উৎসবমুখর পরিবেশে চলছে গাজীপুর সিটির ভোট
হাসিব খান, গাজীপুরঃ ||
২০২৩-০৫-২৫ ০১:৩১:৪৮
উৎসবমুখর পরিবেশে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন এর ভোট গ্রহণ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে ইভিএমে ভোট গ্রহণে নারী ভোটারদের ক্ষেত্রে ধীরগতি লক্ষ করা গেছে। ভোটকেন্দ্রগুলোয় পুরুষ এবং নারী ভোটারদের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা বলছেন, সকাল থেকে নারী ও পুরুষ ভোটাররা প্রায় সমানতালে ভোট দিলেও পুরুষদের তুলনামূলক কম সময় লাগছে। নারী ভোটারদের ইভিএমের পদ্ধতি বুঝতে ও আঙুলের ছাপ মেলাতে কিছুটা সময় লাগায় তাঁদের সারি দীর্ঘ হচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে ৪৮০টি কেন্দ্রে একযোগে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। ভোট সুষ্ঠু করতে সব কটি কেন্দ্রেই স্থাপন করা হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা।
নির্বাচন কমিশনের তথ্যানুযায়ী, গাজীপুর সিটিতে মোট ভোটার ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন। তাঁদের মধ্যে ৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৬২ জন পুরুষ, ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৬ জন নারী ও ১৮ জন হিজড়া। এই সিটিতে ৫৭টি সাধারণ ও ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড আছে। মোট ভোটকেন্দ্র ৪৮০টি, মোট ভোটকক্ষ ৩ হাজার ৪৯৭টি।
গাজীপুর সিটিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ৩৩২ জন প্রার্থী। তাঁদের মধ্যে মেয়র পদে ৮ জন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৭৮ এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৪৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।নির্বাচনের মেয়র প্রার্থীরা হলেন—নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজমত উল্লা খান, টেবিলঘড়ি প্রতীকে জায়েদা খাতুন (সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা), লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী এম এম নিয়াজ উদ্দিন, হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গাজী আতাউর রহমান, গোলাপ ফুল প্রতীকে জাকের পার্টির মো. রাজু আহাম্মেদ, মাছ প্রতীকে গণফ্রন্টের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম। এ ছাড়া স্বতন্ত্র থেকে মেয়র পদে ঘোড়া প্রতীকে মো. হারুন-অর-রশীদ ও হাতি প্রতীকে সরকার শাহনূর ইসলাম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা জানান, গাজীপুর সিটিতে ৪৮০টি কেন্দ্রে মোট ৪ হাজার ৪৩৫টি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। ফলে সব কটি কেন্দ্র এর আওতায় থাকবে। এসব ক্যামেরার মাধ্যমে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে নির্বাচন কমিশন। এ ক্ষেত্রে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে বড় পর্দায় ভোটের পরিস্থিতি দেখবেন ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও গণমাধ্যমকর্মীরা। সিসিটিভি ক্যামেরায় কোনো অনিয়ম দেখতে পেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া যেহেতু সব কটি কেন্দ্রে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট হচ্ছে, তাই প্রতিটি কেন্দ্রে অতিরিক্ত ভোটিং মেশিন রাখা হচ্ছে। মেশিন মেরামতের জন্য ট্রাবলশুটারও রাখা হয়েছে।
সাধারণ ভোটকেন্দ্রগুলোতে পুলিশ, আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ১৬ সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রগুলোতে দায়িত্ব পালন করবেন ১৭ জন।
প্রতিটি ওয়ার্ডে ১টি করে মোট ৫৭টি মোবাইল ফোর্স, ৩টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১টি করে মোট ১৯টি স্ট্রাইকিং ফোর্স এবং প্রতি থানায় ১টি করে মোট ৮টি রিজার্ভ স্ট্রাইকিং ফোর্স নিয়োজিত থাকবে। এ ছাড়া ২টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১টি করে ৩০টি র্যাবের টিম এবং ৫টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১ প্লাটুন করে ২০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হবে।
নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম বলেন, ‘সকাল ৮টা থেকে একযোগে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। টানা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। শেষ সময়ে যাঁরা কেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশ করবেন, তাঁদের ভোট বেশি সময় লাগলেও নেওয়া হবে।’
Editor & Publisher: S. M. Mesbah Uddin
Published by the Editor from House-45,
Road-3, Section-12, Pallabi, Mirpur
Dhaka-1216, Bangladesh
Call: +01713180024 & 0167 538 3357