স্বরূপকাঠিতে মুরগির খামারের দূর্গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী, ইউএনওর কাছে অভিযোগ
স্বরূপকাঠি (পিরোজপুর) প্রতিনিধি ||
২০২৩-০৫-২২ ০৯:৫৩:৪৫
পিরোজপুরে নেছারাবাদ উপজেলার পাটিকেলবাড়ি ব্যাসকাঠি এলাকার কুদ্দুস সিকদার দীর্ঘ দিন ধরে গ্রামের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় মুরগির খামার করে এলাকার পরিবেশ দূষিত করার অভিযোগে এনে, নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে এলাকাবাসী লিখিত আভিযোগ করেছে। গতকাল ইউএনওর কাছে ১১জনের স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
ঐ অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে কুদ্দুস সিকদারের মুরগির খামারের বিষ্ঠার দুর্গন্ধে চারপাশের বসবাস করা দায় হয়ে পড়েছে।ভুক্ত ভোগিরা জানায়, একাধিক বার তাকে ফারমটি অন্যত্র অপসারণ করতে বলা হলেও তিনি কর্নপাত করেনি। অথচ সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী, একটি মুরগির খামার স্থাপনের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রের প্রয়োজন হয়। এবং প্রাণিসম্পদ কার্যালয় থেকে রেজিস্ট্রেশন প্রয়োজন হয়।খোঁজ নিয়ে জানা গেছ এর কোনটাই তিনি নেন নি।ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা এবং জনগণের স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয় এমন স্থানে খামার স্থাপন করা যাবে না।
কুদ্দুস সিকদার এলাকার মানুষের স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা না করে দীর্ঘ দিন ধরে মুরগির খামার করে ব্যবসা করে আসছেন। বর্তমানে তার খামারে প্রায় আড়াই হাজার মুরগি রয়েছে।
ভুক্তভোগী মিন্টু ফকির বলেন, মুরগির বিষ্ঠার কারণে লোকজন দীর্ঘ দিন ধরে একটি অসহনীয় পরিবেশ দূষণের মধ্যদিয়ে আমরা জীবন যাপন করে আসছি। খামারটির নিচে চাষ করা হয়েছে মাছ। মুরগির বিষ্ঠার ফলে পানি দুষিত হয়ে পড়েছে যা ব্যাবহার করে আক্রান্ত হচ্ছে ডায়রিয়া সহ নানান রোগব্যাধীতে। এবং সরকারি রাস্তা কেটে খামারের পুকুরে পানির ব্যবস্থা করেছেন। যে কারনে ঐ রাস্তার উপর একটা ব্রীজ করার প্রয়োজন পড়ে।
খামারের চারপাশে বিশ পঁচিশ ফুটের মধ্যে রয়েছে বসতবাড়ি। এসব বাড়ি থেকে পাওয়া যায় তীব্র দুর্গন্ধ । রাস্তা দিয়ে চলাচল ও আশপাশে বসবাস করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।
খামারের কুদ্দুছ সিকদার এর বাড়িতে গিয়ে তাঁকে পাওয়া যায়নি। রবিবার বিকেলে তার ব্যাবহারিত মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
নেছারাবাদ উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর হারুন আর রশিদ বলেন, আমি মরা মাছ মাংস হাস মুরগী বাজারে বিক্রি করতে দেইনা জরিমানা করি। তাহলে এতো লোক ডায়রিয়ার আক্রান্ত হয় কিভাবে? পরে পরীক্ষা নিরিক্ষায় দেখা গেছে খামারের দুষিত পানি ব্যবহারের ফলে এরা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক এইচ এম রাসেদ জানান,অবশ্যই মুরগির খামারের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নিতে হবে। অভিযোগ পেলে খামারের মালিককে নোটিশ করি যদি সে নোটিশ অনুযায়ী কাজ না করে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা প্রানী সম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল কর্মকর্তা তাপস ঘোষ বলেন,এটা ঠিক আছে যে মুরগির খামার করতে হলে পরিবেশ অধিদপ্তরের চারপত্র লাগবে এবং প্রানী সম্পদ অফিসে রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে। তবে তার মুরগির খামারে যদি পরিবেশ দূষীত এবং ইউএনও স্যার যদি বলেন আমারা তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিবো।
এ বিষয়ে নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহাবুব উল্লাহ মজুমদার বলেন, এলাকা বাসীর পক্ষ থেকে একটা লিখিত আভিযোগ পেয়েছি
তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Editor & Publisher: S. M. Mesbah Uddin
Published by the Editor from House-45,
Road-3, Section-12, Pallabi, Mirpur
Dhaka-1216, Bangladesh
Call: +01713180024 & 0167 538 3357