গত বছর দ: কোরিয়া ভ্রমণ করেন ১৮ হাজার বাংলাদেশি

নিজস্ব প্রতিবেদক: || ২০২০-০৮-১৮ ০৭:৪৯:১৪

image

‘ট্রাভ টক’র সহযোগিতায় ‘কোরিয়ান ট্যুরিজম অর্গানাইজেশন (কে টি ও)’র উদ্যোগে বাংলাদেশী পর্যটকদের দক্ষিণ কোরিয়ায় অধিকসংখ্যায় ভ্রমণে উদ্বুদ্ধ করার জন্য আজ মঙ্গলবার  (১৮ আগস্ট ২০২০) এক ওয়েবিনিয়ার (সেমিনার) অনুষ্ঠিত হয়।

কোরিয়ান ট্যুরিজম অর্গানাইজেশন (কে টি ও)’র পরিচালক ইয়ং গেউল চই ও মার্কেটিং ম্যানেজার সন্দীপ দত্ত এবং বাংলাদেশ ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশনের সভাপতি মো: রাফেউজ্জামান আলোচনায় অংশ নেন। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ট্যুরিজম বিশেষজ্ঞ অর্জুন চাড্ডা।

এক ঘণ্টারও বেশি সময় স্থায়ী এই অনুষ্ঠানে বিশেষ করে দক্ষিণ কোরিয়ার ৮টি প্রধান শহর এবং ১০টি ট্যুরিস্ট স্পট সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়। স্পটগুলো হচ্ছে:- ১) জিয়ংবকগুং প্রাসাদ ॥ জোসেন শাসনামলে এটা ছিল রাজ পরিবারের প্রধান ও বৈধ প্রাসাদ। ২) নামসান সিউল টাওয়ার ॥ এই টাওয়ার থেকে রাতে গোটা সিউল নগরীর অপরূপ দৃশ্য দেখা যায়। ৩) ব্যাকন হানক পল্লী ॥ এখানে রয়েছে কোরিয়ার ঐতিহাসিক ও ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন প্রসাদ, যা কৌতুহলী দর্শক মাত্রই আকৃষ্ট করে। ৪) নামিসিউম দ্বীপ ॥ এটি মুলত: একটি পাহাড় চুড়া। স্পটটি প্রকৃতিকে রক্ষা এবং পুণব্যবহারযোগ্য পদার্থ পুণর্নিবিরকরণের জন্য বিখ্যাত। ৫) লোটে ওয়ার্ল্ড ॥ এখানে সারা বছরই আনন্দ উপভোগ করা যায়। এখানে রয়েছে রহস্যময় জগত (কারোসেল), স্পেনীয় জলদস্যু জাহাজ, কৃত্রিম হ্রদের ওপর তৈরি রাইড, গাইরো ড্রপ ও গাইরা স্পিনের মত রোমাঞ্চকর রাইড। ৬) চাংদিওকগুং প্রাসাদ ও হুওন ॥ প্রাসাদগুলো জোসেন শাসনামলে তৈরি। এর প্রায় সবকটি প্রাসাদেই রাজপরিবারের সদস্যরা বসবাস করতেন। ৭) হোংদায়ে ॥ এটি একটি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। এখানকার রাস্তার দুধারে ক্যাফে, রেস্টুরেন্ট, বার ও দোকানপাট রয়েছে। ৮) ইনসা দোং ॥ স্থানটি হস্তশিল্প, স্মারক বিপনী এবং রেস্টুরেন্ট ও ক্যাফের জন্য বিখ্যাত। এসব রেস্টুরেন্টে কোরিয়ার ঐতিহ্যবাহী খাবার পাওয়া যায়। ৯) বুসান গামচিয়ন সাংস্কৃতিক পল্লী ॥ এখান থেকে বুসান পাহাড়ের গাত্রের বিচিত্র সৌন্দর্যাবলী দেখতে পাওয়া যায়। ১০) মেয়ং ডং ॥ স্থানটি ফ্যাশান, শপিং ও চমৎকার স্ট্রিট ফুডের জন্য বিখ্যাত।

প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে বিপুলসংখ্যক পর্যটক ভারত ভ্রমণে যান। এরপরই তাদের আকর্ষণীয় গন্তব্য হিসেবে রয়েছে- থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও তাইওয়ান। মুলত ভিসা সহজপ্রাপ্যতার কারণে বাংলাদেশী পর্যটকরা গন্তব্য হিসেবে এ সব দেশ বেড়াতে স্বাচ্ছন্দবোধ করেন। দক্ষিন কোরিয়ায়ও বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশী বেড়াতে যান।

গতবছর দেশটিতে প্রায় ১৮ হাজার বাংলাদেশী পর্যটক যান। তবে আগামী বছরগুলোতে এই সংখ্যা কয়েকগুন হতে পারে। বিশেষ করে সহজে ভিসা পাওয়া গেলে বাংলাদেশী পর্যটকরা আরো বেশি সংখ্যায় আগ্রহী হবেন বলে সেমিনারে মত প্রকাশ করা হয়।

Editor & Publisher: S. M. Mesbah Uddin
Published by the Editor from House-45,
Road-3, Section-12, Pallabi, Mirpur
Dhaka-1216, Bangladesh
Call: +01713180024 & 0167 538 3357

News & Commercial Office :
Phone: 096 9612 7234 & 096 1175 5298
e-mail: financialpostbd@gmail.com
HAC & Marketing (Advertisement)
Call: 01616 521 297
e-mail: tdfpad@gmail.com