ডিজিটাল বাংলাদেশের বাতিঘর হিসেবে দেশব্যাপী ছড়িয়ে থাকা ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে জনগণের দোরগোড়ায় সরকারি-বেসরকারি সকল সেবা পৌঁছে দেওয়ার ১ যুগ উদযাপন করছে এটুআই। ডিজিটাল সেন্টারের এই দীর্ঘ পথচলার যুগপূর্তি উদযাপন উপলক্ষ্যে শুক্রবার ১১ নভেম্বর ২০২২ তারিখে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, এমপি। একই সাথে সকল জেলা, উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায়েও ডিজিটাল সেন্টারের ১ যুগ পূর্তি উপলক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি বাস্তবায়নের পাশাপাশি ‘স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১: সবার জন্য স্মার্ট সেবা’ শীর্ষক ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতায় বাস্তবায়নাধীন এবং ইউএনডিপি’র সহায়তায় পরিচালিত ‘এটুআই’ আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলম পিএএ এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. মহঃ শের আলী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এটুআই-এর প্রকল্প পরিচালক(যুগ্মসচিব) ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর। অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এটুআই-এর পলিসি অ্যাডভাইজার আনীর চৌধুরী, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস) এর সভাপতি ইঞ্জি. সুব্রত সরকার, বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সমিতির সভাপতি মো. বেলায়েত হোসেন গাজী বিল্লাল এবং ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) প্রেসিডেন্ট শমী কায়সার।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক, এমপি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১০ সালের ১১ নভেম্বর সারাদেশে ডিজিটাল সেন্টারের এই মডেল প্রতিষ্ঠা করেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনিমার্ণে ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তাদের স্মার্ট উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি করা হবে। এজন্য সারাদেশে ছড়িয়ে থাকা ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তাদের জন্য অনলাইন ও অফলাইনে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। দেশের ৮৭ হাজার গ্রামে একটি করে ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন করা হবে, যাতে প্রতি ৫ কিলোমিটারের পরিবর্তে প্রতি ২ কিলোমিটারের মধ্যে একটি করে ডিজিটাল সেন্টার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জনগণের হাতের নাগালে সকল সেবা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়। ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে ইউনিক সেবাগুলোকে জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য নারী উদ্যোক্তাদের জন্য দক্ষতা উন্নয়নমূলক বিশেষ প্রশিক্ষণ ও ইন্টার্নশীপের ব্যবস্থা করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, নারী-পুরুষের মধ্যে অংশীদারিত্বমূলক পরিবেশ তৈরির মাধ্যমে প্রতিটি ডিজিটাল সেন্টারকে গ্রামীণ অর্থনৈতিক হাব হিসেবে প্রতিষ্ঠায় উদ্যোক্তারা যেনো কাজ করতে পারেন সেজন্য আমাদের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। প্রয়োজনে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবের অবকাঠামোকে কাজে লাগিয়ে ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে এগুলোকে ব্যবহারের সুযোগ প্রদান করা হবে। সারাদেশের ইউনিয়ন, পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশন এবং গ্রোথ সেন্টার ক্যাটাগরিতে থাকা ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তাদের জন্য গাইডলাইন চূড়ান্তকরণের জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং এটুআইকে উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান আইসিটি প্রতিমন্ত্রী।
সভাপতির বক্তব্যে এটুআই-এর প্রকল্প পরিচালক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেন, নাগরিকের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে ডিজিটাল সেন্টার একটি সফল রোল মডেল হিসেবে বৈশ্বিকভাবেভাবে স্বীকৃত। দেশব্যাপী ৮,৮০৫টি ডিজিটাল সেন্টারে পুরুষ ও নারী উদ্যোক্তা সমন্বিতভাবে বিগত ১ যুগ ধরে সরকারি-বেসরকারি সকল সেবা সহজে দ্রুত ও স্বল্প ব্যয়ে নাগরিকদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছে।
এটুআই এর পলিসি অ্যাডভাইজার আনীর চৌধুরী বলেন, ডিজিটাল সেন্টারগুলোতে নতুন নতুন জনবান্ধব সেবা যুক্ত করার লক্ষ্যে- এটুআই সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও স্টেকহোল্ডারদের সাথে কাজ করছে। সারাদেশের ডিজিটাল সেন্টারগুলোকে দেশের সকল উপজেলার কুটির, অতি ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি (সিএমএসএমই) শিল্প হাব হিসেবে তৈরি করতে আমরা ইতোমধ্যে কার্যক্রম শুরু করেছি।
অনুষ্ঠান শেষে প্রতিমন্ত্রী ‘স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১: সবার জন্য স্মার্ট সেবা’ শীর্ষক ক্যাম্পেইনের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
Editor & Publisher: S. M. Mesbah Uddin
Published by the Editor from House-45,
Road-3, Section-12, Pallabi, Mirpur
Dhaka-1216, Bangladesh
Call: +01713180024 & 0167 538 3357
News & Commercial Office :
Phone: 096 9612 7234 & 096 1175 5298
e-mail: financialpostbd@gmail.com
HAC & Marketing (Advertisement)
Call: 01616 521 297
e-mail: tdfpad@gmail.com