পুঠিয়ার বেগুন খাদক আব্দুল গাফ্ফার

মোঃ সাজেদুর রহমান জাহিদ, পুঠিয়া (রাজশাহী) || ২০২৩-১০-১৭ ০৯:২৯:৩৭

image

পুঠিয়ার বেগুন খাদক আব্দুল গাফ্ফার। প্রতিনিদিন তিন থেকে চার কেজি কাঁচা বেগুন নিমেশেই খেয়ে ফেলতে পারেন তিনি। বেগুন খাদক আব্দুল গাফ্ফার উপজেলার ভালুগাছি ইউনিয়নের নন্দনপুর গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে। আব্দুল গাফ্ফার পেশায় একজন চার্জার ভ্যান চালক। বিগত তিন যুগ ধরে চার্জার ভ্যান চালিয়ে তিনি কাঁচামাল আনা নেওয়া করেন। কাঁচামালের মধ্যেই বেশির ভাগ সময় সে তার ভ্যানে বেগুন নিয়ে বিভিন্ন হাট-বাজারে আনা নেওয়া করে থাকেন। প্রথমে দিকে শখের বসে একটা দুইটা করে বেগুন খেতেন। বর্তমানে তিনি এক সাথে তিন থেকে চার কেজি বেগুন খেতে পারেন। এতে তার কোন ধরনের অসুবিধা হয় না। বিষয়টি এলাকায় প্রচার হওয়ার পর এলাকাবাসী তাকে বেগুন খাদক হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। 

বেগুন খাদক আব্দুল গাফ্ফারের সাথে কথা বলে জানাযায়, তিনি অন্যান্য দেশিয় ফলের চেয়ে কাঁচা বেগুন তার কাছে সুস্বাদু লাগে। তিনি বলেন, বেগুন খেয়ে আমার কোন ধরনের অসুবিধা হয়না। আগে সখের বসে দুই একটা বেগুন খেতেন। এখন বেগুন দেখলেই এক সাথে কয়েক কেজি বেগুন না খেলে থাকতে পারিনা। তাই বেগুন খাওয়া তার নেশায় পরিনত হয়েছে। 

তবে তিনি আরও বলেন, সাদা বেগুনের চেয়ে লাল গোল বেগুনটা বেশি খেতে পছন্দ করেন। এ বিষয়ে পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডাঃ আব্দুর রাজ্জাক জানান, কাঁচা বেগুন খেলে বিভিন্ন ধরনে সমস্যা হতে পারে। যেমন, সুধু বেগুন খেলে তার আন্যন্য পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাদ্য সে গ্রহন করতে পারবে না। এ কারণে তিনি পুষ্টিহীনতায় ভুগতে পারেন। কাঁচা বেগুনে বিভিন্ন ধরনের জীবানু থাকার কারণে হজমের আসুবিধা হতে পারে। এতে পেটের পিড়াসহ পাতলা পায়খানা ও বিভিন্ন ধরনে শারিরিক আসুবিধা হতে পারে। তবে বেগুন খাদক আব্দুল গাফ্ফারের শারিরিক আসুবিধা না হওয়ার বিষয়টি তিনি ব্যতিক্রমী একটি ঘটনা বলে উল্লেখ করেন। এছাড়াও বেগুন সেদ্ধ করে খাওয়াটাই শ্রেয় বলে এ চিকিৎক উল্লেখ করেন।

Editor & Publisher: S. M. Mesbah Uddin
Published by the Editor from House-45,
Road-3, Section-12, Pallabi, Mirpur
Dhaka-1216, Bangladesh
Call: +01713180024 & 0167 538 3357

News & Commercial Office :
Phone: 096 9612 7234 & 096 1175 5298
e-mail: financialpostbd@gmail.com
HAC & Marketing (Advertisement)
Call: 01616 521 297
e-mail: tdfpad@gmail.com