আগ্রার তাজমহলের আদলে শিল্পী’র নিপূণ শৈলিতে আফতাবগঞ্জ মসজিদে স্বণের্র কারুকার্য

শাহ্ আলম শাহী, দিনাজপুর || ২০২৩-০২-২৬ ০৫:২০:৩৩

image
আগ্রার তাজমহলের আদলে শিল্পী’র নিপূণ শৈলিতে নির্মাণাধীন আফতাবগঞ্জ জামে মসজিদে স্বণের্র কারুকার্য অলংকিত হবে। এজন্যে ইতোমধ্যে এ মসজিদ নির্মাণের কাজে সমপৃক্ত প্রকৌশলী, কারিগর.শিল্পী ও শ্রমিকদের আগ্রার তাজমহল পরিদর্শন করিয়ে আনা হয়েছে। এমনি তথ্য দিলেন, আলোচিত সেই নির্মাতা দিনাজপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. দেলওয়ার হোসেন। তিনি নির্মাণাধীন মসজিদ নিয়ে দিনাজপুর জেলা পরিষদ কার্যালয়ে প্রতিদিনের বাংলাদেশ এর এ প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা বলেন মো. দেলওয়ার হোসেন। তিনি জানান, ‘আগ্রার তাজমহলের আদলে শিল্পী’র নিপূণ শৈলিতে নির্মাণাধীন দিনাজপুর আফতাবগঞ্জ দৃষ্টি নন্দন, নান্দনিক কারুকার্য আর নয়নাভিরাম এই মসজিদটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে, ৪০ কেটিরও বেশি টাকা। তিন তলা বিশিষ্ট এ মজজিদের এক সঙ্গে ৫ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে। যেহেতু পাশে আমাদের স্বপ্নপুরী বিনোদন কেন্দ্র। মানুষ স্বপ্নপুরী দেখার পর এই মসজিদ দেখবে। কিন্তু একটু ব্যতিক্রম বা সুন্দর না হলে কেনোই বা মানুষ এই মসজিদ দেখবে ? তাই ব্যতিক্রম মসজিদ তৈরি হচ্ছে। যাতে মসজিদের নান্দনিক সৌন্দর্য্য দেখতেই দর্শনার্থীরা বিভিন্ন স্থান থেকে ছুটে আসে। তাই শিল্পী’র নিপূণ শৈলিতে নির্মাণাধীন আফতাবগঞ্জ জামে মসজিদে স্বর্ণের কারুকার্য অলংকিত হবে। সোনা লাগানো হবে বেশকিছু স্থানে। আগ্রার তাজমহলের আদলে এ মসজিদ নির্মাণের কাজে সমপৃক্ত প্রকৌশলী, কারিগর.শিল্পী ও শ্রমিকদের এজন্যে ইতোমধ্যে আগ্রার তাজমহল পরিদর্শন করিয়ে আনা হয়েছে। সরজমিনে দূর থেকে দেখে মনে হয়েছে, যেনো তাজমহল বা রাজপ্রসাদ। অপরূপ সৌন্দর্য আর শৈল্পিক কারুকার্য্যে চোখ ধাধানো ডিজাইনের মিশ্রণে গড়ে তোলা এ মসজিদটি ছড়িয়েছে, আলোর দিশারী। মসজিদ নির্মাণে অনেকটা অনুসরণ করা হয়েছে, আগ্রার তাজমহলকে। দিনাজপুর শহর থেকে ৬৩ কিলোমিটার দুরে নবাবগঞ্জ উপজেলার আফতারগঞ্জ বাজারে নির্মিত মসজিদটির নান্দনিক সৌন্দর্য্য দেখতে দর্শনার্থীরা বিভিন্ন স্থান থেকে ছুঁটে আসছেন। এক বিঘা জমির উপর নির্মিত ১০ হাজার স্কোয়ার ফুটের এ মসজিদে ১৬টি পিলারের উপরে রয়েছে,৩২টি ছোট মিনার। এছাড়াও চার কোণায় সুউচ্চ চারটি মূল গম্বুজ আছে। প্রতিটি’র উচ্চতা ৯৭ ফুট। স্থাপতির নন্দন ভাবনা শৈলি ফুটে উঠেছে, এ মসজিদের গম্বুজের ভেতর ও বাইরের অংশও। ভারত,চীন