ইউএনও’র বিরুদ্ধে ছিনতাইয়ের মামলা !
মজিবুর রহমান খান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ||
২০২৩-০৫-২৮ ১১:০৩:১৫
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদের(৩৫) বিরুদ্ধে মোবাইল ছিনতাইয়ের মামলা হয়েছে। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আশুগঞ্জ আমলী আদালতে গত ২৫শে মে মামলাটি দায়ের করেন আশুগঞ্জের সোনারামপুরের মো: আশিকুর রহমান। এতে অভিযোগ করা হয়- গত বছরের ২১শে ডিসেম্বর তালশহর এলাকা থেকে তার একটি মোবাইল সেট(স্যামসং এ৫০), ৫’শ ইউএস ডলার, সাড়ে ৭ হাজার টাকা, ১ভরি স্বর্নের চেইন, ৬ আনা ওজনের আংটি ও মুল্যবান কাগজপত্র ছিনতাই হয়। এ ঘটনায় গত ১৯শে ফেব্রুয়ারী আশুগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন। এরপর পুলিশ তদন্ত করে মোবাইলের সন্ধান পায়। প্রথমে মোবাইলটি ফেরত দেয়ার আশ্বাস দেয়া হলেও পরে তালবাহানা শুরু হয়। গত ২২শে মে রনি মোবাইল ফেরত আনতে গেলে তার কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবী করা হয়। রনি জানান- এ ব্যাপারে তিনি আশুগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরী করার পর থানার এএসআই মজিবুর রহমান মোবাইলের আইএমই নাম্বার সুত্রে গত ১৭ই মে একজন নারীকে ছিনতাই হওয়া মোবাইল ব্যবহারকারী হিসেবে সনাক্ত করেন। বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নামে রেজিষ্ট্রেশন করা একটি সীম ব্যবহার হচ্ছিলো ওই মোবাইলে। মোবাইল ব্যবহারকারী পুলিশকে জানায়,এটি একজন ম্যাজিষ্ট্রেটের নাম্বার। তিনি তার পতœী। রনি আরো জানান, মামলা করার আগে বিজয়নগরের ইউএনও’র সহকারী ফয়সাল আহমেদ তাকে ফোন দিয়ে বিজয়নগর আমতলীতে গিয়ে মোবাইলটি ফেরত নিতে বলেন। পরে রনি মামলার স্বাক্ষীদের নিয়ে সেখানে গেলে ফয়সাল তার কাছে টাকা দাবী করেন। টাকা না দেয়ায় মোবাইল ফেরত দেয়া হয়নি তাকে। আশুগঞ্জ থানার এএসআই মজিবুর রহমান জানান-জালাল নামে ইউএনও অফিসের একজন ষ্টাফ মোবাইলটি ব্যবহার করছিলো। মোবাইলটি ২/৩ দিন আগে তাদের কাছে ফেরত দেয়া হয়েছে। বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ জানান-তার সীমটি তিনি জারিকারক জালালকে ব্যবহার করতে দিয়েছিলেন। এটিই তার ভুল। জালাল ঢাকা থেকে আসার সময় ভৈরব থেকে ওই মোবাইলটি কিনে আনে। এতে সে তার দেয়া সীমটি ঢুকিয়ে ব্যবহার করতে থাকে। এখন তাকে বিপদে ফেলার জন্যে ঘটনাটি বাড়ানো হচ্ছে। মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবি জাকারিয়া আহমেদ-২ জানান-মামলার আসামী ইউএনও কিনা জানিনা। ৩৯২/৪১১/৩৮৫/৫০৬(২) ধারায় মামলা হয়েছে। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্যে আশুগঞ্জ থানা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে। তবে আশুগঞ্জ থানার ওসি আজাদ রহমান জানিয়েছেন,আদালতের আদেশ তার হাতে এখনো পৌছেনি। তবে মোবাইলটি এখন তার কাছে রয়েছে।
Editor & Publisher: S. M. Mesbah Uddin
Published by the Editor from House-45,
Road-3, Section-12, Pallabi, Mirpur
Dhaka-1216, Bangladesh
Call: +01713180024 & 0167 538 3357