মনোহরদীতে অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এক নেত্রীর অশ্লীল ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি
হাজী জাহিদ, নরসিংদী ||
২০২৩-০৫-৩১ ১৪:০৯:২০
নরসিংদীর মনোহরদীতে অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এক নেত্রীর অশ্লীল ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ তুলে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। তবে যুবলীগের সাবেক নেতা জিল্লুর রহমান তুহিন এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
জিল্লুর রহমান তুহিন মনোহরদী উপজেলা যুবলীগ ও কৃষক লীগের সাবেক সদস্য। তিনি উপজেলার একদুয়ারিয়া ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের বাসিন্দা। আর থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া নারী নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের সদস্য।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত বছর জেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোহরদী, বেলাব ও শিবপুর থেকে সদস্য পদে নির্বাচন করেন ভুক্তভোগী ওই নারী। নির্বাচনী প্রচারের সুবাদে আওয়ামী লীগ নেতা জিল্লুর রহমান তুহিনের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। পরে তুহিন নির্বাচনী প্রচারকাজ চালানো অবস্থায় সেই নেত্রীকে তাঁর বাড়িতে দাওয়াত দেন। কিন্তু বাড়িতে গিয়ে তিনি দেখেন তুহিন ছাড়া কেউ নেই। খালি বাড়িতে নিয়ে তিনি ওই নারীকে অনৈতিক প্রস্তাব দেন।
অভিযোগ অনুযায়ী, তুহিনের কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওই নারীর ফেসবুক আইডি হ্যাক করেন। পরে তাঁর কিছু ছবি সুপার এডিট করে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেন। গত ২৯ মে তুহিন ওই নারীকে ফোন করে ১০ লাখ টাকা দাবি করেন। তুহিন বলেন, ‘ওই টাকা না দিলে তুই কীভাবে মনোহরদী আসিস আমি দেখে নেব। তোর মুখে চুনকালি মেখে দেব। আমার কাছে তোর আরও অনেক অপকর্মের প্রমাণ আছে।’ এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নেত্রী থানায় লিখিত অভিযোগ দেন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী নেত্রী বলেন, ‘আমি এখন নিরাপত্তাহীনতায় আছি। আমাকে ফোন করে বলা হয়, ১০ লাখ টাকা না দিলে আমার খারাপ ছবি ফেসবুকে ছেড়ে দেবে। আমার খারাপ ছবি তিনি কোথায় পেলেন? তাই নিজের নিরাপত্তার জন্য আমি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।’
তবে জিল্লুর রহমান তুহিন এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমার বিষয়ে ওই নারী থানায় যে অভিযোগ দিয়েছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ষড়যন্ত্রমূলক। অভিযোগের তদন্ত করলেই আসল সত্য বেরিয়ে আসবে। ওই নারী একজন খারাপ চরিত্রের মানুষ। তাঁর শত শত মেসেজ ও প্রমাণ আমার কাছে আছে। তদন্ত করলে সব বেরিয়ে আসবে। আর আমি অপরাধী হলে আমার বিচার হবে। সময়মতো সব দেখতে পাবেন।’
মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফরিদ উদ্দীন বলেন, ‘অভিযোগের ব্যাপারে আমার কাছে এই মুহূর্তে কোনো তথ্য নেই। থানায় অভিযোগ করে থাকলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
Editor & Publisher: S. M. Mesbah Uddin
Published by the Editor from House-45,
Road-3, Section-12, Pallabi, Mirpur
Dhaka-1216, Bangladesh
Call: +01713180024 & 0167 538 3357