কিশলয় কিন্ডারগার্টেন এন্ড স্কুল বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা

হাজী জাহিদ, নরসিংদী || ২০২৩-০৩-০৪ ০৫:১০:১৬

image

আজ  ৪/৩/২০২৩ ইং কিশলয় কিন্ডারগার্টেন এন্ড স্কুল এর উদ্যোগে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, এই বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নরসিংদী ২ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব ডাঃ আনোরুল আশরাফ খান দিলীপ মহোদয়। উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আল মুজাহিদ হোসেন তুষার মেয়র ঘোড়াশাল পৌরসভা ও সাধারণ সম্পাদক পলাশ উপজেলা আওয়ামী যুবলীগ। আরো উপস্থিত ছিলেন কামরুল ইসলাম গাজী চেয়ারম্যান জিনারদী  ইউনিয়ন পরিষদ ও সাধারণ সম্পাদক পলাশ উপজেলা আওয়ামী লীগ, সেলিনা আক্তার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পলাশ উপজেলা পরিষদ সাধারণ সম্পাদক পলাশ উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগ, আনোয়ার হোসেন আনু সভাপতি পলাশ উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগ, মোঃ নাসিম আজাদ সহ সভাপতি পলাশ উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগ, শাহনাজ পারভীন কাউন্সিলর ১'২'৩'নং ওয়ার্ল্ড ঘোড়াশাল পৌরসভা। 

এ ছাড়া ও আরো অনন্য নেত্রী বৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন, কিশলয় কিন্ডারগার্টেন এন্ড স্কুল বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব্য করেন জনাব মোঃ আব্দুল আলী ভুইয়া সভাপতি কিশলয় কিন্ডারগার্টেন এন্ড স্কুল ও সহ সভাপতি পলাশ উপজেলা আওয়ামী লীগ, ধন্যবাদান্তে ছিলেন বাবু সুর্যলাল ঘোষ পরিচালক কিশলয় কিন্ডারগার্টেন এন্ড স্কুল, কিন্ডারগার্টেন শিশুদের প্রাক-বিদ্যালয় বা বিদ্যালয়-পূর্ব উপযোগী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিশেষ। এ শব্দটি জার্মান, যার অর্থ হচ্ছে শিশুদের বাগান। 'কিন্ডারগার্টেন' শব্দটি বিখ্যাত জার্মান শিশু-শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিত্ব ফ্রেডরিখ ফ্রোয়েবল কর্তৃক সৃষ্ট হয়েছে, তিনি ১৮৩৭ সালে ব্যাড ব্ল্যাংকেনবার্গে শিশুদেরকে বাড়ী থেকে কিন্ডারগার্টেন  পর্যন্ত গমন এবং খেলা ও প্রাতিষ্ঠানিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষাগ্রহণের ধারণাকে কেন্দ্র করে এ শিক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন। তার উদ্দেশ্য ছিল, শিশুরা উপযুক্ত রক্ষণাবেক্ষনের মাধ্যমে প্রতিপালিত হবে এবং 'শিশুদের বাগান' হিসেবে কিন্ডারগার্টেনে বাগিচায় রোপিত চারাগাছের ন্যায় পরিচর্যা করা, শিশুরা তাদের অধিকাংশ সময় বাড়ীতেই অতিবাহিত করে, কিন্ডারগার্টেনে প্রবেশের পর পড়াশোনার পাশাপাশি তাদের রক্ষণাবেক্ষন, প্রতিপালন, নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি যাবতীয় ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করেন, সাহায্য-সহযোগিতার দ্বার প্রশস্ত করে পরিবেশের সাথে শিশুকে খাঁপ খাওয়ানোর মাধ্যমে পিতা-মাতা বা অভিভাবককে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা থেকে রক্ষা করার আপ্রাণ প্রয়াস চালান কর্তৃপক্ষ।
খেলাধূলা এবং পারস্পরিক ক্রিয়া বা যোগাযোগের মাধ্যমে নিয়মিতভাবে সমজাতীয় শিশুদের মিলনক্ষেত্র হিসেবে এটি সুন্দর সুযোগ।

