গাঁয়ের জোরে ওয়াল ভেঙে দিয়েছে সেলিম ও বাচ্চু গ্রুপ
এ এইচ আবিল, শিবপুর, নরসিংদী ||
২০২৩-০৪-২৬ ১১:১১:১২
নরসিংদীর শিবপুর পুটিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ কারারচর খাস মহল এলাকায় দিন-দুপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে বাড়ির সীমানা প্রাচীর ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে সেলিম ও বাচ্চু গংরা।
২২ ও ২৩ এপ্রিল শনিবার গিয়াস উদ্দিনের আপন চাচাতো ভাই আয়েছ আলীর পুত্র সেলিম ও বাচ্চু, মিলন মিয়ার স্ত্রী শামীমা, খোকন মিয়া, রিপন মিয়া গংরা গিয়াস উদ্দিনের পুত্র মামুন মিয়ার সীমানা প্রাচীর আরও ১০/১৫ ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনীসহ ঈদের দিন ও ঈদের আগের দিন-দুপুরে এই সীমানা প্রাচীর ভেঙে দেয়। দুই দিন যাবত এই ভাঙচুর চালায় এই গংরা। মামুন মিয়া পরিবার নিয়ে ভেলা নগর এলাকায় বসবাস করেন। ঈদ উপলক্ষে মামুন মিয়া তার পরিবার নিয়ে গ্রামের বাড়িতে যান ঈদের দিন দুপুরে খাস মহল এলাকায় গিয়ে দেখেন সব কিছু তছনছ।
পরে তারা আশ-পাশের স্বজনদের কাছে সীমানা প্রাচীর ভেঙে দেয়ার বিষয়টি জানতে চাইলেই উপরোক্ত গংরা চড়াও হয় মামুন তার পরিবারের ওপর দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র দা, লাঠি, শাবল দিয়ে তেরে আসলে প্রাণ রক্ষার্থে তারা ঘটনাস্থল থেকে দৌড়ে পালায়।
জানা যায়, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দীর্ঘদিন ধরে গ্রাম্য শালিশ দরবার চলে আসছিলো কিন্তু সুরাহা হচ্ছে না। শালিশ দরবারে সমঝোতায় মামুন মিয়াকে দলিলাদী ও কাগজ পত্রের ভিত্তিতে ভোগ দখলের অনুমুতি দেন মাতুব্বররা। কিন্তু সেলিম ও বাচ্চু গংরা কোন কাগজ পত্রই উপস্থাপন করতে পারেনি তিনটি শালিশেই মামুন রায় পায়। গ্রাম্য মাতব্বরা চলে যাওয়ার পরই পুন:রায় দ্বন্ধে রুপ নেয়।
এই সীমানা প্রাচীর গুড়িয়ে দেয়াতে মামুন মিয়ার প্রায় ৩ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান মামুন মিয়া। তিনি আরো জানান, আমাকে ও আমার পরিবারকে জনমের তরে খতম করে দেয়ার হুমকি দিয়ে আসছে এই বাহিনী।
এ ব্যাপারে শিবপুর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন মামুন মিয়া।
পুটিয়া ইউপির দক্ষিণ কারারচর খাস মহল এলাকার ইউপি সদস্য রতন মিয়াকে এ ব্যাপারে জানতে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি তিনটি শালিশ দরবার করেছি সেলিম ও বাচ্চু তারা কোন কাগজ পত্র দেখাতে পারেনি তারা বলে কাগজ পত্রের ঘাটতি আছে পরে দেখামু।
সীমানা প্রাচীর তারা ভেঙে নেহাত অন্যায় করেছে তারা গাঁয়ের জোরে ওয়াল ভেঙেছে । জমির মা বাপ কাগজ পত্র তারা দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে একাধিকবার।
পুন:রায় শনিবার আবার শালিশ দরবার করার কথা রয়েছে।
Editor & Publisher: S. M. Mesbah Uddin
Published by the Editor from House-45,
Road-3, Section-12, Pallabi, Mirpur
Dhaka-1216, Bangladesh
Call: +01713180024 & 0167 538 3357