সাভারে পোশাক কারখানার তৈরি হচ্ছে জাল টাকা, আটক ৩
সাভার প্রতিনিধিঃ ||
২০২৩-০৫-২৪ ০৫:৫৬:২৯
সাভারের বনগাঁও ইউনিয়নে একটি পোশাক কারখানার ভেতরে জাল টাকার কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। এঘটনায় অভিযান পরিচালনা করে তিনজনকে আটক করে কোটি টাকারও বেশি জাল টাকা উদ্ধার করা হয়। এসময় জালটাকা তৈরির সরঞ্জামাদি জব্দ করে পুলিশ।
বুধবার (২৪ মে) বেলা ১১ টা থেকে বনগাঁও সাদাপুরের পুরাতন বাড়ির বছির বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পাশে সাখাওয়াত হোসেন খানের মালিকানাধিন সাউথ বেঙ্গল এপারেলসের ভেতরে মূল অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করা হয়। এঘটনায় সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তাও জড়িত বলে জানা গেছে। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (২৩ মে) সন্ধ্যা থেকে এই কারখানাটিতে অভিযান শুরু করে পুলিশ৷
আটকরা হলেন- বরিশাল জেলার মুলাদী থানার ডিগ্রীরচর খান বাড়ির জয়নাল আবেদীন খানের ছেলে সাখাওয়াত হোসেন খান (৪৫), শরিয়তপুর জেলার পালং থানার গয়াধর গ্রামের আল ইসলাম সরদারের ছেলে সুজন মিয়া (৩০) ও বরিশাল জেলার মুলাদী থানার বয়াতিকান্দি গ্রামের মানিক মোল্লার ছেলে নাজমুল হোসেন (২৪)। এর মধ্যে সাখাওয়াত হোসেন কারখানার মালিক।
স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘ দিন থেকে কারখানাটি পরিচালনা করছেন সাখাওয়াত হোসেন খান নামের এক ব্যক্তি। তবে কারখানাটি পোশাক কারখানা হিসেবেই জানতেন স্থানীয়র। গার্মেন্টস কারখানার আড়ালে সেখানে জাল টাকার কারখানা রয়েছে তা আজ পুলিশের অভিযানের ফলে জানলো স্থানীয়রা।
অভিযান শেষে এক প্রেস ব্রিফিং এ ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান পিপিএম বলেন, আজ সকালে সাভারের অন্ধ মার্কেটের সামনে থেকে জাল টাকা দিয়ে লিচু কিনতে গেলে দোকানদারসহ স্থানীয়রা জাল নোট শানাক্ত করে ও একজনকে আটক করে সাভার থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে সাভার মডেল থানাপুলিশ আটক ব্যক্তিকে নিয়ে সাভারের বনগাঁও এর সাধাপুর পুরানবাড়ি এলাকায় ওই কারখানায় অভিযান পরিচালনা করে সম্পূর্ণ প্রস্তুত ৫০ লাখ নকল টাকা ও আরও প্রিন্ট অবস্থায় ৫০ লাখেরও বেশি টাকার সন্ধান পায়। পরে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে কারখানার সব জাল টাকা উদ্ধার করে তিনজনকে আটক করা হয়।
তিনি আরও বলেন, আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গার্মেন্টসটির অভ্যান্তরে সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তাসহ কয়েকজনের সহায়তায় জাল নোট তৈরির কারখানা গড়ে তোলে। আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে গরুর হাটে এই জাল নোট ব্যবহার করে বিপুল অর্থের মালিক হওয়ার স্বপ্ন দেখছিলেন তারা। তাদেরকে আরও ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
Editor & Publisher: S. M. Mesbah Uddin
Published by the Editor from House-45,
Road-3, Section-12, Pallabi, Mirpur
Dhaka-1216, Bangladesh
Call: +01713180024 & 0167 538 3357