ভোলায় ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র যে প্রভাব আশঙ্কা করা হয়েছিল তা হয়নি
মোঃ জহিরুল হক, ভোলা ||
২০২৩-০৫-১৪ ১০:৫৭:৫৫
ভোলায় ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র যে প্রভাব থাকার আশঙ্কা করা হয়েছিল তা হয়নি। ঘূণির্ঝড় " মোখা" কিছুটা দুর্বল হয়ে উপকূল অতিক্রমরত ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র তেমন কোন প্রভাব ভোলায় পরেনি। রোববার (১৪ মে) বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত জেলার কোথাও কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেনি। পাশাপাশি মানুষের জান-মালের তেমন ক্ষয়ক্ষতিও হয়নি। সেই সঙ্গে ভারী বর্ষণও হয়নি। এতে বাতাসের তীব্রতাও ছিল স্বাভাবিক।
স্থানীয় আবহাওয়া অফিস বলছে, মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর পানি ৩ থেকে ৪ ফুট বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে এতে জলোচ্ছ্বাসের কোনো আশঙ্কা নেই।
ভোলা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া পর্যবেক্ষক মো. মাহবুবুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মাহবুবুর রহমান জানিয়েছেন, রোববার বিকেল ৩টার পর থেকে জেলার বেশ কয়েকটি জায়গায় সূর্যের দেখা মিলেছে। এছাড়া বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মোখা বাংলাদেশ উপকূল অতিবাহিত করে মিয়ানমারে চলে গেছে। এতে কক্সবাজার ও সেন্টমার্টিন ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ভোলায় ঘূর্ণিঝড়ের কোনো ধরনের প্রভাব পড়েনি।
তবে সোমবার (১৫ মে) থেকে জেলায় কিছুটা বৃষ্টিপাত হতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, এতে মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদীর পানি ৩ থেকে ৪ ফুট বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে জলোচ্ছ্বাস হবে না। এছাড়া ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত রাতের মধ্যেই উঠিয়ে নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে, জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ডিভিশন - ১ নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ হাসানুজ্জামান জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র প্রভাবে জেলার কোথাও বেড়িবাঁধের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ডিভিশন - ২ নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ হাসান মাহমুদ জানান ঘূণির্ঝড় " মোখা" তেমন কোন প্রভাব এখানে দেয়া যায়নি।সব কিছুই স্বাভাবিক ছিল।তবে আমাদের সব কিছুই প্রস্তত ছিল।
অন্যদিকে, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করর্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) ভোলা জেলার সহকারী পরিচালক মো. শহীদুল ইসলাম জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র প্রভাব শেষ হলেও বিআইডব্লিউটিসি’র কাছ থেকে নৌযান চলাচলের কোনো অনুমতি দেওয়া হয়নি। আগামীকাল সোমবার সকালে নৌযান চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে।
সার্বিক বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রিপন কুমার সাহা জানিয়েছেন, জেলার বিভিন্ন উপজেলার আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে চরাঞ্চলের যেসব বাসিন্দারা এসেছিলেন, রোববার সন্ধ্যার আগেই তারা বসতভিটায় ফিরে গেছেন। ভোলায় ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র যে প্রভাব থাকার আশঙ্কা করা হয়েছিল তা হয়নি। যার ফলে এই জেলায় কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। সৃষ্টিকর্তা ‘মোখা’র কবল থেকে ভোলাকে রক্ষা করেছেন।
Editor & Publisher: S. M. Mesbah Uddin
Published by the Editor from House-45,
Road-3, Section-12, Pallabi, Mirpur
Dhaka-1216, Bangladesh
Call: +01713180024 & 0167 538 3357