আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ভোলায় হাটগুলোতে জমে উঠছে পশু বেচাকেনা। পছন্দের পশু কিনতে হাট গুলোতে দিন দিন বাড়ছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভিড়। তবে পশুর আমদানি বেশি হলেও দাম বেশি হওয়ায় বেচাকেনা কম। অন্যদিকে পশু কিনতে আসা ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মধ্য চলছে দর কষাকষি। তারা বাজার যাছাই বাছাই করছে।দাম কমে কিনা।
এ বছর জেলায় ৭৩টি পয়েন্টে হাট বসছে।পাশাপাশি অনলাইন প্লাট ফর্মেও বসানো হয়েছে ৮টি হাট। সেখানে ২৫ হাজার গরু বিক্রি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করছে জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।
এদিকে, হাটগুলোতে দেশীয় জাতের গরুর উপস্থিতি অনেকটা বেশি। তবে দাম নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
বিক্রেতারা বলছেন, পশুখাদ্যের দাম বাড়ায় লোকসান এড়াতে বাড়ানো হয়েছে দাম। অন্যদিকে দাম নাগালের বাইরে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।
এদিকে, এবার হাটে কাজ করছে ২১টি ভেটনারি টিম। রোগে আক্রান্ত গরু যেন বিক্রি না হয় সেজন্য হাটগুলোতে এসব ভেটনারি টিম স্থাপন করা হয়েছে।
জানা গেছে, কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে আগে থেকেই গরুকে মোটাতাজাকরণ বা রৃস্টপুস্ট করেছেন খামারিরা। বাহারি রং ও আকারের গরু দেখা গেলেও কেনা-বেচা কিছুটা কম।দেশী গরুর চাহিদাই বেশী। গত বছরের তুলনায় গরুর দাম অনেকটাই বেশিই বলে অভিযোগ করেন ক্রেতারা।
ক্রেতা নেজামুল হক পাটওয়ারী জানান, গরু দাম অনেকটা বেশি,যা অনেকটা ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। তাই হাট ঘুরে ঘুরে পছন্দের গরু কেনার চেষ্টা করছি। একই বক্তব্য অন্য ক্রেতাদের। এদিকে, পশুর খাদ্যের দাম বাড়ায় খরচ পুশিয়ে নিতে এবার বাধ্য হয়েই পশুর দাম বেশি বলে মন্তব্য খামারি ও বিক্রেতাদের।
ভোলার খামারি মনির হোসেস ও আকতার হোসেন বলেন, পশু খাদ্যের দাম বাড়ার ফলে দাম কিছুটা বেশি। আরও হাট রয়েছে তখন আরও বাড়তে পারে। এ অবস্থায় আবার যদি ভারতীয় গরু হাটে উঠে সে ক্ষেত্রে লোকসান হবে বলে মন্তব্য খামারি ও বিক্রেতাদের।এদিকে, হাটগুলোতে আক্রান্ত গরু বিক্রি বন্ধে ২১টি ভেটনারি টিম বসিয়েছে প্রাণিসম্পদ দপ্তর। আর তাই চাহিদার চেয়ে বেশি গরু সরবরাহ রয়েছে হাটগুলোতে। সরাসরি বিক্রির পাশাপাশি এবার অনলাইনেও গরু-ছাগল বিক্রি হচ্ছে বলে জানায় প্রাণিসম্পদ দপ্তর।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ইন্দ্রজিৎ কুমার মণ্ডল বলেন, চাহিদার চেয়েও প্রায় ৫ হাজার গরু সরবরাহ রয়েছে। এবার চাহিদা রয়েছে ৮৪ হাজার ৪০০ সেখানে প্রস্তুত আছে ৯১ হাজার ১০০টি গরু। জেলায় ২ হাজার ৪৪৫টি বাণিজ্যিক ও ১৫ হাজার পারিবারিক খামারে গরু, মহিষ ও ছাগল রয়েছে ৭ লাখের অধিক।
Editor & Publisher: S. M. Mesbah Uddin
Published by the Editor from House-45,
Road-3, Section-12, Pallabi, Mirpur
Dhaka-1216, Bangladesh
Call: +01713180024 & 0167 538 3357
News & Commercial Office :
Phone: 096 9612 7234 & 096 1175 5298
e-mail: financialpostbd@gmail.com
HAC & Marketing (Advertisement)
Call: 01616 521 297
e-mail: tdfpad@gmail.com