লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় রাতের আঁধারে টিসিবির দেয়ার সময় পণ্য না পেয়ে সফিয়ার রহমান নামে এক ডিলারকে আটকে দিয়েছেন স্থানীয় জনতা। ওই সময় পণ্য পাচারে অভিযোগ তুলে বিচারের দাবি করে এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল করেন।
রোববার রাতে ওই উপজেলার তুষভান্ডার খেলার মাঠে বিতরণের সময় এ ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ডিলারসহ ট্রাক্টারটি উদ্ধার করেন। পরে ডিলার পুনরায় অন্য বিতরণের আশ্বাস দিলে ডিলারকে ইউপি সদস্যদের জিম্মায় দেন।
স্থানীয়রা জানান, সকালে ৯০২জন সুবিধাভোগী উপজেলার তুষভান্ডার খেলার মাঠে টিসিবির পণ্য নিতে আসেন। কিন্তু রোযা রেখে ৩টি ওয়ার্ডের সুবিধাভোগীরা সকাল থেকে বিকেল ৩ টা পযর্ন্ত থাকার পরেও টিসিবির পণ্য বিতরণে গাড়ি না আসায় সুবিধাভোগিরা ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে অভিযোগ করেন। পরে চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যরা ডিলারকে জানালে সাড়ে ৩ টার দিকে টিসিবির পণ্য নিয়ে আসেন। ওই সময় ভুক্তভোগিদের তোপের মুখে পড়েন ডিলার সফিয়ার রহমান।
এদিকে পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে টিসিবির পণ্য বিতরণ শুরু করলেও কিছুক্ষণের মধ্যে পণ্য শেষ হয়ে যায়। ফলে মানুষের মাঝে উত্তেজনার চিত্র দেখা যায়। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়রা ডিলারকে অবরুদ্ধ করে রাখেন।
পরে পুলিশ খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হোন। পরে বিক্ষোভ মিছিল হলে ডিলার সফিয়ার রহমান সুবিধাভোগীদের পুনরায় পণ্য বিতরণের আশ্বাস দিতে বলেন পুলিশ সদস্যরা। এসময় টিসিবির পণ্য আবারো বিতরণ করবেন বলে আশ্বাস দিলে তাকে ছেড়ে দেন।
৬ নং ওয়ার্ডের গোলজার হোসেন বলেন, মাঠে তেল, চিনিসহ টিসিবির মালামাল বিতরণ করতে আসেন ডিলার। কিন্তু আমাদের বিষয়টি জানানো হয়নি। সারাদিন অনেক অসহায় মানুষ মালামালের জন্য গেলেও নানা ভুল-ত্রুটির অজুহাতে তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়। রমজান মাসে মানুষের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়েছে। রাতে আঁধারে খালি কার্টন রেখে নিচে টিসিবির পণ্য দেয়া ঠিক করেনি। মানুষ। বিষয়টি টের পেয়ে আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ট্রাকটি আটক করেছি।
ডিলার সফিয়ার রহমান বলেন, আমাকে খাদ্যগুদাম থেকে ২টায় দেয়া হয়েছে। তাই মাঠে বিতরণ শুরু করেছি সাড়ে ৪টার দিকে। এ কারণে সন্ধ্যা হয়েছে গেছে মাল বিতরণ করতে। পণ্য সংকটের বিষয়ে তিনি বলেন, টিসিবি পণ্য বিতরণের যে কার্ডটি করা হয়েছে সেটি স্ক্যান করেছেন তাই অনেকজনকে মাল দিতে পারি নি।
কালীগঞ্জ থানার ওসি এ টিম গোলাম রসূল বলেন, বিষয়টি শোনার পরে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরে ট্রাক্টারটি পরিষদে চেয়ারম্যানের জিম্মায় রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জহির ইমাম জানান, বিষয়টি আমাদের কেউ জানায়নি। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Editor & Publisher: S. M. Mesbah Uddin
Published by the Editor from House-45,
Road-3, Section-12, Pallabi, Mirpur
Dhaka-1216, Bangladesh
Call: +01713180024 & 0167 538 3357
News & Commercial Office :
Phone: 096 9612 7234 & 096 1175 5298
e-mail: financialpostbd@gmail.com
HAC & Marketing (Advertisement)
Call: 01616 521 297
e-mail: tdfpad@gmail.com