিন। ভারপ্রাপ্ত সুপার বাহের আলী নাগেশ্বরী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও ডিজির প্রতিনিধি হানিফ উদ্দিন কে মোটা অঙ্কের অর্থ বিনিময়ে ম্যানেজ করে তাদের মনোনীত অর্থ হাতিয়ে নেয়া প্রার্থী নিরাপত্তা কর্মী পদে সুপার বাহের আলীর শ্যালক এ কে এম আহসানুল হক প্রধান এবং হযরত আলীর স্ত্রী হাফিজা বেগম কে বিধিমালা অমান্য করে নিয়োগ প্রদান করে। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে রিপোর্টারের উপস্থিতি পেয়ে ভারপ্রাপ্ত সুপার বাহের আলী রিপোর্টারদের তথ্য নিতে বাঁধা প্রদান করেন এবং স্বল্প সময়ে পরীক্ষা শেষ করে ডিজির প্রতিনিধি কে বিদায় দেন। এ নিয়ে এলাকার চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
তেলিয়ানীর পাড় এলাকার নুর আমিন প্রধান, আমজাদ হোসেনসহ অনেক বলেন, মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার মোঃ বাহের আলী এবং ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুস হাই যোগসাজশ ও প্রভাব খাটিয়ে অবৈধভাবে সাজানো দুই পদে তাদের মনোনীতদতের নিয়োগ দেয়া। নিয়োগ পরীক্ষা বিষয়ে আমরা এলাকাবাসীর কিছুই জানি। এই অবৈধ নিয়োগ স্থগিত করতে সংশ্লিষ্ট উধ্বতর্ন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে রিপোর্টারের উপস্থিতি পেয়ে ভারপ্রাপ্ত সুপার বাহের আলী রিপোর্টারদের তথ্য নিতে বাঁধা প্রদান করে বলেন, প্রতিটি মাদ্রাসায় এভাবে নিয়োগ হয় আর নি নিয়োগ দিতে অনেক জায়গাতেই টাকা দিতে হয়।
নাগেশ্বরী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কামরুল ইসলাম বলেন, সুপার পদ শূন্য থাকায় মাদ্রাসা মঞ্জুরী পায়নি। আপনার সাথে সভাপতি কথা বলবে। নিউজ করার প্রয়োজন নেই।
মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ও ডিজির প্রতিনিধি হানিফ উদ্দিন বলেন, নিয়োগ পরীক্ষা সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অভিযোগ পাইনি।
Editor & Publisher: S. M. Mesbah Uddin
Published by the Editor from House-45,
Road-3, Section-12, Pallabi, Mirpur
Dhaka-1216, Bangladesh
Call: +01713180024 & 0167 538 3357
News & Commercial Office :
Phone: 096 9612 7234 & 096 1175 5298
e-mail: financialpostbd@gmail.com
HAC & Marketing (Advertisement)
Call: 01616 521 297
e-mail: tdfpad@gmail.com