দুই বড় কর্মকর্তার ছায়ায় বহাল তবিয়তে ছিলেন প্রদীপ!

নিজস্ব প্রতিবেদক: || ২০২০-০৮-১০ ০৮:৩৭:২০

image

টেকনাফের সাবেক ওসি প্রদীপ কুমারের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালেই বিচার বহির্ভুত হত্যার অভিযোগ দাখিল করতে চেয়ে রিট হয়েছিল। লবণ ব্যবসায়ী আব্দুস সাত্তারকে ঘর থেকে ডেকে হত্যার পর বন্দুকযুদ্ধের নাটক সাজানোর দাবি করেন তার স্ত্রী। এফআইআর দাখিলের আদেশও দেন হাইকোর্ট। কিন্তু তৎকালীন আইজিপির আবেদন ও অ্যাটর্নি জেনারেলের অবস্থানের কারণেই বহাল তবিয়তেই ছিলেন প্রদীপ।

আইনজীবীরা বলছেন, আদালতের নজরে আনার পরও প্রদীপের তৎপরতা চলমান থাকার দায় পৃষ্ঠপোষকদেরও।

২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি মহেশখালী মাঝেরপাড়ার ব্যবসায়ী আব্দুস সাত্তার পুলিশের গুলিতে মারা যান। বলা হয়, পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ায়, পাল্টা গুলিতে মারা যান তিনি।

কিন্তু হাইকোর্টে করা রিটে আব্দুস সাত্তারের স্ত্রী বলছেন, ঘটনার দিন শেষ রাতে বাড়ি ঘিরে রাখে পুলিশ। কালামারছড়া পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় সকাল ৭টায়। সেখানে নয়াপড়া মসজিদের সামনে তাকে মারধর করা হয়। পরে প্রদীপ কুমার দাশই তাকে গুলি করেন। এ ঘটনার সাক্ষী ১০ জন। আসামি করা হয় প্রদীপ কুমারসহ ২৯ জনকে।

সে বছরের জুনে রিট পিটিশন আদেশে হাইকোর্ট আব্দুস সাত্তারের বিষয়টি এফআইআর হিসেবে নিতে আদেশ দেন। প্রত্যাহার চেয়ে আইজিপির পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়। যা উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করেন আদালত।

২০১৮ সালের ১৩ মে চেম্বার আদালত স্থগিতাদেশ দিলে সুপ্রিম কোর্ট আবারো শুনানির জন্য হাইকোর্টে পাঠানোর আদেশ দেন। রিটকারীর আইনজীবী বলছেন, যথাসময়ে ব্যবস্থা নিলে বিচার-বহির্ভুত হত্যার পুনরাবৃত্তি এড়ানো যেত।

রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট রাশেদুল হক খোকন বলেন, বিষয়টি আমরা কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচরে নিয়ে এসেছিলাম। ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ বিষয়টি অবগত ছিলেন। বাংলাদেশ ও মহেশখালীতে এ রকম ঘটনা ঘটছে। বিষয়টি একটু সজাগ দৃষ্টিতে দেখতেন; তাহলে এ অন্যায় বা হত্যাগুলো হতো না।

অপরাধ বিশ্লেষকরা বলছেন, বন্দুকযুদ্ধের নামে বার বার হত্যার দায় নিতে হবে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকেও।

আইন ও অপরাধ বিশেষজ্ঞ শেখ হাফিজুর রহমান বলেন, পুলিশ কর্মকর্তারা একের পর এক এ ধরনের অপরাধ করে যান। এবং তাদের ব্যাপারে ডিপার্টমেন্ট পৃষ্ঠপোষকতা দেয়, কিংবা তাদেরকে জাস্টিফাই করার চেষ্টা করেন না। এতে বিভাগ কোনোভাবে দায় এড়াতে পারে না।

এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেলের সাথে কথা বলতে চাইলে তার বক্তব্য পাওয়া যায় নি। পাওয়া যায়নি পুলিশ প্রশাসনের কারো বক্তব্যও।

Editor & Publisher: S. M. Mesbah Uddin
Published by the Editor from House-45,
Road-3, Section-12, Pallabi, Mirpur
Dhaka-1216, Bangladesh
Call: +01713180024 & 0167 538 3357

News & Commercial Office :
Phone: 096 9612 7234 & 096 1175 5298
e-mail: financialpostbd@gmail.com
HAC & Marketing (Advertisement)
Call: 01616 521 297
e-mail: tdfpad@gmail.com