সাংবাদিক কল্যাণ তহবিলে ১০ কোটি টাকা দেওয়ার ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক || ২০২৩-১১-০২ ০৫:১৪:৪৬

image

সাংবাদিকদের আবাসন, দশম ওয়েজবোর্ড গঠন ও কল্যাণ তহবিলে ১০ কোটি টাকা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ ফেডারেল ইউনিয়ন অব জার্নালিস্টসের (বিএফইউজ) সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে পেশা হিসেবে সাংবাদিকতা উচ্চমানের। এ পেশা মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে আছে। আমি সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টে আরও ১০ কোটি টাকা অনুদান দেবো। মালিকরাও কিছু কিছু দিয়েন। করা দিলেন আমরা কিন্তু দেখবো। মালিকরা কেন কল্যাণ ট্রাস্টে অনুদান দেয় না? না দিলে বন্ধ করে দিতে পারি। কল্যাণ ট্রাস্টে ফান্ড দেবে, তারপর চলবে। এখানে অনেক মালিক আছে তো তাই বললাম। দেখি ভয়ে পেয়ে কিছু দেয় নাকি!

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন মালিকদের দায়িত্ব। সেটা বাস্তবায়ন না করে মামলা করলে সেটা দুর্ভাগ্যজনক। দশম ওয়েজবোর্ডের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। সেটা আমরা দেবো। টেলিভিশনের সাংবাদিকদেরও আমরা ওয়েজবোর্ডের আওতায় আনবো। অনেক সময় আপনাদের মধ্যে নানামতের কারণে অনেক কিছু সময়মতো করা যায় না, এটায় আমাদের দোষ দিয়ে লাভ নেই। তবে ঢাকার বাইরের সাংবাদিকদের ওয়েজবোর্ডে নিয়ে আসতে হবে। সামনে ওয়েজবোর্ড গঠনে মাথায় রাখতে হবে।

তিনি বলেন, সাংবাদিক কল্যাণকে অগ্রাধিকার দিয়েছি। কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করে দিয়েছি। এর বাইরেও প্রধানমন্ত্রীর কল্যাণ তহবিল থেকে অসুস্থ ও ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতা দিয়ে থাকি। আজ এখানে আসার আগেও কিছু ফাইল দেখে এসেছি, সাধ্যমতো দেওয়ার চেষ্টা করেছি। একটা জমির আবেদন দিয়েছেন আপনারা, বিষয়টি আমি দেখবো। জেলাভিত্তিক আবাসন প্রকল্প তৈরি করে দেবো। সেখান থেকে আপনারা আবাসন যাতে পান, সে ব্যবস্থা করবো।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, দেশে মানুষ যত বেশি, সংবাদপত্র তার চেয়েও বেশি। উন্নত দেশেও এত সংবাদপত্র নেই। এর বাইরেও দেশে বর্তমানে ৩৩টি বেসরকারি টেলিভিশন সম্প্রচারে আছে। আরও ১৫টা সম্প্রচারের অপেক্ষায়।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, জাতির পিতা নিজেও সাংবাদিক ছিলেন। যার কারণে আপনাদের মাঝে এলে আমি দাবি করি, আমি আপনাদেরই পরিবারের একজন। সাংবাদিক কলাকুশলীদের যাতে কর্মসংস্থান হয়, সমস্ত কিছু বেসরকারিভাবে উন্মুক্ত করে দিয়েছি। তথ্য অধিকার আইন, তথ্য কমিশন ও জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা ২০১৭, জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা ২০১৪ করেছি।

সরকার প্রধান বলেন, স্বাধীনতাবিরোধীদের এদেশে কোনো অধিকার নাই। তারা মানুষের কল্যাণ বা এদেশের কল্যাণ চায় না। আন্দোলন আমরাও করেছি। আন্দোলনের নামে বাংলাদেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করা হয়, সেটি দুঃখজনক। বিএনপি ২৮ অক্টোবর শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করবে কথা দিয়েছিল। কিন্তু তারা তা করেনি। সেখানে যেভাবে সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতন করা হয়েছে, এটা অমানবিক। আমার মনে হয়, এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা আর দেখা যায়নি।

এসময় বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, তারা ২০১৩-১৪ তেও এরকম অগ্নিসন্ত্রাস করেছে। তারা হত্যা-খুন-গুম এগুলো ভালো পারে। এত অমানবিক আচরণ একটা রাজনৈতিক দলের হয় না। বিএনপির আমলে প্রেস ক্লাবে পুলিশ ঢুকিয়ে দিয়ে পিটিয়ে ছিল।

এসময় গণমাধ্যমের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের কোনো কোনো পত্রিকা এটা (২৮ অক্টোবরের ঘটনা) কভার দেওয়ারও চেষ্টা করে, তাদের ধিক্কার জানাই। দেখা গেলো, যুবদলের একজন নেতা প্রেস লেখা জ্যাকেট পরে আগুন দিচ্ছে, পুলিশ পেটাচ্ছে। তারা ভেবেছিল, রেহাই পেয়ে যাবে। ধরা তো পরে গেছে। এর শাস্তি হবে।

তিনি আরও বলেন, আমি ফিরে এসেছিলাম এমন একটি দেশে, যেখানে আমি আমার বাবা-মার হত্যার বিচার চাইতে পারবো না। ইনডেমনিটি দিয়ে সেটির পথ রুদ্ধ করে রেখেছিল। যে আদর্শ নিয়ে এদেশের মানুষ জাতির পিতার ডাকে সাড়া দিয়ে এদেশের স্বাধীনতা এনেছে, সেটি বৃথা যেতে পারে না। স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য বাস্তবায়নে আমি এসেছি। আমাদের প্রচেষ্টা দেশের মানুষের জন্য কাজ করা।

বিএফইউজে সভাপতি ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে এবং বিএফইউজে মহাসচিব দীপ আজাদ সম্মেলন সঞ্চালনায় সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন তথ্য, সম্প্রচারমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, বিভিন্ন জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতিরা।

Editor & Publisher: S. M. Mesbah Uddin
Published by the Editor from House-45,
Road-3, Section-12, Pallabi, Mirpur
Dhaka-1216, Bangladesh
Call: +01713180024 & 0167 538 3357

News & Commercial Office :
Phone: 096 9612 7234 & 096 1175 5298
e-mail: financialpostbd@gmail.com
HAC & Marketing (Advertisement)
Call: 01616 521 297
e-mail: tdfpad@gmail.com