সাবেক দিনাজপুর ঘোড়াঘাট ইউএনও এবং তার বাবা কে হত্যা চেষ্টা মামলায় ১৩ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, ১৩ হাজার টাক
সুলতান মাহমুদ, দিনাজপুর ||
২০২২-১১-০৮ ১০:৪৪:৩৩
দিনাজপুর ঘোড়াঘাট সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও) ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা বীরমুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখকে হত্যা চেষ্টা মামলার একমাত্র আসামী রবিউল ইসলাম (৪২) কে ১৩ বছর কারাদণ্ড প্রদান করেছে আদালত।
আরো ১৩ হাজার টাকা অর্থ জরিমানা করেছে। অনাদায় আরোও নয় মাস কারাদণ্ড।
আজ মঙ্গলবার সকাল দশটা ৪৫ মিনিটে মামলার রায় ঘোষনা করেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালত এবং স্পেশাল ট্রাইবোনাল ৩ এর বিচারক সাদিয়া সুলতানা এই রায় ঘোষণা করেন।
দিনাজপুর জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউশন (পিপি) অ্যাডভোকেট রবিউল ইসলাম রবি রায় ঘোষনার এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
দিনাজপুর কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মনিরুজ্জামান বলেন গত ২৬ সেপ্টেম্বর এই মামলাটির যে যুক্তিতর্ক শেষ হয়। আজ ৮ নভেম্বর একমাত্র আসামীর উপস্থিতিতে এই মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।
তিনি আরও জানান, মামলাটিতে মোট ৫৩ জন সাক্ষী দিয়েছেন। মামলায় একমাত্র আসামি ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনের বরখান্ত মালি রবিউল ইসলাম উচ্চতর আদালত থেকে জামিনে রয়েছেন। তবে আজ তার উপস্থিতিতেই আদালতে বিচারিক কার্যক্রম পরিচালিত করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রবিউল ইসলাম রবি বলেন স্বল্প সময়ের মধ্যে এই রায় প্রতিষ্ঠিত হয় আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং এই রায় আমরা অনেকটা সন্তুষ্ট ভিকটিম এ রায় সন্তুষ্ট প্রকাশ করেছেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুস সামাদ, বলেন এই মামলাটিতে কোনভাবেই প্রমাণিত করতে পারেনি যে আমার মক্কেল এই মামলার সাথে জড়িত। আমরা এই রায়ের প্রতি উচ্চ আদালতে আপিল করব আশা করছি উচ্চ আদালতে আপিল করলে আমার মক্কেল সুষ্ঠু বিচার পাবেন।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সরকারি ডাক বাংলাতে ঘোড়াঘাট উপজেলা ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলী শেখের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। ৩ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টায় তাদেরকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে দুপুর ১টায় হেলিকপ্টার যোগে ওয়াহিদা খানমকে রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স ও হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ভাই শেখ ফরিদ বাদী হয়ে ঘোড়াঘাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ ও র্যাব কয়েক জনকে আটক করেন। ১১ সেপ্টেম্বর রাতে জেলার বিরল উপজেলার বিজোড়া ইউনিয়নের বিজোড়া গ্রামের খতিব উদ্দীনের ছেলে ও ঘোড়াঘাটের ইউএনও বাসভবনের সাবেক কর্মচারী রবিউল ইসলামকে আটক করা হয়।
২০ সেপ্টেম্বর তাকে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত-৭ এর বিচারক ইসমাইল হোসেনের এজলাসে উপস্থিত করা হলে তিনি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ২১ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি ইমাম জাফর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে রবিউলের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।
Editor & Publisher: S. M. Mesbah Uddin
Published by the Editor from House-45,
Road-3, Section-12, Pallabi, Mirpur
Dhaka-1216, Bangladesh
Call: +01713180024 & 0167 538 3357