শুঁটকি মাছ তৈরিতে ব্যস্ত সিরাজগঞ্জের শ্রমিকেরা

নাজমুল হোসেন, সিরাজগঞ্জ || ২০২২-১০-২৮ ১২:৫০:২২

image
চলন বিল বাংলাদেশের তথা উত্তরাঞ্চলের একটি বৃহৎ বিল। এটি নাটোর, সিরাজগঞ্জ, এবং পাবনা জেলা জুড়ে বিস্তৃত। সাতচল্লিশটি নদী ও অন্যান্য জলপথ চলন বিলের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। দেশের মৎস্যভাণ্ডার খ্যাত চলনবিল নামে পরিচিত। সিরাজগঞ্জের তাড়াশ, রায়গঞ্জ, উল্লাপাড়া, পাবনার চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া, ফরিদপুর, নাটোরের সিংড়া, গুরুদাসপুর, নওগাঁর আত্রাই উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকার বিভিন্ন স্থানে শুঁটকি মাছ তৈরিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা। চলনবিল অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে শুঁটকি তৈরির ধুম পড়েছে। এ অঞ্চলের তিন শতাধিক স্থানে এখন দেশি প্রজাতির মাছের শুঁটকি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা। সরেজমিনে দেখা যায়, চলন বিল এলাকায় এ বছর প্রচুর পরিমাণে টেংরা, পুঁটি, বাতাসী, চেলা, মলা, ঢেলা, টাকি, চিংড়ি, বোয়াল, চিতল, শিলং, রুই, কাতলাসহ বিভিন্ন ধরনের মাছ পাওয়া যাচ্ছে। এখন মাছের দামও অনেক কম থাকায় শুটকি ব্যবসায়ীরা সবাই শুঁটকি তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, বিভিন্ন স্থানে শুঁটকি তৈরিতে ব্যস্ত শ্রমিকরা। প্রতিটি স্থানে নারী-পুরুষ মিলে ১০-১৫ জন শ্রমিক কাজ করছেন। তবে এ কাজে নারী শ্রমিকরাই বেশি দক্ষ বলে জানান ব্যবসায়ীরা। এ কারণে নারী শ্রমিকই সংখ্যাই বেশি। তাড়াশ উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নে মহেষ রৌহালী গ্রামের আব্দুল ওয়াহাবের ছেলে শুটকি ব্যবসায়ী আরিফুল ইসলাম বলেন, আমি প্রায় ১৮ থেকে ২০ বছর যাবৎ ধরে এই শুঁটকি ব্যবসা করছি। প্রতি বছরে কার্তিক থেকে পৌর্ষ মাস পর্যন্ত এই শুঁটকির ব্যবসা হয়। তিন মাসের এই ব্যবসার জন্য জমি লিজ নিতে হয় ১৫ হাজার টাকায়। শুঁটকি শুকানো কাজের জন্য আমার খোলায় কাজ করেন ৫ জন শ্রমিক। প্রতিদিন নারী শ্রমিক ৩ জন কে ১৫০ টাকা করে এবং পুরুষ শ্রমিক ২ জনকে ২০০ টাকা করে মজুরি দেই। বছরে সব খরচ বাদ দিয়ে ১ থেকে ২ লক্ষ টাকা আয় হয়। নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলা থেকে আসা আরেক শুটকি ব্যবসায়ী নান্টু হোসেন জানান,গত বারের চেয়ে এবার বর্ষার পানি দেরিতে আসায় মাছের পরিমাণ কম। আমার এখানে কাজ করে ১৫ থেকে ২০ জন শ্রমিক । পুরুষ শ্রমিক মজুরি ৫০০ টাকা এবং নারী শ্রমিকের মজুরি ১৫০ টাকা করে দেই । তিনি আরো জানান, এখানকার তৈরি শুঁটকি মাছের মান ভাল হওয়ায় দেশের বিভিন্ন জেলায় এই শুটকির চাহিদা বেশী। এ গুলো সৈয়দপুর, রংপুর জেলাতে বিক্রির পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্রি হয়ে থাকে। এ বিষয়ে,তাড়াশ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মশগুল আজাদ জানান,গত বছর এ এলাকায় ১৪৭ মেট্রিক টন শুঁটকি উৎপাদন হয়েছিল। ফলে এ বছর শুঁটকি উৎপাদন আরও বাড়বে বলে আশা করা যাচ্ছে।

Editor & Publisher: S. M. Mesbah Uddin
Published by the Editor from House-45,
Road-3, Section-12, Pallabi, Mirpur
Dhaka-1216, Bangladesh
Call: +01713180024 & 0167 538 3357

News & Commercial Office :
Phone: 096 9612 7234 & 096 1175 5298
e-mail: financialpostbd@gmail.com
HAC & Marketing (Advertisement)
Call: 01616 521 297
e-mail: tdfpad@gmail.com