নেছারাবাদে জগন্নাথকাঠি -চাঁদকাঠি সড়কের বেহাল দশা খানাখন্দকে ভরা সড়ক দিয়ে ঝুকি নিয়ে চলছে যানবাহ
স্বরূপকাঠি ও কাওখালি প্রতিনিধি ||
২০২৩-০৪-০২ ১২:০৪:১৩
পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার অত্যান্ত ব্যস্ততম একটি সড়কের নাম জগন্নাথকাঠি (ইন্দুরহাট ফেরীঘাট)- চাঁদকাঠি সড়ক। উপজেলার ৬ টি ইউনিয়নের প্রায়দুই লক্ষাধিক মানুষের চলাচলের প্রধান সড়ক সড়কটি দীর্ঘদিন সংস্কার বিহীন থাকায় গোটা সড়কেই সৃষ্ঠি হয়েছে খানা খন্দকের। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডির) নিয়ন্ত্রিত এ সড়কের ১৬ কিঃ মিটারের মধ্যে প্রায় ১৪ কিলোমিটারের বেহাল অবস্থা। দুই বছর আগে দুই প্রান্তে মাত্র দুই কিলোমিটারের মেরামত কাজ করানো হয়। বাকী সড়কে দীর্ঘদিন মেরামত কাজ না করায় কার্পেটিং উঠে গিয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এমন ভাঙাচোড়া বেহাল সড়কে দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন যাতায়াত করছে। সোহাগদল গ্রামের অটো গাড়ি চালক সোহরাব হোসেন বলেন আসন্ন বর্ষা মৌসুমে যানবাহন চালাতে আরো দুর্বিসহ অবস্থার সৃষ্টি হবে। এ নিয়ে মানুষের মাঝে ক্ষোভ বাড়ছে।
জানাগেছে ইন্দুরহাট বন্দরের সাথে জেলা শহর পিরোজপুর, নাজিরপুর উপজেলা ও খুলনা শহরে যাতায়াতের সহজ মাধ্যম হলো জগন্নাথকাঠি- চাঁদকাঠি সড়ক। এছাড়াও সন্ধ্যা নদীর পশ্চিম পাড়ের ছয় ইউনিয়নের মানুষকে স্বরূপকাঠি উপজেলা সদর ও বিভাগীয় শহর বরিশালে যাতায়াতের জন্য এ সড়কটি ব্যবহার করতে হয়। প্রতিদিন এ সড়কে চার শতাধিক অটো গাড়ি, টমটম ও ৫/৬শত মোটর সাইকেলে শতশত মানুষ যাতায়াত করেন। এলজিইডি নিয়ন্ত্রিত জনগুরুত্বপূর্ন এ সড়কটির বেশীরভাগ জায়গায় গত তিন বছরেও কোনো মেরামত কাজ না করা গোটা সড়কের কার্পের্টি ওঠে গেছে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় খানা কন্দকের। ওই সড়কের সনি সিনেমা হল থেকে গুয়ারেখা ইউনিয়নের বাটনাতলা পর্যন্ত ১২-১৪ কিলোমিটারের বেশী জায়গায় অবস্থা খুবই করুন। সড়কটিতে মেরামত কাজ করা হচ্ছে না কেন জানতে চাইলে এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী শেখ মো.তৌফিক আজিজ বলেন, চাদকাঠির কালীগঙ্গা নদীতে ব্রিজ নির্মান কাজ চলমান রয়েছে । সে কারনে “সড়ক প্রশস্ত করণ প্রকল্পের আওতায়” ওই সড়কের দুই পার্শ্বে ৬ফুট চওড়া করা এবং পূর্ণাঙ্গ মেরামত কাজ করার জন্য একটি প্রক্কলন তৈরী করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। সে প্রক্কলন অনুমোদন ও টাকা বরাদ্দ হলেই কাজ শুরু করা হবে। কবে নাগাদ প্রক্কলন অনুমোদন হবে জানতে চাইলে ওই প্রকৌশলী দিন তারিখের কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারেননি।
Editor & Publisher: S. M. Mesbah Uddin
Published by the Editor from House-45,
Road-3, Section-12, Pallabi, Mirpur
Dhaka-1216, Bangladesh
Call: +01713180024 & 0167 538 3357