গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার শ্রীফলতলী এলাকায় একটি অবৈধ কারখানায় নোংরা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে অবাধে তৈরি হচ্ছে নি¤œমানের শিশু খাদ্য সন্দেশ। অনুমোধন বিহীন মোড়ক লাগিয়ে দেদারছে বিক্রি করে যাচ্ছে একটি চক্র। বিভিন্ন সময় অভিযান ও জরিমানা করেও অবৈধ কারখানা বন্ধ না হওয়ায় চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে শিশুরা। ওই অবৈধ সন্দেশ কারখানাটি অচিরেই বন্ধের দাবী জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
শনিবার দুপুরে সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কালিয়াকৈর উপজেলার শ্রীফলতলী এলাকায় দীর্ঘদিন আগে গড়ে উঠেছে অবৈধ সন্দেশ কারখানা। মানিকগঞ্জ থেকে শুভরাজ নামে এক ব্যক্তি ওই এলাকায় অপূর্ব সন্দেশ নামে একটি কারখানা গড়ে তোলেন। বিভিন্ন বাজারের মিষ্টির দোকান থেকে ফেলে দেওয়া মিষ্টির গাদ কম দামে কিনে আনেন শুভরাজ। ওই মিষ্টির গাদের সোটা, রং, নি¤œমানের সুজি ও আটা মিশিয়ে চুলাতে জ¦াল করা হয়। সেগুলো ষ্টেলের প্লেটে ঢেলে কয়েকজন নারী-পুরুষ শ্রমিক দিয়ে ছোট ছোট খন্ড করে নোংরা পরিবেশে তৈরি করা হচ্ছে শিশু খাদ্য সন্দেশ। ওই কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের হাতে কোনো গ্লাফস নেই, আবার খালি গায়েও আছেন কোনো কোনো শ্রমিক। তাদের শরীরের গাম ঝরে পড়ছে ওই শিশু খাদ্য সন্দেশের ওপর। এছাড়াও পাশের ডোবা ও টয়লেটের মশা-মাছি জীবানুসহ অনায়াসে সন্দেশ তৈরির উপকরন ও সন্দেশে আনাগোনা করছে। পরে প্লাস্টিকের বাটিতে জীবানুযুক্ত সন্দেশ ভরে এবং ভূয়া মোড়ক লাগিয়ে বাজারজাত করা হচ্ছে। ওই মোড়কে প্রস্তুতকারক অপূর্ব ফুড প্রোডাক্টস লেখা থাকলেও তারও বিএসটিআইয়ের কোনো অনুমোদন নেই। পরে উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ও গ্রামগঞ্জের বিভিন্ন দোকানে ওই সন্দেশগুলো বিক্রি করা হচ্ছে। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের জীবানুযুক্ত ওই সন্দেশ খেয়ে শিশুরা ডাইরিয়া, কলেরা, ট্রাইফয়েট, পেট ব্যাথা এলার্জিসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এসব খাবার খেয়ে শিশুদের কিডনি জনিত সমস্যাও হতে পারে বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের চিকিৎসকরা। এতে চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে আছেন শিশুরা। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সন্নিকটে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ ভাবে সন্দেশ কারখানাটি চলে আসলেও যেন দেখার কেউ নেই। এর আগেও উপজেলা প্রশাসন অভিযান চালিয়ে জরিমানা করলেও অজ্ঞাত ক্ষমতাবলে আবারো দেদাচ্ছে চলছে অবৈধ কারখানাটি। তবে অতিশিগ্রই ওই অবৈধ সন্দেশ কারখানাটি বন্ধ করে শিশু স্বাস্থ্য নিশ্চিতের দাবী জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওই অবৈধ কারখানার মালিক শুভরাজ ক্ষেপে গিয়ে বলেন, আমরা ব্যবসা করে খাই, মদের ব্যবসা তো আর করছি না। এতে জেল জরিমানা হলে হবে, এতে কোনো সমস্যা নাই।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেবব্রত রায় জানান, এসব খাবার খেয়ে শিশুরা ডাইরিয়া, কলেরা, ট্রাইফয়েট, পেট ব্যাথা এলার্জিসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারে। এমন কি এসব খাবার খেয়ে শিশুদের কিডনি জনিত সমস্যাও হতে পারে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ জানান, অতিশিগ্রই ওই সন্দেশ কারখানায় অভিযান চালিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হবে।
Editor & Publisher: S. M. Mesbah Uddin
Published by the Editor from House-45,
Road-3, Section-12, Pallabi, Mirpur
Dhaka-1216, Bangladesh
Call: +01713180024 & 0167 538 3357
News & Commercial Office :
Phone: 096 9612 7234 & 096 1175 5298
e-mail: financialpostbd@gmail.com
HAC & Marketing (Advertisement)
Call: 01616 521 297
e-mail: tdfpad@gmail.com