ভোলা সহ উপকূলীয় ৫ জেলায় জলচর পাখি শুমারি শুরু

মোঃ জহিরুল হক, ভোলা || ২০২৩-০১-১৩ ১১:৫৯:২৩

image
অতিথি পাখিদের সংরক্ষণে ভোলা সহ উপকূলীয় ৫ জেলায় শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে ৯ দিনের জলচর পাখি শুমারি-২০২৩। সকালে ভোলা জেলার খেয়াঘাট এলাকার ভোলার খাল থেকে একটি ট্রলারে বিশিষ্ট পাখি গবেষক ও বাংলাদেশ বার্ডস ক্লাবের সহ-সভাপতি সায়েম ইউ চৌধুরী’র নেতৃত্বে আট সদস্যর একটি দল এই কার্যক্রম শুরু করে। দলটি ভোলা, বরিশাল, পটুয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালীর উপকূলীয় এলাকার বিভিন্ন চরে এই শুমারি পরিচালনা করবে। বাংলাদেশ বার্ডস ক্লাব, বন অধিদপ্তর, টেকসই বন ও জীবিকা প্রকল্প (সুফল), প্রকৃতি ও জীবন, প্রকৃতি সংরক্ষণের জন্য আন্তর্যাতিক ইউনিয়নের (আইইউসিএন) এই পাখি শুমারির আয়োজন করে। পর্যবেক্ষক দলের অন্যরা হলো পাখি পর্যবেক্ষক ও পর্বতারোহী এম এ মুহিত, বার্ডস ক্লাবের সদস্য মো: ফয়সাল, অনু তারেক, নাজিমুদ্দিন খান, বন বিভাগের জহুরা মিলা, আইইউসিএন বাংলাদেশের কাজী জেনিফার আজমেরি, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের গবেষণা কর্মকর্তা শিহাব খালেদী। শীতের সময় সাইবেরিয়া, তিব্বত, মোঙ্গলীয়াসহ বিভিন্ন এলাকা বরফে ঢেকে যায়। এতে করে পাখিদের খাবারের অভাব হয়। তখন এসব পাখিরা খাবারের খোঁজে বাংলাদেশে আসে। বিশেষ করে ভোলা খুবই সমৃদ্ধ অতিথি পাখির জন্য। তাই গত কয়েক দশক ধরে এই এলাকায় পাখি শুমারি হয়ে আসছে। গণনা শেষে প্রতিবেদনটি ওয়েটল্যান্ডস ইন্টারন্যাশনাল নামের আন্তজার্তিক সংস্থা বই আকারে প্রকাশ করবে। পর্যবেক্ষক দলের প্রধান বিশিষ্ট পাখি গবেষক ও বাংলাদেশ বার্ডস ক্লাবের সহ-সভাপতি সায়েম ইউ চৌধুরী জানান, দেশে অতিথি পাখিদের বিচরণের ক্ষেত্রে এই অঞ্চল বেশ গুরুত্বপূর্ণ। শুমারিতে পাখি গণনার জন্য বায়নোকূলার ও টেলিস্কোপ ব্যবহার করা হয়। পাখির সংখ্যা যখন কম থাকে (৩’শ থেকে ৪’শ) তখন একটা একটা করে গুণে ফেলা যায়। কিন্তু যখন পাখির সংখ্যা হাজার বা লাখে থাকে তখন ব্লক ম্যাথড (পদ্ধতি) এর মাধ্যমে গণনা করা হয়। তিনি বলেন, শুধু পাখি গণনা নয়, পাখিদের জীবন, অবাধ বিচরণ নিশ্চিত করার পাশাপাশি পাখিদের রক্ষায় এই কার্যক্রম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বাংলাদেশ বার্ডস ক্লাব সদস্য মোঃ ফয়সাল বলেন, এসব পাখিরা সারাবছর এক স্থানে থাকেনা। ওদের জীবন যাপনের প্রণালিই এরকম। অনেক বছরের গণনার ফলে দেখা যায় প্রতিটা প্রজাতির সংখ্যার তারতম্য হচ্ছে কিনা। যদি সংখ্যা বৃদ্ধি পায় তাহলে বুঝতে হবে অবস্থা ভালো। আর যদি ক্রমাগত কমতে থাকে তাহলে বুঝতে হবে প্রজাতিটা হুমকিগ্রস্ত হচ্ছে। পাখি পর্যবেক্ষক ও পর্বতারোহী এম এ মুহিত জানান, কোন দেশের প্রকৃতির অবস্থা বোঝা যায় সে দেশের পাখির অবস্থা কেমন তার উপর। সর্বশেষ গতবছর পাখি শুমারিতে এই অঞ্চলে ৫৮ প্রজাতির প্রায় ৪০ হাজার অতিথি পাখি দেখা গেছে। যার মধ্যে ভোলার বিভিন্ন স্থানে প্রায় ৬০ ভাগ পাখি রয়েছে।

Editor & Publisher: S. M. Mesbah Uddin
Published by the Editor from House-45,
Road-3, Section-12, Pallabi, Mirpur
Dhaka-1216, Bangladesh
Call: +01713180024 & 0167 538 3357

News & Commercial Office :
Phone: 096 9612 7234 & 096 1175 5298
e-mail: financialpostbd@gmail.com
HAC & Marketing (Advertisement)
Call: 01616 521 297
e-mail: tdfpad@gmail.com