আলোচিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপ-নির্বাচনের ভোট গ্রহন ৫ই নভেম্বর। একাদশ সংসদের শেষ প্রান্তে হওয়া এই নির্বাচন নিয়ে ভোটারদের তেমন আগ্রহ না থাকলেও কে জয়ী হবেন এনিয়ে আলাচনা সর্বত্র। নির্বাচনে ৫ প্রতিদ্বন্ধির মধ্যে আলোচনায় দুই প্রতিদ্বন্ধি। তারা হচ্ছেন আওয়ামীলীগ প্রার্থী অধ্যক্ষ ড. শাহজাহান আলম সাজু এবং মহাজোটের সাবেক এমপি স্বতন্ত্র প্রার্থী এডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা। গত ৩০ সেপ্টেম্বর সংসদ সদস্য উকিল আবদুস সাত্তার ভূইয়ার মৃত্যুতে শূন্য হয় এ আসন। একাদশ সংসদের মেয়াদকালে তৃতীয় বারের মতো নির্বাচন হচ্ছে এই আসনটিতে। স্থগিত কেন্দ্রের পুন:ভোটের হিসেব করলে নির্বাচনের সংখ্যা হবে চার। ২০১৮ সালে বিএনপি’র মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন উকিল আবদুস সাত্তার ভূইয়া। এরপর সংসদ থেকে তার পদত্যাগে শূন্য হয় এই আসন। শূন্য এই আসনে গত ১লা ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে আওয়ামীলীগের সমর্থন নিয়ে আবারো বিজয়ী হন উকিল আবদুস সাত্তার ভূইয়া। তার মৃত্যুতে আবার উপ-নির্বাচন হচ্ছে এই আসনে। এবারের নির্বাচনে ব্যতিক্রম হচ্ছে আওয়ামীলীগ নিজ দলীয় প্রার্থী দিয়েছে। এরআগে মহাজোটের শরীক দলকে ৩বার আসনটি ছেড়ে দেয়া হয়। তবে দলের অনেক নেতার নিরব বিরোধীতা সৃষ্টি করেছে শংকার। তারপরও জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী দলের প্রার্থী অধ্যক্ষ ড. শাহজাহান আলম সাজু।
তিনি বলেন- এই আসনে নির্বাচন এখন উৎসবে পরিনত হয়েছে। সবাই ৫ তারিখের অপেক্ষায় আছে। দীর্ঘ ৫০ বছর পর আওয়ামীলীগের এই আসনটি পাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে । নৌকার প্রার্থী হিসেবে আমাকে জয়ী করবেন। আওয়ামীলীগে কোন বিভেদ নেই জানিয়ে তিনি বলেন-সবচেয়ে বড় কথা তৃনমুল হচ্ছে বড় শক্তি। কোন নেতা কি বললো এটি তারা দেখেননা। তারা দেখেন যে আওয়ামীলীগের এমপি না থাকায় উন্নয়ন ব্যহত হয়েছেন। নৌকা প্রতীক না পাওয়ায় তাদের মধ্যে কষ্ট ছিলো। আমার যিনি প্রতিপক্ষ তাকে মহাজোট প্রার্থী হিসেবে আমরাই বিজয়ী করেছিলাম। তিনি দুই বার এমপি ছিলেন। বলার মতো কোন অর্জন নেই তার। অবকাঠামো উন্নয়ন বলতে কোন কিছুই হয়নি। সমস্ত রাস্তাঘাট ভাঙ্গাচুরা। খানাখন্দে ভরা। এমপি হিসেবে এর আগে যারা ছিলেন তারা আসলে কেউই নাগরিক সুবিধের জন্যে কোন কাজ করতে পারেননি। সেকারনে দলমত নির্বিশেষে সবাই নৌকা প্রতীকে ভোট দেবেন। এলাকার মানুষ ৫০ বছর নৌকার বিজয় দেখেনি। এটিও একটি বিষয়। তাছাড়া অ ল বলতে কোন কিছু নেই। এটা প্রতীকের নির্বাচন। ইনশাল্লাহ আমি বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবো। আওয়ামীলীগ প্রার্থীর অন্যতম প্রতিদ্বন্ধি হিসেবে আলোচিত হচ্ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মহাজোট থেকে দু’বার নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য,কেন্দ্রীয় জাতীয় পার্টির সাবেক নেতা জিয়াউল হক মৃধা। কলারছড়ি প্রতীকে লড়ছেন তিনি। জয়ের আশা তারও।
তিনি বলেন-নির্বাচনে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্যে প্রতিদ্বন্ধিতা করছি। নির্বাচন জনগনের জন্যে উৎসব। মহাজোটের এমপি ছিলাম দু’বার। কয়েকদিনের জন্যে হলেও এই নির্বাচন আমার জন্যে গুরুত্বপূর্ন। এই নির্বাচন আমার পরবর্তী নির্বাচনের ফাউন্ডেশন হিসেবে কাজ করবে। আমার পক্ষে দুই উপজেলাতেই গনজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। আমি ১০ বছর সংসদ সদস্য ছিলাম। স্বাধীনতার পর আমার আমলে যে উন্নয়ন হয়েছে আর কোন এমপি তা করতে পারেনি। নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো: শাহগীর আলম বলেন-ব্যালেট পেপারসহ আনুসাঙ্গিক জিনিসপত্র পেয়েছি। ৫ তারিখ সুষ্টু ও সুন্দর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সকল ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।
Editor & Publisher: S. M. Mesbah Uddin
Published by the Editor from House-45,
Road-3, Section-12, Pallabi, Mirpur
Dhaka-1216, Bangladesh
Call: +01713180024 & 0167 538 3357
News & Commercial Office :
Phone: 096 9612 7234 & 096 1175 5298
e-mail: financialpostbd@gmail.com
HAC & Marketing (Advertisement)
Call: 01616 521 297
e-mail: tdfpad@gmail.com