কুড়িগ্রামের চাচা-চাচির হাতে ভাতিজি হত্যা অবশেষে গ্রেফতার
এম এস সাগর, কুড়িগ্রাম ||
২০২৩-১০-১৩ ১১:৩৫:২২
কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলায় ৭বছরের শিশু চম্পা হত্যার ছয় বছর পর চাচা-চাচিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে বুধবার (১১অক্টোবর) গাজীপুর থেকে র্যাবের সহায়তায় তাদের গ্রেফতার করে উলিপুর থানা পুলিশের একটি দল।
গ্রেফতারকৃত দম্পতি মিন্টু বসনিয়া ও তার স্ত্রী মোর্শেদা বেগম উলিপুর উপজেলার দলদলিয়া ইউনিয়নের গনকপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। নিজ ভাতিজিকে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় জামিনে বের হয়ে ২০১৭সাল থেকে তারা পলাতক ছিলেন। পরে আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
মামলা সূত্রে পুলিশ জানায়, ২০১৩সালে মিন্টু বসুনিয়া ও তার বড় ভাই চাঁদ মিয়া মাটি কাটার কাজ করতে গিয়ে বাগবিতণ্ডার জেরে ওই এলাকার বজরুলকে মারধর করেন। এতে বজরুল গুরুতর আহত হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সে সময় বজরুল মারা গেছেন বলে গুজব ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার দায় এড়াতে এবং উল্টো বজরুলের পরিবারকে মামলায় ফাঁসাতে মিন্টু বসনিয়া ও তার স্ত্রী মোর্শেদা বেগম পরস্পর যোগসাজশে তাদের আপন ভাতিজি চাঁদ মিয়ার ৭বছরের শিশু চম্পাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পরে খোঁজাখুঁজির নাটক সাজিয়ে একপর্যায়ে মিন্টু মিয়া পাশের একটি বাঁশঝাড় হতে চম্পার লাশ শনাক্ত করেন। এ ঘটনায় প্রতিপক্ষ বজরুলের পরিবারের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হলে বজরুলের ভাতিজা হাফিজুলকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে মিন্টুর পরিবার। তবে মামলা তদন্তে ঘটনা ভিন্ন দিকে মোড় নেয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও উলিপুর থানার তৎকালীন পরিদর্শক (তদন্ত) জাকির উল ইসলাম চৌধুরী মামলাটি তদন্ত করেন। মামলার বাদী চাঁদ মিয়ার ভাই মিন্টু বসনিয়াকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে মিন্টু তার স্ত্রীসহ আপন ভাতিজিকে হত্যার স্বীকারোক্তি দেন। পরে পুলিশ তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। মিন্টু ও তার স্ত্রীকে অভিযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। কয়েক মাস কারাভোগ করে উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছাড়া পান মিন্টু ও তার স্ত্রী মোর্শেদা। এরপর তারা আত্মগোপনে চলে যান। মামলার শুনানিতে হাজির না হওয়ায় আদালত ২০১৭সালের ১৫মে এই দম্পতির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। দীর্ঘ ছয় বছর পর গত বুধবার তাদের গেফতার করে পুলিশ ও র্যাব।
আদালত সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে কুড়িগ্রাম জেলা জজ আদালতের অতিরিক্ত দায়রা জজ আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে পুলিশ আসামিদের কারাগারে পাঠায়।
উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম মর্তুজা বলেন, মামলাটি চাঞ্চল্যকর। আসামিরা আত্মগোপনে ছিল। দীর্ঘদিনের চেষ্টায় আসামিদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
Editor & Publisher: S. M. Mesbah Uddin
Published by the Editor from House-45,
Road-3, Section-12, Pallabi, Mirpur
Dhaka-1216, Bangladesh
Call: +01713180024 & 0167 538 3357