প্রাক-কিশলয় হিসেবে কিন্ডারগার্টেনে সাধারণতঃ কোমলমতি শিক্ষার্থীর বয়সসীমা ৩ থেকে ৫ বছরের হয়ে থাকে। তাদের মনের মাঝে পারিবারিক পরিবেশই সর্বদা বিরাজমান থাকে,  অনুকূল পরিবেশই তাদের শিক্ষাজীবনের মূল ভিত্তি।

অধিকাংশ দেশে কিন্ডারগার্টেন -পূর্ব শিক্ষা পদ্ধতিতে কিন্ডারগার্টেনকে শিশুর শৈশবকালীন শিক্ষার অংশ হিসেবে নেয়া হয়েছে, কিন্ডারগার্টেন -পূর্ব শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীর মানসিক গঠন ও উন্নয়ন সংক্রান্ত মাপকাঠি দেশে-দেশে ভিন্নতা রয়েছে,  বিদ্যালয়-পূর্ব শিক্ষাপদ্ধতিতে নিম্নলিখিত বিষয়াদির মাধ্যমে শিশুর মানসিক গঠন ও মেধা বিকাশকল্পে নজর দেয়া হয় গুরুত্ব সহকারে। 

পরিবারে শিশুরা বাবা-মায়ের সহযোগিতায় পড়তে ও লিখতে চেস্টা করে থাকতো,  যে সকল শিশু পড়তে ও লিখতে জানতো তাদেরকে কিশলয়ে গমনে নিরুৎসাহিত কিংবা বাঁধা-নিষেধ আরোপ করা হতো। 
তাই ১৮১৬ সালে স্কটল্যান্ডে রবার্ট ওয়েন নামীয় একজন দার্শনিক ও শিশু শিক্ষাবিদ নিউ ল্যানার্কে 'ইনফ্যান্ট স্কুল' বা শিশু কিন্ডারগার্টেন  খোলেন, আরেকটি শিশু কিন্ডারগার্টেন  স্যামুয়েল ওয়াইল্ডারস্পিন কর্তৃক লন্ডনে ১৮১৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, কাউন্টেস থেরেসা ব্রুন্সভিক (১৭৭৫-১৮৬১) তে বুদাপেস্ট বা বুদা'য় নিজ বাড়ীতে ২৭ মে, ১৮২৮ সালে 'এঙ্গিয়েলকার্ট' বা পরীদের বাগান খোলেন। এ ধারণাটি তৎকালীন হাঙ্গেরীয়ান রাজতন্ত্রের মধ্যবিত্ত সমাজে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায় এবং অনুসরণ করে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে।
শিশুরা কিন্ডারগার্টেনে উপস্থিত হয়ে পারস্পরিক যোগাযোগ রক্ষা করাসহ একে-অপরের সাথে খেলাধূলা করবে এবং অন্যের সাথে স্বাচ্ছন্দ্যে উপযুক্ত কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করবে।

শ্রেণীকক্ষে একজন শিক্ষক বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা উপকরণ সঙ্গে রাখবেন। অতঃপর উপকরণগুলোর বাস্তবমূখী কলা-কৌশল প্রয়োগের মাধ্যমে শিশুর মনোযোগ আকর্ষণ করবেন। উপযুক্ত ভাষা ও শব্দ ভাণ্ডার প্রয়োগের মাধ্যমে পড়বেন কিংবা শিক্ষার্থীকে পড়াতে উদ্বুদ্ধ করবেন। গণিত, বিজ্ঞানসহ সঙ্গীত, কলা, সামাজিক আচার-আচরণ শেখানোও তার প্রধান দায়িত্ব, কিশলয় কিন্ডারগার্টেন এন্ড স্কুল বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে শিশুদের মাঝে দোড়, মার্সালআর্ট,কবিতা, আবর্তী,ও অনন্য মধ্যে  পুরস্কার বিতরণের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠান সমাপ্তি হয়।

Editor & Publisher: S. M. Mesbah Uddin
Published by the Editor from House-45,
Road-3, Section-12, Pallabi, Mirpur
Dhaka-1216, Bangladesh
Call: +01713180024 & 0167 538 3357

News & Commercial Office :
Phone: 096 9612 7234 & 096 1175 5298
e-mail: financialpostbd@gmail.com
HAC & Marketing (Advertisement)
Call: 01616 521 297
e-mail: tdfpad@gmail.com