সাতক্ষীরায় আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ-- ১৩ দিন পর ব্যবসায়ীকে উদ্ধার
শাহেদ উল্লাহ শাহেদ, সাতক্ষীরাঃ ||
২০২৩-০৯-১৭ ১০:০৪:০০
চট্রগ্রামের এক ব্যবসায়িকে ১৩ দিন একটি রুমে আটকে রাখার পর ভোমরা স্থলবন্দর থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ভোমরা স্থল বন্দরের সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ খানের ভাড়ার বাসা থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই ব্যবসায়িকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশ। এঘটনায় ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ খানের ম্যানেজার মহসিনকে আটক করা হয়েছে।
উদ্ধারকৃত ব্যবসায়ির নাম সাউদ সাদাত (৪৮)। তিনি চট্টগ্রামের হাটহাজারীর ফরহাদাবাদ এলাকার সামছুল আলমের ছেলে। তাকে ভোমরা সিএন্ডএফ এজন্টস এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ খানের একটি ভাড়ার বাড়ীতে আটকে রেখে শারিরীক ও মানষিক নির্যাতন করছিল বলে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন তার স্ত্রী। ওই বাসায় মাকসুদ খানের ম্যানেজার মহাসিন আলীও বসবাস করতেন।
ব্যবসায়ির স্ত্রী ফারহানা রেজা জানান, গত ১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার তার স্বামীসহ তিনজন ব্যবসার কাজে সাতক্ষীরার ভোমরাস্থল বন্দরের নাম করে বাড়ি থেকে রওয়ানা হন। ভোমরায় আসার পর ভোমরা স্থলবন্দরের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ খান তার স্বামীর সাথে থাকা অপর দু’জন ব্যবসায়িকে চলে যেতে বলেন। এবং তার ব্যবহৃত ফোনটি নিয়ে নেন। পরে তার স্বামীকে নতুন একটি নাম্বারের সিম দেন। সে নাম্বার দিয়ে তার স্ত্রীকে জানান, তাকে ভোমরায় একটি রুমে আটকে রেখে নির্যাতন করা হচ্ছে।
ভোমরা সিএন্ডএফ এজন্টস এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ খান জানান, তার সাথে চারমাস ধরে ব্যবসা চলছিল। লেনদেনও ভালো ছিল। হঠাৎ কোরবানি ঈদের দশদিন আগে তার কাছ থেকে এক কোটি ২৩ লাখ টাকার শুকনা মরিচ, রসুন, পেয়াজ নিয়ে আর টাকা দেয়নি। এবিষয়ে চট্টগ্রামের হাটহাজারি থানা ও সাতক্ষীরা সদর থানায় সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে। তাকে আটকে রাখার বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, আমার ম্যানেজারের সাথে একসাথে একরুমে থাকতো, খাওয়া-দাওয়া করতো। ১৭ সেপ্টেম্বর রোববার তার পাওনা ৫০লাখ টাকা দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেটা যাতে না দিতে হয় সেজন্য তিনি এই অপহরনের তিনি নাটক তৈরী করেছে বলে দাবী করেন।
সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মহিদুল ইসলাম বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারেন এক ব্যক্তিকে ভোমরায় আটকে রাখা হয়েছে। তাকে উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। এব্যাপারে তার পরিবার থেকে ৫ জন আসামী করে একটি এজাহার দেওয়া হয়েছে মামলা রেকর্ডের প্রস্তুতি চলছে চলছে।
Editor & Publisher: S. M. Mesbah Uddin
Published by the Editor from House-45,
Road-3, Section-12, Pallabi, Mirpur
Dhaka-1216, Bangladesh
Call: +01713180024 & 0167 538 3357