বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) চক্ষু বিজ্ঞান বিভাগ ও বাংলাদেশ ভিট্রিওরেটিনা সোসাইটির যৌথ উদ্যোগে “ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি, অযতেœ বাড়ে চোখের ক্ষতি” প্রতিপাদ্য নিয়ে বিশ্ব রেটিনা দিবস ২০২৩ পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে আজ ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ইং তারিখে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার প্রধান অতিথি হিসেবে শুভ উদ্বোধন করেন মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ। শোভাযাত্রাটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বি ব্লকের সামনে শেখ রাসেল ফোয়ারা থেকে বের হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন অংশ পদক্ষিণ করে।
এসময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চক্ষু বিজ্ঞান বিভাগ ও কমিউনিটি অফথালমোলজি বিভাগে চোখের সব ধরণের রোগের উন্নত চিকিৎসাসেবা রয়েছে। তিনি বলেন, যেকোনো দিবস পালনের উদ্দেশ্য হলো জনগণের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করা। অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসের কারণে চোখের অনেক ক্ষতি হয়। তাই ডায়াবেটিসের রোগীদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার সাথে সাথে নিয়মিত চক্ষু পরীক্ষা করা উচিত।
র্যালি শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সি ব্লকের ৭ম তলায় চক্ষু বিজ্ঞান বিভাগের ক্লাস রুমে দিবসটির উপলক্ষে একটি সেমিনারে আয়োজন করা হয়। সেমিনারে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ ডায়াবেটিস রোগীদের বছরে কমপক্ষে একবার চক্ষু চিকিৎসকদের মাধ্যমে চোখের রেটিনা পরীক্ষা করার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক রেটিনা স্পেশালিস্ট ও সার্জন এবং বাংলাদেশ ভিট্রিওরেটিনা সোসাইটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ডা. মোঃ আফজাল মাহফুজউল্লাহ এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন চক্ষু বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আব্দুল ওয়াদুদ, বাংলাদেশ ভিট্রিওরেটিনা সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোঃ আবুল বাশার শেখ, কমিউনিটি অফথালমোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোঃ শওকত কবীর, চক্ষু বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক অধ্যাপক ডা. নুজহাত চৌধুরী, বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ও বাংলাদেশ ভিট্রিওরেটিনা সোসাইটির সহ-সভাপতি ডা. তারিক রেজা আলী, বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ও বাংলাদেশ ভিট্রিওরেটিনা সোসাইটির মহাসচিব ডা. শাহানুর হাসান প্রমুখ।
সেমিনারে বলা হয়, পৃথিবীতে যেসব কারণে অন্ধত্ব হয়, ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি তার অন্যতম কারণ। ডায়াবেটিসে হার্ট, চোখ এবং কিডনির ওপর প্রভাব পড়ে সব থেকে বেশি। ডায়াবেটিসের প্রভাবে অন্ধত্ববরণও করতে পারেন, যাকে বলা হয় ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি। ডায়াবেটিস চোখের সব অংশের তুলনায় রেটিনায় বেশি ক্ষতি করে। যাঁর যত বেশিদিন ধরে ডায়াবেটিস রয়েছে, তাঁর রেটিনায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা তত বেশি। দীর্ঘদিন ধরে যাঁরা ডায়াবেটিসে ভোগেন, তাঁদের দৃষ্টিশক্তি ক্রমেই কমতে থাকে। এই পরিস্থিতিতে তৈরি হয় ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথির মতো রোগ। কারো ১০ বছর বা তারও বেশি সময় ধরে ডায়াবেটিস থাকলে এই রোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। রোগটি একেবারে শেষ পর্যায়ে ধরা পড়লে বিশেষ কিছু করার থাকে না। ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথির লক্ষণ মধ্যে রয়েছে চোখে ঝাপসা দেখা, চোখের সামনে ভাসমান কিছু দেখা, দৃষ্টিসীমানার যেকোনো অংশ কালো দেখা, আস্তে আস্তে (একসঙ্গে অথবা পর্যায়ক্রমে দুই চোখ) দৃষ্টি কমে যাওয়া, ভিট্রিয়াসে রক্তপাতের কারণে হঠাৎ করে এক চোখ দৃষ্টিহীন হতে পারে, রেটিনায় পানি জমে ফোলার কারণে দৃষ্টি ঝাপসা হওয়া, দেখতে অসুবিধা, রং আলাদা করতে অসুবিধা, চোখের চাপ বেড়ে গিয়ে ব্যথা অনুভব, দৃষ্টিহীনতা ইত্যাদি। প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে বলা হয়, ডায়াবেটিস ধরা পড়ার পর থেকে নিয়মিত প্রতিবছর একজন চক্ষু বিশেষজ্ঞ বা রেটিনা বিশেষজ্ঞ দ্বারা চোখের রেটিনা পরীক্ষা করা, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা, রক্তচাপ থাকলে তা নিয়ন্ত্রণে রাখা, রক্তের চর্বির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা, নিয়মিত হাঁটা ও ব্যায়াম, নিয়মিত ওষুধ সেবন, দুশ্চিন্তা ও বিষণ্নতা থেকে দূরে থাকা, ধূমপান ছেড়ে দেওয়া।
সেমিনারে আরো বলা হয়, ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি ধরা পড়লে তা একদম সারানো যায় না। তবে নিয়মিত চিকিৎসা, থেরাপি ও পরীক্ষার মাধ্যমে চোখের ক্ষতি এড়ানো যায়। ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি গুরুতর পর্যায়ে গেলে অপারেশন বা লেজার থেরাপি ছাড়া উপায় থাকে না। রেটিনায় রোগ প্রতিরোধ করার জন্য ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়ে থাকলে বছরে একবার রেটিনা পরীক্ষা করাতে হবে। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতেই হবে, একই সঙ্গে বছরে একবার রেটিনা পরীক্ষা করাতে হবে।
Editor & Publisher: S. M. Mesbah Uddin
Published by the Editor from House-45,
Road-3, Section-12, Pallabi, Mirpur
Dhaka-1216, Bangladesh
Call: +01713180024 & 0167 538 3357
News & Commercial Office :
Phone: 096 9612 7234 & 096 1175 5298
e-mail: financialpostbd@gmail.com
HAC & Marketing (Advertisement)
Call: 01616 521 297
e-mail: tdfpad@gmail.com