ও ইতালী’র মার্বেল পাথর-গ্রানাইট ও মূল্যবান কাঠ ব্যবহার করা হয়েছে,মসজিদে। সাদা মার্বেল পাথরের উপরে ফুলদানী,ফুলের ঝার,গোলাপ ফুল,চাঁদ-তাঁরা,নক্ষত্র ও আরবি ক্যালিগ্রাফি লিপি স্থান পেয়েছে,মসজিদটি’র নকশায়। নির্মাণে প্রতিদিন কাজ করছেন, রাজমিস্ত্রী, ডিজাইনার, টেকনিশিয়ানসহ ৪০ জন। তিন তলা বিশিষ্ট এ মজজিদের তিনটি তলাতেই রয়েছে,নামাজের ব্যবস্থা। তবে নিচতলায় বিশেষ ব্যবস্থায় রয়েছে,লাইব্রেরি,সেমিনার কক্ষ,ঈমাম ও খাদেমের আবাসন ব্যবস্থা। কেন্দ্রীয়ভাবে শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত ও মসজিদের সামনে থাকবে নান্দনিক ফোয়ারা। মসজিদটি নির্মাণ করছেন,দেশের বৃহত্তম বিনোদন কেন্দ্র স্বপ্নপূরী’র স্বত্বাধিকারী আফতাব পরিবার।স্বপপূরীর কথা ভেবে আগ্রার তাজমহলের আনুসরণ করে আফতাবগঞ্জে সুদৃশ্য,নান্দনিক আধ্ুিনক স্থাপত্যের সংমিশ্রণে মসজিদটি নির্মাণ করা হচ্ছে বলে জানালেন নির্মাতারা।নির্মাতা দেলওয়ার হোসেন জানালেন, ২০১৫ সালে মসজিদটির নির্মাণ কাজ শুরু করেন। আর শেষ হবে ২০২৫ সালে।নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে,৭০ কোটি টাকারও বেশি।এক সঙ্গে ৫ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন এই মসজিদে।২০২১ সালের জুন মাস থেকে এই মসজিদে জুম্মার নামাজ আদায় করছেন মুসল্লিরা। স্থানীয় সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক জানালেন,এই মসজিদ তৈরি করছেন,তাদের আফতাব পরিবার।দিনাজপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. দেলওয়ার হোসেন তার বড় ”াচা। তার বাবা মরহুম মোস্তাফিজুর রহমানও এক সময় এই এলাকার সংসদ সদস্য ছিলেন।এমপি শিবলী সাদিক বলেন, স্থানীয় হাটের টোল তোলার পর তা মসজিদটি নির্মাণ কাজে ব্যয় হচ্ছে। অপূর্ব শৈল্পিক কারুকার্য শোভিত এবং আগ্রার তাজমহলের আদলে নির্মিত হচ্ছে,এই আফতাবগঞ্জ জামে মসজিদ। এই মসজিদটি যেমন একদিকে দর্শনার্থীদের দৃষ্টিগোচর করছে,তেমনি বিশ^ মুসল্লিম উম্মার সালাত আদায়ের জন্য নির্মিত হচ্ছে এক বিশাল আকৃতির এই স্থাপনা। আগামী দু’বছরের মধ্যেই মসজিদের কাজ সম্পন্ন হবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন।

Editor & Publisher: S. M. Mesbah Uddin
Published by the Editor from House-45,
Road-3, Section-12, Pallabi, Mirpur
Dhaka-1216, Bangladesh
Call: +01713180024 & 0167 538 3357

News & Commercial Office :
Phone: 096 9612 7234 & 096 1175 5298
e-mail: financialpostbd@gmail.com
HAC & Marketing (Advertisement)
Call: 01616 521 297
e-mail: tdfpad@gmail.com