সিনহা হত্যা মামলার ৭ আসামি র‍্যাব হেফাজতে

নিজস্ব প্রতিবেদক: || ২০২০-০৮-১৪ ০১:৫৮:৩৫

image

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানকে হত্যার মামলায় আত্মসমর্পণ করা চার পুলিশ সদস্য এবং ওই ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলার তিন সাক্ষীকে ৭ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে র‍্যাব।

শুক্রবার আগস্ট সকাল পৌনে ১০ টার দিকে র‌্যাবের একটি দল আসামীদের রিমান্ডে নিতে কক্সবাজার জেলা কারাগারে পৌঁছে। পরে র‌্যাব কক্সবাজার জেলা কারাগার হতে ৭ আসামীকে রিমান্ডে তাদের হেফাজতে নিয়ে যায়।

কক্সবাজার জেলা কারাগারের সুপার মোহাম্মদ মোকাম্মেল হোসেন জানান, অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যা মামলায় আটককৃত আসামিদের মধ্যে ৭ জনকে জিঙ্গাসাবাদের জন্য র‍্যাব হেফাজতে নেয়া হয়েছে। যাদের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে তারা হলেন, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল আবদুল্লাহ আল মামুন ও এএসআই লিটন মিয়া, পুলিশ মামলার সাক্ষী মো. নুরুল আমিন, মো. নেজামুদ্দিন ও মোহাম্মদ আয়াজ।

কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম তামান্না ফারাহ ১২ আগস্ট র‌্যাবের ১০ রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে ৭ দিনের মঞ্জুর করেন।

এদিকে এই চার আসামিসহ সাত পুলিশ সদস্য গেল ৬ অগাস্ট আদালতে আত্মসমর্পণ করলে টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলি এবং এসআই দুলাল রক্ষিতকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন বিচারক। কিন্তু তাদেরকে কারাগার হতে এখনো রিমান্ডে নেয়া হয়নি।

৩১ জুলাই রাতে বাহারছড়া চেকপোস্টে তল্লাশির সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। ওই সময় তার গাড়িতে ছিলেন সিফাত নামের এক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র।

সিনহা নিহতের ঘটনায় এবং গাড়ি থেকে মাদক উদ্ধারের অভিযোগে টেকনাফ থানায় দু’টি মামলা করে পুলিশ, এতে সিনহা এবং তার সঙ্গে থাকা সিফাতকে আসামি করা হয়। আর তারা যেখানে থেকে কাজ করছিলেন সেই নীলিমা রিসোর্ট থেকে শিপ্রাকে গ্রেপ্তার করার সময় মাদক পাওয়া যায় অভিযোগ করে তার বিরুদ্ধে রামু থানায় আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়।

এর মধ্যে সিনহা নিহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় নুরুল আমিন, নেজামুদ্দিন ও আয়াজকে সাক্ষী করা হয়েছিল।

পুলিশের দায়ের করা এই তিন মামলার পর গেল ৫ অগাস্ট সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে কক্সবাজার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকতসহ নয়জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। আসামিদের মধ্যে ওসি প্রদীপসহ সাত পুলিশ সদস্য ৬ আগস্ট আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।

আদালতের নির্দেশে এই চারটি মামলায়ই এখন তদন্ত করছে র‌্যাব। পুলিশের তিন মামলায় গ্রেপ্তার সিফাত ও শিপ্রাকেও এরইমধ্যে জামিনে মুক্তি দেয়া হয়েছে।

Editor & Publisher: S. M. Mesbah Uddin
Published by the Editor from House-45,
Road-3, Section-12, Pallabi, Mirpur
Dhaka-1216, Bangladesh
Call: +01713180024 & 0167 538 3357

News & Commercial Office :
Phone: 096 9612 7234 & 096 1175 5298
e-mail: financialpostbd@gmail.com
HAC & Marketing (Advertisement)
Call: 01616 521 297
e-mail: tdfpad@gmail.com