দিনাজপুরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে
সুলতান মাহমুদ, দিনাজপুর ||
২০২৩-০৬-০১ ১০:১৫:৪০
চলতি বছরের মধ্যে দিনাজপুরে সর্বোচ্চ ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছেন। এই বছরের সর্বোচ্চ বলে দাবি করছেন আবহাওয়া অফিস।
আজ বৃহস্পতিবার দিনাজপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে এটি হচ্ছে চলতি বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড।
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, গত কয়েক দিনের তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ৩৮/ ৩৯ ডিগ্রি থাকলেও আজকেই সর্বোচ্চ ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বিরাজ করছে। বাতাসের আদ্রতা ৪৫ শতাংশ। দিনাজপুর সহ তারা আশপাশ এলাকায় এটি কয়েক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বলেও তিনি দাবি করেন এই তাপমাত্রা আরোও কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
পথচারী জুলফিকার আলী বলেন, আজকের যে তাপমাত্রা মনে হচ্ছে গা পুড়িয়ে যাচ্ছে। পাঁচ মিনিট রাস্তায় হাঁটলে মনে হচ্ছে গোটা ঘেমে অস্থির হয়ে যায়। মাঝেমধ্যে মনে হয় গায়ে আগুন ধরেছে। তাই একটু পরপরই হাতে মুখে পানি দিয়ে জীবনটা কোনরকম বেঁচে আছি।
পথচারী মোবারক হোসেন বলেন, আমি বীরগঞ্জ থেকে দিনাজপুরে মোটরসাইকেলে যোগে এসেছি। মনে হচ্ছে যে রাস্তা থেকে আগুন বের হচ্ছে। একদিকে আকাশ অগ্নিঝরা তাপ অপরদিকে নিচ থেকেই পিচ ঢালা রাস্তা থেকেও গরমের তাপ গায়ে লাগছে এক কথায় শরীর পুড়ে যাচ্ছে এমন অবস্থা।
লিচু ব্যবসায়ী মোজাফফর হোসেন বলেন কিছুক্ষণ পরপর শরীর থেকে যে পরিমাণ পানি বের হচ্ছে। বেঁচে থাকাই কষ্টকর। এদিকে লিচু বিক্রি করার জন্য মাঠে বসে আছি। ছাতা মাথায় নিয়ে বসে থাকলেও লিচু কিছুক্ষণের মধ্যে শুকিয়ে কাঠ হয়ে যাচ্ছে। ক্রেতা অনেকটাই শূন্য মনে হচ্ছে আজকের লিচুটাও বিক্রি করতে পারবো না। তাপমাত্রার কারণে কেউ বের হচ্ছে না।
অটোচালক মজিবর রহমান বলেন, সকাল থেকেই সূর্যের তাপমাত্রা অনেকটাই বেশি দুপুরের পর থেকে আরেকটু বেশি মনে হচ্ছে। কিছুক্ষণ আগেই একজনের কাছে জানতে পারলাম যে দিনাজপুরে আজকে ৪১ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা বিরাজ করছে। এই অবস্থায় বাহিরে কেউ চলাচল করছে না। ভাড়া ও তেমন নেই কষ্টে আছি।
ফারজানা বেগম বলেন, একদিকে অতিরিক্ত গরম অন্যদিকে লোডশেডিং জীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। কিছুক্ষণ পরপরই বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে ঘরেও থাকা যাচ্ছে না বাইরে তো গেলে গা পুড়ে যায়।
দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন অতিরিক্ত গরমের কারণে বিদ্যৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা সম্ভব হচ্ছে না। তাই মাঝেমধ্যে এক এলাকা বন্ধ করে অন্য এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে।
Editor & Publisher: S. M. Mesbah Uddin
Published by the Editor from House-45,
Road-3, Section-12, Pallabi, Mirpur
Dhaka-1216, Bangladesh
Call: +01713180024 & 0167 538 3357