বাংলাদেশে ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও দুর্নীতি পরিস্থিতিসহ নানা বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর। দেশটির পর্যবেক্ষকদের মতে, ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। সিল মেরে ব্যালট বাক্স ভরা, বিরোধী দলের প্রার্থীদের এজেন্ট এবং ভোটারদের ভয় দেখানোসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে এমন অভিমত তাদের।
বিশ্ব মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার (২১ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ‘২০২২ কান্ট্রি রিপোর্টস অন হিউম্যান রাইটস প্র্যাকটিসেস’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গুম, মতপ্রকাশ ও গণমাধ্যমের বাধা, সভা-সমাবেশে বলপ্রয়োগ, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানকে বাধা, দুর্নীতি প্রভৃতি অন্যান্য সময়ের মতো অব্যাহত ছিল। তবে ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কমে এসেছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, নিরাপত্তা বাহিনীর নির্যাতন ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা না নেয়ার বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন বা দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ থাকলেও সরকার এসব অভিযোগ শনাক্ত, তদন্ত, আইনের আওতায় আনা ও শাস্তির ব্যবস্থা করার ক্ষেত্রে খুব সামান্যই পদক্ষেপ নিয়ে থাকে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার চুক্তিগুলোর আলোকে প্রণীত বিশ্ব মানবাধিকার পরিস্থিতিবিষয়ক এই বার্ষিক প্রতিবেদনে পৃথিবীর ১৯৮টি দেশ ও অঞ্চলের স্থানীয় মানবাধিকার ও শ্রমিকদের অধিকারের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র বিগত প্রায় পাঁচ দশক ধরে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসছে। যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মানবাধিকারকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র নীতির কেন্দ্রে রেখেছেন।
দেশ ও অঞ্চলভিত্তিক ‘২০২২ কান্ট্রি রিপোর্টস অন হিউম্যান রাইটস প্র্যাকটিসেস’ শীর্ষক প্রতিবেদনে কোনো আইনি সিদ্ধান্ত দেওয়া হয় না কিংবা মানবাধিকার পরিস্থিতির ভিত্তিতে প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর কোনো ক্রমতালিকা বা তুলনা করা হয় না।
বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, স্বতন্ত্র ব্যক্তির অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন একটি অধিকতর নিরাপদ, স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধশালী বিশ্ব গড়ে তুলতে সহায়তা করে। (মানুষের) মৌলিক স্বাধীনতা রক্ষা করার মধ্য দিয়ে দেশ হিসেবে আমাদের পরিচিতির মূল দিকটি ফুটে উঠে। যুক্তরাষ্ট্র সম্মান, শ্রদ্ধা ও অংশীদারত্বের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে নিয়মিতভাবে মানবাধিকারের বিষয়গুলো বাংলাদেশ সরকারের কাছে তুলে ধরছে। এই ধারা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।
Editor & Publisher: S. M. Mesbah Uddin
Published by the Editor from House-45,
Road-3, Section-12, Pallabi, Mirpur
Dhaka-1216, Bangladesh
Call: +01713180024 & 0167 538 3357
News & Commercial Office :
Phone: 096 9612 7234 & 096 1175 5298
e-mail: financialpostbd@gmail.com
HAC & Marketing (Advertisement)
Call: 01616 521 297
e-mail: tdfpad@gmail.com